বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
আইন কমিশন হচ্ছে : সময়মতো মশার ওষুধ না আনার দায় দুই সিটি এড়াতে পারে না

ডেক্স রিপোর্ট :  ডেঙ্গুর উৎস এডিস মশা নিধনে সরকার ও সিটি  করপোরেশনের করণীয় এবং আইন ও নীতিমালা তৈরির জন্য একটি কমিশন গঠনের আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। এডিস মশা নিধনে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছিল, সিটি করপোরেশনের কী করার ছিল এবং অন্যান্য দেশে কীভাবে ডেঙ্গু রোধ করা হয় সেসব বিষয়ে নীতিমালা করাই হবে কমিশনের কাজ। আগামী বুধবার এ বিষয়ে আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। এ বিষয়ে শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছে, সময় মতো এডিস মশা নিধনের ওষুধ আনতে না পারার দায় দুই সিটি করপোরেশন এড়াতে পারে না।

শুনানিতে আদালত ডেঙ্গু মশার ওষুধ আনার প্রক্রিয়া ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের কর্মকণ্ড নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ডেঙ্গুতে মানুষ মারা যাচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যর্থতায় কারা দায়ী সে বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা যায় কিনা, সে বিষয়ে আমরা আগামী বুধবার (২৮ আগস্ট) আদেশ দেব।

এদিন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পদক্ষেপ আদালতে তুলে ধরা হয়। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী সাইদ আহমেদ রাজা।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি এর্টনি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। এ বিষয়ে আইনজীবী সাইদ আহমেদ রাজা সাংবাদিকদের বলেন, গত ২০শে আগস্ট আমাদের প্রতিবেদন দাখিল করার কথা ছিল। ওই প্রতিবেদনটি আমরা আজকে দিয়েছি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১লা আগস্ট আমরা ওষুধ আনি। এরপর ওষুধ পরীক্ষা করি। ৭ তারিখে আমরা ওষুধের বরাদ্দ হাতে পাই। ১০ তারিখ থেকে ওষুধ ছিটানো শুরু করা হয়। তিনি আরো বলেন, দক্ষিণের তিনটি ওয়ার্ডে আমরা ওষুধ ছিটিয়েছি। ডেঙ্গু বা মশামুক্ত করতে ৪৭০ জন কর্মী অতিরিক্ত সময়ে কাজ করছেন।
আইনজীবী রাজা বলেন, আদালত বলেছেন, মানুষের ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে। যথাসময়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। ডেঙ্গুর কারণে মানুষ মারা যাচ্ছে। চিকুনগুনিয়ায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। এটার জন্য এখন একটা জুডিশিয়াল অনুসন্ধান বা বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে অনুসন্ধান করার জন্য আগামী বুধবার আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

ওই দিন একটা কমিশন গঠন করে দেবেন আদালত। কমিশন জানাবেন, ডেঙ্গু রোধে সরকারের কী পদক্ষেপ ছিল। সিটি করপোরেশনের কী করার ছিল। ডেঙ্গু রোধ অন্যান্য দেশে কিভাবে করা হয়। তাদের নীতিমালাগুলো ও আইন কী আছে সেই কল্পে একটা আইন বা নীতিমালা তৈরির জন্য এই মামলার অধীনে চেষ্টা করবেন।

সাইদ আহমেদ রাজা আরো বলেন, আমার এ বক্তব্যের পর ডেপুটি এটর্নি জেনারেল যখন কোর্টে দাঁড়ালেন তখন কোর্ট তাকে জিজ্ঞেস করলেন এত পৌরসভা, ইউনিয়ন, উপজেলায় কিভাবে আপনারা ওষুধ দেবেন তখনই কিন্তু এটা প্রমাণ হয়ে গেছে সরকারের দায়িত্ব নেয়া দরকার ছিল।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডেঙ্গু মশা নিধনে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। আমরা কোর্টে দরখাস্ত দিয়ে বলেছিলাম, দয়া করে ওষুধ এনে দেন। সরকারের তখন আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মধ্যে ফেলার দরকার ছিল না। এই আমলাতান্ত্রিক জটিলতার ফলে সাত দিন কিন্তু আমরা ওষুধ ছিটাতে পারিনি। অথচ সরকার চাইলে তিন দিনের মধ্যে ওষুধ এনে ছিটানো সম্ভব ছিল। এর আগে গত ২০শে আগস্ট মশা নিধনে সরকারের স্থায়ী পরিকল্পনা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।