শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৯:২১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
এভিয়েশন ও ট্যুরিজম সেক্টরে সাংবাদিকতা যেসব পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে

নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : এভিয়েশন ও ট্যুরিজম সেক্টরে সাংবাদিকতা করার পরিধি ক্রশম বাড়ছে। আর এই কারণে এই সেক্টরে রিপোর্টারের সংখ্যাও বাড়ছে। আজকে থেকে দুই দশক আগে এই দেশে এভিয়েশন ও ট্যুরিজম সেক্টরে সাংবাদিকতা ছিল সীমিত পরিসরে। এই কারণে রিপোর্টারের সংখ্যাও ছিল হাতে গণা। কিন্তু আস্তে আস্তে এই সেক্টরের বিস্তৃতি ঘটেছে আর এই সেক্টরের বিস্তৃতির কারণে টেলিভিশন ও পত্র পত্রিকাগুলোও রিপোর্টের সংখ্যা বাড়িয়েছে। কিন্তু রিপোর্ট সংখ্যা বাড়লেও রিপোর্টারের সংখ্যা তেমনভাবে বাড়তে পারেনি। কারণ এখনও অনেকেই মনে করেন এই সেক্টরে একজন সম্পূর্ণ সময়ের জন্য স্থায়ী রিপোর্টারের প্রয়োজন হয় না, মাঝে মাঝে হলেই হয়। কিংবা অন্যান্য সেক্টরের রিপোটিং করার পাশাপাশি মাঝে মাঝে এই সেক্টরে একজন রিপোর্টারের কাজ করলেও হবে। তবে বড় পত্রিকাগুলো এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। কারণ তারা একজন করে এই সেক্টরে রিপোর্টার নিয়োগ করেছে তারা কাজ করে যাচ্ছে। তুলে ধরছে বিভিন্ন নতুন নতুন দিক। টেলিভিশনও এখন রিপোর্টার নিচ্ছে। তবে তারা এর পাশাপাশি অন্যান্য সেক্টরেও কাজ করছে।

আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও এই সেক্টরে কাজ করতে গিয়ে মনে হয়েছে এবং যেসব বিষয়গুলো একজন রিপোর্টারের থাকা দরকার সেটি একজন নতুন রিপোর্টারে জানা দরকার। কিংবা এই সেক্টরে যারা কাজ করতে চায় তাদের জন্য দরকার।

একজন রিপোটারকে মনে রাখতে হবে তিনি যে সেক্টরটি নিয়ে কাজ করছেন তা অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। কারণ এই সেক্টরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মানুষের প্রয়োজন, ভ্রমন ও বিনোদনের ব্যাপার। তাই এই কাজগুলো যাতে একজন মানুষ নিশ্চিন্ত মনে ও আরামদায়কভাবে করতে পারেন সেই জন্য দরকার নির্ভয় ও বিশ্বস্ততা। আর একজন রিপোর্টর ও গণমঅধ্যম মানুষকে এই ব্যাপারে সহায়তা করতে পারে।

একজন রিপোর্টার যখন এভিয়েশন সেক্টরে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স এর সুবিধা, সমস্যা ও সুযোগ সুবিধা নিয়ে রিপোর্ট করবেন গণমাধ্যমে তা এলে একদিকে পাঠকরা জানতে পারবেন। এতে করে তিনি তার পছন্দমতো ক্যারিয়ার বেছে নিতে পারবেন। সেই সঙ্গে যাদের সম্পর্কে রিপোর্ট করবেন সেই ব্যাপারে যদি কোন সমস্যা থাকে সেটা তারা জেনে সমস্যার সমাধান করতে পারেন। এতে করে পাঠকদের সুবিধা হবে।

এছাড়া যখন বিভিন্ন ক্যারিয়ার ও এয়ারলাইন্স সম্পর্কে রিপোর্ট প্রকাশ হবে তখন একজন মানুষের পক্ষে সহজ হবে তিনি কোনটি বেছে নিবেন। আর কোন ক্যারিয়ারে কি কি সুযোগ সুবিধা আছে। এতে তিনি তার অর্থের সদ্বব্যবহার যেমন করতে পারবেন তেমনি তিনি এটাও মনে করতে পারবেন যে তার অর্থের অপচয় হয় না।

এই বিষয়ে রিপোর্ট করার সময়ে একন রিপোর্টারে দৃষ্টি হতে হবে অনেক সতর্ক। যাতে করে অন্য কারো চোখে বিষয়গুলো ধরা না পড়লেও তার চোখে পড়ে এবং তিনি সহজেরই তা তুলে ধরতে পারেন। আর কর্তৃপক্ষও এর সমাধান করতে পারেন।

