মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৪:৩৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
দারিদ্র্য দূর করতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করার আহবান : রোমে ইএফএডির সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূর করতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগের জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের আহবান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতির তেজিভাব ধরে রাখতে জাতিসংঘ কৃষি উন্নয়ন তহবিল থেকে টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ চেয়ে তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, দুর্যোগে ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা তৈরিতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ অন্যতম প্রধান বিষয় এবং আমরা বিশ্বাস করি, বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা ছাড়া এটা অর্জন করা সম্ভব নয়।
দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণে উন্নয়ন সহযোগীদের আরও উদার হওয়ার আহবান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমার কাছে মনে হয় এটার জন্য বিশ্ব এখন প্রস্তুত। আমি আপনাদের সকলকে টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগের আহবান জানাই। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি  মঙ্গলবার সকালে ইতালির রোমে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্টের (ইফাদ) ৪১তম পরিচালনা পরিষদের সভার উদ্বোধনী অধিবেশনে মূল বক্তব্যে তিনি এই আহবান জানান।
আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (আইএফএডি) গভর্নিং কাউন্সিলের ৪১তম অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘নাজুকতা থেকে দীর্ঘমেয়াদে তেজিভাব: টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধে এ আহবান জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ একটি প্রধান বিবেচ্য বিষয় এবং বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা ছাড়া এটি অর্জন করা যাবে না। তিনি বলেন, দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণে উন্নয়ন সহযোগীদের আরো একটু উদার হতে হবে। বাংলাদেশ ও উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে সহায়তা অব্যাহত থাকার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত রাখতে ইফাদ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইফাদের সহায়তার ও সহযোগিতার মডেলটি জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা থেকে অনেক ভিন্ন। ইফাদের এই মডেলটি মানবতায় এখনকার মতে অনাগত দিনগুলোতেও কাজ করে যাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা স্থাপন ছাড়া টেকসই উন্নয়ন অর্জন করা যাবে না। গ্রামীণ সামাজিক ও জলবায়ুগত স্থিতিশীলতার উন্নয়নে একটি ব্যাপকভিত্তিক টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতি প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতি তৈরিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদীভাবে স্থিতিশীলতা আনার আহŸান জানান। তিনি বলেন, প্রায় এক দশক ধরে সুশাসন থাকায় বাংলাদেশ ভাগ্যবান। আমরা সতর্কতার সঙ্গে চার বছরের আর্থসামাজিক প্রবৃদ্ধি হিসেব করে আমাদের কৌশল নির্ধারণ করেছি এবং গত নয় বছর ধরে এটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। আমরা খুবই সতর্কতার সঙ্গে পারিপার্শিক অবস্থা বিবেচনা করে চাহিদা ও প্রয়োজনের মধ্যে সমন্বয় করেছি।
স্বাধীনতার পর কৃষি উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তার কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, কিন্তু ১৯৭৫ সালে তাকে হত্যার পরের বছরগুলোতে দেশের কৃষি খাত ধারাবাহিক অবহেলার শিকার হয়েছে, যার ফলে দেশ মারাত্মক খাদ্য ঘাটতিতে পড়েছিল।
আইএফএডির প্রেসিডেন্ট গিলবার্ট ফাউসন হোউংবোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ সংস্থাটির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অভিনন্দন জানান এবং উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।