শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
উত্তরায় ছিনতাই : ডিবি বলছে উদ্ধার ৯ কোটি থানায় মিলল ৩ কোটি , হদিস নেই ৭ কোটি টাকার

নিউজ ডেক্স : রাজধানীর তুরাগ এলাকায় ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাই ঘটনায় তুরাগ থানায় মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে। বৃহস্পতিবার রাতে মানি প্লান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে তুরাগ থানায় এই মামলা করেন বলে গতকাল জানিয়েছেন তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদূদ হাওলাদার।

পুলিশ সূত্র জানায়, খোয়া যাওয়া চারটি বাক্সের মধ্যে তিনটি বাক্স উদ্ধারের পর ৯ কোটি টাকা পাওয়া গেছে বলে ঘোষণা করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। কিন্তু রাতে তুরাগ থানায় নিয়ে টাকা গোনার পর মেলে মাত্র ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ বিষয়ে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা টাকা উদ্ধারের পরপরই ডিএমপির উত্তরা বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছি। আমরা টাকা উদ্ধার করেছি, কিন্তু গুনিনি।

এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরা থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী গাড়ি থেকে প্রায় ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ছিনতাই হয়। নজিরবিহীন এ ছিনতাই ঘটনায় তাৎক্ষণিক মাঠপর্যায়ে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উত্তরা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া চারটি বাক্সের মধ্যে তিনটি বাক্স উদ্ধার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসসহ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় সাতজনকে। টাকা উদ্ধারের পর ডিবি জানায়, তিনটি বাক্সে প্রায় ৯ কোটি টাকা থাকতে পারে। তবে পরে টাকা গণনার পর তুরাগ থানা পুলিশ জানায়, টাকার প্রকৃত সংখ্যা ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার রাতে মানি প্লান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের পাঁচ-সাতজনের সামনে উদ্ধার হওয়া তিনটি ট্রাংক খোলা হয়। এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ছিনতাই হওয়া চারটি বাক্সের মধ্যে তিনটি বাক্স উদ্ধার করা হয়। বাক্স তিনটি উদ্ধারের পরপরই ডিএমপির উত্তরা বিভাগের কাছে হস্তান্তর করি। আমরা যখন গাড়িসহ টাকা উদ্ধার করেছি, তখন বাক্সগুলো লক ছিল। বাক্সগুলো তুরাগ থানায় নিয়ে থানা পুলিশ ও সিকিউরিটি কোম্পানির মালিকদের কাছ থেকে চাবি নিয়ে টাকা গোনা হয়।

ডিবি প্রধান হারুন আরও বলেন, ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসসহ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতজনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে টাকা পরিবহনে নিয়োজিত মানি প্লান্ট লিংক সিকিউরিটিজ কোম্পানি লিমিটেডের দুজন পরিচালক রয়েছেন। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি বাকি টাকা উদ্ধারে অভিযান চলছে।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।