একজন রিপোর্টারকে এটা মাথায় রাখতে হবে কোন ক্যারিয়ার কিংবা এয়ারলাইন্স সম্পর্কে বিদ্ধেষবশত: কোন নেগিটিভ করা যাবে না। কারণ একটি নেগিটিভ রিপোর্ট হলে এতে করে মানুষের মনের মধ্যে ভয় তৈরি হয়। সেটা হলে তখন মানুষ ওই ক্যারিয়ারটিকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে করে ওই ক্যারিয়রটি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেটা হলে সমস্যা হয়। অনেক সময় ক্যারিয়ারটি লোকসানের মুখে পড়ে বন্ধও হয়ে যায়। এই রকম নজির এখানে রয়েছেও।

রিপোর্টারকে মনে রাখতে হবে, এটি একটি ব্যয় বহুল সেক্টর। এখানে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে হয় একটি উড়োজাহজ কেনার পেছনে সেখানে ১০টি উড়োজাহাজ থাকলে কত টাকার বিণিয়োগ আছে সেটা রিপোর্টারকে চিন্তা করতে হবে।

একবার যদি কোন এয়ারলাইন্স সম্পর্কে নেতিবাচক রিপোটিং হয় তখন মানুষ আর ওই ক্যারিয়ারে যেতে চায় না। তাই এজন রিপোর্টারে উচিত হবে যাতে যে সমস্যা আছে সেটা তুলে ধরা। এবং সমসা সমাধানের জন্য বিশেষজ্ঞদের মতামত তুলে ধরা।
রিপোর্টারকে এই সেক্টরের কারিগরী দিকগুলো জানতে হবে, একজন এ্যভিয়েশন রিপোর্টারকে অবশ্যই জানতে হবে একটি এয়ারলাইন্স পরিচালনার জন্য কি কি লাগে। আর এই জন্য কারিগরী সহায়তা গুলো কি কি? এভিয়েশন সেক্টরে অনে টেকনিক্যাল শব্দ আছে যা একজন রিপোর্টারকে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জানতে হবে। এটা না জানলে সমস্যা।

কারণ টেকনিক্যাল শব্দগুলো না জানলে সমস্যা হতে পারে। ভুল ব্যাখ্যাও করা হতে পারে। পাইলট এসোসিয়েশনসহ সংশ্লিস্ট বিভিন্ন এসোসিয়েশনের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে তাদের কাছ থেকে পাইলটদের টেকনিক্যাল শব্দগুলো জেনে নিতে হবে। এতে রিপোর্ট করতে সুবিধা হবে। সব শব্দ না বুঝলে তখন েিরপার্ট করা সমস্যা হয়ে যাবে। ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ারদের কাছ থেকে জানতে হবে একটি উড়োজাহাজে কি কি থাকে। দুটি ইঞ্জিনের একটি কাজ না করলে কি সমস্যা হতে পারে। কেন উড়োজাহাজারে চাকায় আগুন লেগে যায়। কিংবা উড়োজাহাজের পাখায় পাখি ঢুকে গেলে কি ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে। একটি উড়োজাহজ দূর্গটনায় পড়লে এর তদন্ত কেন হওয়া প্রয়োজন। তদন্ত কমিটির কাজ কি হবে। এই ব্যাপারে কিভাবে রিপোর্ট করতে হবে।

তদন্ত কাজ চলাচকালীণ রিপোর্ট করলে কিভাবে করতে হবে। তদন্ত রিপোর্ট এর রিপোর্ট কিভাবে করতে হবে। সেই সঙ্গেও এটাও পরবর্তী সময়ে ফলোআপ করা তদন্ত রিপোর্টে যে সুপিারিশ করা হয়েছিল সেই সব সুপিারিশ কিভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
একজন রিপোর্টারকে এটাও জানতে হবে একটি উড়োজাহাজ দূর্ঘটনায় পড়লে , সব ধ্বংস হয়ে গেলে এবং কোন প্রমাণ না থাকলে কিভাবে ব্ল্যাাকবক্স্রের তথ্য দিয়ে দূর্ঘটনার কারণ জানা যাবে সেই বিষয়েও জ্ঞান রাখা। আর ব্ল্যাকবক্স্রের কাজ কি সেটাও জানা।

