শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
শাহজালালে সোনা চোরাচালান : ড্রাইভার সালেককে সাসপেন্ড হলেও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নূরন্নবী ভুইয়া টিপু এখনও বহাল!

স্টাফ রিপোর্টার : শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে সিভিল এভিয়েশনের গাড়িতে করে সোনা পাচার ঘটনায় জড়িত ড্রাইভার সালেকুজ্জামানকে সাসপেন্ড করা হলেও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নূরন্নবী ভুইয়া টিপু এখনও বহাল। তার বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে তাকে নাকি সিলেট বিমানবন্দরে বদলি করা হয়েছে।
এককালের ছাত্রদলের নেতা টিপু বিএনপির আমলে সিভিল এভিয়েশনে নিরাপত্তা বিভাগে ‘নিরাপত্তা সুপার’ হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। শাহজালালে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে। মানব পাচাসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের পর টিপুকে শাহজালাল থেকে সিএএবির সদর দপ্তরে বদলি করা হয়। কিন্ত তার অনৈতিক কাজ থেমে থাকেনি। মোবাইল নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে মানব পাচার ব্যবসা অব্যাহত থকে।
সিএএবির সদর দপ্তরে ৫ বছর থাকার পর তাকে আবার শাহজালালে ফেরত পাঠানো হয়।এবার তাকে নিরাপত্তা বিভাগ থেকে স্যানিটারি বিভাগে পাঠানো হলেও তার পুরনো কর্মকান্ড দোর্দন্ড প্রতাবে চলতে থাকে। একজন সরকার দলীয় এমপির পিএস পরিচয় দিয়ে থাকেন। বিমানবন্দরে ওই এমপির ডলার চুরি হলে তার পিএস হিসেবে গণমাধ্যমে কথা বলে থাকেন। বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ার কারণে গোয়েন্দা রিপোর্টের পর তাকে শাহজালালে ভিভিআইপি ফ্লাইটে নিষিদ্ধ করা হয়।
শাহজালালে কর্মরত এবং চট্রগ্রাম বিমানবন্দরে বদলিকৃত ড্রাইভার সালেকুজ্জামান তার নতুন কর্মস্থলে যোগদানের একদিন আগে তার ড্রাইভিংকৃত সিএএবির গাড়িতে করে সোনা পাচারের সময় পুলিশ তা আটক করে। ড্রাইভার সালেকুজ্জামান স্যানিটারি ইন্সপেক্টর টিপুর জড়িত থাকার প্রকাশ করলেও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
১০০ কর্মী মানব পাচারে জড়িত : শাহজালালে বিভিন্ন সংস্থার প্রায় একশত কর্মী মানব পাচারে জড়িত বলে গোয়েন্দা রিপোর্ট-এ বদলির সুপারিশ করা হয়। এরা চাকরির শুরু থেকেই এখনও শাহজালালে বহাল। তাদেরকে শাহজালাল থেকে বদলি করা হয় না।এদের মধ্যে সিএএবির কিউআর জিন্নাহ- মিজানুর রহমান, গার্ড আজাদ, মিজানসহ অর্ধশত গার্ড, নিরাপত্তা সুপার, ক্লিনার, ট্রলিম্যান ,এটনডেন্ট রয়েছে। এফসেক বাহিনীর কোন কোন সদস্যও এসব অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। এদেরকে শাহজালাল থেকে অন্যত্র বদলি করার জন্য সুপারিশ করা হলেও তা বার বার ভেস্তে গেছে।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।