শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৯:১৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচার মামলা : ডিআইজি মিজানের ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসানও কারাগারে

ডেক্স রিপোর্ট : পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের ভাগ্নে এসআই মাহমুদুল হাসানের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচার মামলার আসামি মাহমুদুল হাসান বৃহস্পতিবার আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ তার জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, রাজধানীর কোতোয়ালি থানার এসআই মাহমুদুল হাসান দু’বছর ধরে চাকরি করছেন। এর আগে তিনি ব্যবসা করতেন। পুলিশের চাকরি করে তিনি কোনো সম্পদ অর্জন করেননি। যা সম্পদ অর্জন করেছেন তা চাকরিতে যোগদানের আগে, ব্যবসার আয় থেকে করেছেন। তার ইনকাম ট্যাক্স ফাইল আছে। আর মামলায় উল্লিখিত সম্পদ ডিআইজি মিজানের। তিনিই নামে-বেনামে সম্পদ ক্রয় করেছেন। এ সম্পর্কে মাহমুদুল হাসান কিছুই জানেন না।

এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারক বলেন, আসামির (মাহমুদুল হাসান) নামে ব্যাংকে এফডিআর রয়েছে। যার নমিনি আসামি ডিআইজি মিজান কেন? এর জবাবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, এ মামলার কোনো সম্পত্তি সম্পর্কেই মাহমুদুল হাসান কিছু জানেন না। তিনি ব্যাংকের কোনো কাগজপত্রেও স্বাক্ষর করেননি।

এরপর দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আসামি (মাহমুদুল হাসান) ডিআইজি মিজানকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন। এ ছাড়া আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ মানি লন্ডারিংয়ের। তিনি মিজানের অর্থ রূপান্তর, হস্তান্তর ও স্থানান্তরে সহায়তা করেছেন। আর হাইকোর্ট এ আসামির জামিন নাকচ করে আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন। আসামি জামিন পাওয়ার যোগ্য নন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামিপক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী নজিবুল্ল্যাহ হিরুসহ কয়েকজন আইনজীবী আদালতে জামিন আবেদন করেন। অপরদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল, মীর আহমেদ আলী সালাম ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন।

আদালত সূত্র জানায়, ১ জুলাই ডিআইজি মিজানের সঙ্গে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান। হাইকোর্ট দু’জনের জামিন আবেদনই নাকচ করে ডিআইজি মিজানকে পুলিশের হাতে তুলে দেন এবং মাহমুদুল হাসানকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিু আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।

গত ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) কমিশনের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে ডিআইজি মিজান ছাড়াও তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি করা হয়।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।