একজন রিপোর্টারকে এটাও জানতে হবে একটি উড়োজাহাজ যখন কারিগরী ত্রুটির কারণে হ্যাঙ্গারে নিয়ে যেতে হয় সেখানে কিভাবে মেরামত করা হয়। একটি উড়োজাহজ হ্যাঙ্গারে নিয়ে যাওয়া মানেই সেটি বাতিল নয়। অনেক সময় রুটিন চেকিং করার জন্যও নিতে হয়। সেগুলো একজন রিপোর্টারকে বুঝতে হবে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের ন্যাশনাল ক্যারিয়ার। এই ক্যারিয়ার সম্পর্কে অনেক সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে নেতিবাচক রিপোর্ট আসে। এতে করে ক্যারিয়ারটি মাঝে মাঝে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ওই ধরনের রিপোর্ট করার আগে আরো সতর্ক হতে হবে। একটি ন্যাশনাল ক্যারিয়ার সম্পর্কে রিপোর্ট করার আগে আরও বিভিন্ন দিক চিন্তা করতে হবে। একটি নেতিবাচক রিপোর্ট করার কারণে এতে করে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হতে পারে। সেই আতঙ্ক তৈরি করা রিপোর্টারের কাজ নয়। রিপোর্ট করার সময় কি কারণে সমস্যাটি হয়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কিনা, না নিলে কেন হয়নি. কবে নাগাদ হবে এবং কবে নাগাদ সমস্যার সমাধান হবে সেই সব বিষয়গুলো তুলে ধরে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য দিতে হবে। এতে করে সমস্যাটি সামনে আসবে আবার সমাধান সম্পর্কেও মানুষ জানবে।

একটি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট পরিচালনার সঙ্গে বিমাবন্দরের সম্পর্ক রয়েছে। তাই একজন এভিয়েশন রিপোর্টারের একটি অভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও এর টার্মেনাল এবং ফ্লাইট পরিচালনা. গ্রাউন্ড স্টেশন, হ্যান্ডেলিং, রানওয়েসহ বিভিন্ন বিষয় জানতে হবে। ল্যাগেজ স্ক্যান ও ল্যাগেজ হারিয়ে গেলে কি করতে হবে সেটাও জানাতে হবে। লাগেজ হারিয়ে গেলে যে ক্লেইম করা যায় সেটা জানাতে হবে। এতে করে মানুষ জানতে পারবে তাদেরকে কি করতে হবে।

রাডার স্টেশনের কাজটি কি সেটাও রিপোর্টারকে জানতে হবে। কারণ রাডার স্টেশন থেকে কিভাবে একটি ফ্লাইট পরিচালনার করার আগে, ফ্লাইট চলাকালীণ ও এর আগে পরে যোগাযোগ থাকেও সেটা একজন রিপোর্টার জানলে তার রিপোর্ট করতে সুবিধা হবে। এছাড়াও ফ্লাইট পরিচালনার জন্য কোন কোন অথ্যরিটরি অনুমতি লাগে সেটাও রিপোর্টারকে জানতে হবে।

একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা, গোয়েন্দা কর্মকর্তা, ইমিগ্রেশন অথ্যরিটি, কাস্টমস, ব্যাংক, মানি এক্সচেঞ্জ, সিভিল এভিয়েশনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও স্টাফ এবং এয়ালাইন্সের স্টাফ সহ কমপক্ষে ১৪-২০ টির বেশি অথ্যরিটি সেখানে কাজ করে। ওই সব অথ্যরিটি সম্পর্কে জানতে ও তাদের বিমানবন্দরে কাজ সম্পর্কেও জানা একজন রিপোর্টারের দায়িত্ব। তাহলে তিনি বুঝতে পারবেন তাকে কিভাবে ওই সব সেক্টরের রিপোর্ট করতে হবে।

একটি বিমানবন্দরের নিরাপত্তার বিষয়টি সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণে একজন রিপোর্টারের কখনই উচিত হবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভঙ্গুর কিংবা নাজুক এই ধরনের বিষয়ে। কারণ এতে করে দেশে ও বিদেশে ওই বিমানবন্দরের ইমেজ নষ্ট হতে পারে। যাত্রী কমে যেতে পারে। একটি দেশের বিমানবন্দরে কেবল সাধারণ যাত্রীরা প্রয়োজনের জন্য বা ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়ী কাজে বিভিন্ন দেশে আসা যাওয়া করেন বিষটি এমন নয় অনেক পর্যটক আসেন নতুন নতুন দেশে ঘুরতে। বাংলদেশেও প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক পর্যটন এখানে বেড়াতে আসেন। এতে করে তারা নতুন একটি দেশ দেখেন ও নতুন একটি অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে যান। কিন্তু ছোট খাটো সমস্যা থাকতে পারে সেই সব সমস্যা যাতে দ্রুত সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ সমাধান করে সেই জন্য একজন রিপোর্টার রিপোর্ট করতে পারেন সেই সঙ্গে সরকারও বিষয়টি জানাতে পারে। এতে সরকারের পক্ষেও সহজ হবে সিদ্ধান্ত নেওয়া ও সমস্যার সমাধান করা।

একজন সাংবাদিক কেবল সাংবাদিকতা করেই দায়িত্ব পালন করবেন বিষয়টি এমন নয় দেশ ও দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতি তার সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে। তাই সেই দায়িত্ববোধেরও পরিচয় দিতে হবে। তবে সেটা করতে গিয়ে কোন কর্তৃপক্ষ যাতে দিনের পর দিন একটি সমস্যাকে জিইয়ে রাখতে না পারেন সেটাও দেখতে হবে। একবার রিপোর্ট করার পর সমস্যার সমাধান না হলে বার বার ওই বিষয়টি নিয়ে ফলোআপ রিপোর্ট করতে হবে। যতক্ষন না সমস্যার সমাধান হয় সেই বিষয়ে।

যেই কথা বলছিলাম একজন রিপোর্ট এভিয়েশণ ও বিমানবন্দরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থার জনসংযোগ বিভাগের সঙ্গে যেমন যোগাযোগ রক্ষা করবে তেমিন বিশেষ রিপোর্ট করার জন্য তাকে উচ্চ পর্যায়ে ও মধ্য এবং নি¤œ পর্যায়ে সোর্স মেইনটেইন করতে হবে। এতে করে ওই সব সোর্স তাকে নিয়মিত সংবাদ সরবাহ করবে। আর সেই সংবাদ পেলে সেটাই যাচাই করে এরপর সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট করতে হবে।

সাংবাদিকতায় সোর্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ সোর্স না থাকলে অন্য মিডিয়ার সহকর্মী তিনি তার পত্রিকায় রিপোর্ট করে ফেললে আপনি করতে না পারলে এই জন্য অফিসে জবাবদিহি করতে হবে। আর সেটা হলে বার বার স্কুব নিউজ না দিলে পারলে অফিসে ওই রিপোর্টারে মূল্য কমতে থাকবে। আর কর্তৃপক্ষও তার উপর আস্থা রাখতে পারবে না। এই কারণে একজন রিপোর্টারকে অবশ্যই সোর্স মেইনটেইন করে নিয়িমিত রিপোর্ট করতে হবে। নিয়মিত আইটেমের পাশাপাশি বিশেষ রিপোর্টও করতে হবে। এটাও খুব জরুরী।

একজন রিপোর্টারের এটাও জানা জরুরি যে এভিয়েশন ও পর্যটন রিলেটেড কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে। আবার সংবাদ সম্মেলনও করে। সেটা প্রকাশ করেই রিপোর্টারকে তৃপ্ত থাকলে হবে না। নিজ উদ্যোগে ও নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে খুঁেজ বের করতে হবে প্রকৃত ঘটনা কি? সেটা জানার পর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নিয়ে বিশেষ রিপোর্ট করা যেতে পারে। আমাদের এখানে একটি রিপোর্ট করার জন্য খুব বেশি সময় দেওয়া হয় না। এই কারণে রিপোর্টারকে কাজ করতে হয় অনেক দ্রুত। তাই রিপোর্টারকে হতে হবে চৌকশ ও তীক্ষ জ্ঞান এবং মেধা সম্পন্ন। যাতে সবার আগে সব খবর দেওয়া যায়।

এছাড়াও এভিয়েশন সেক্টরে একজন রিপোর্টারকে নিজে উদ্যোগে সংশ্লিষ্টখাতের বিভিন্ন বিষয়ে জানতে হবে।আমাদের এখানে এই বিষয়ে সাংবাদিকদের তেমন প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বার বার চিন্তা করেছে এই ব্যাপারে তারা প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে কিন্তু সেটা তেমনভাবে হয়ে উঠেনি। আগামী দিনে সংশ্লিষ্ট সেক্টর বিশেষ করে সিভিল এভিয়েশন অথ্যরিটি ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ রিপোর্টারদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করবেন। তাকে করে একটি মানুষের পক্ষে ও রিপোর্টারের পক্ষে সঠিক ও যথাযথ এবং সময় উপোযোগী রিপোর্ট করার সুযোগ তৈরি হবে। এভিয়েশন সেক্টরে যারা রিপোর্ট করবেন তাদেরকে সম্ভব হলে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে হবে। এতে করে তাদের সুবিধা ও সুযোগ গুলো দেখলে রিপোর্ট করতে আরও সুবিধা হবে।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।