রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০১:২১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য হুমকি : বিমানের নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান ডিজিএম (নিরাপত্তা) মুখলেছুর রহমান মৃধাকে প্রধানমন্ত্রীর ভিভিআইপি ফ্লাইটে অফলোড করার গুজব!

বিশেষ সংবাদদাতা : বিমানের পরিচালক এয়ারপোর্ট সার্ভিসেস আতিক সোবহানের পর এবার বিমানের নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান ডিজিএম (নিরাপত্তা) মুখলেছুর রহমান মৃধাকে গত ১৯ জুলাই লন্ডনগামি প্রধানমন্ত্রীর ভিভিআইপি ফ্লাইডে যাত্রাবিরতি বা অফলোড করা হয়েছে- এমন গুজব বিমানবন্দরে ছড়িয়ে পড়েছে। গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে তাকে (ডিজিএম নিরাপত্তা মৃধা) ভিভিআইপি ফ্লাইটে অফলোড করা হয়- এমন কথাও শোনা যায়।
এ ব্যাপারে ডিজিএম মুখলেছুর রহমান মৃধা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি এ ব্যাপারে বিমানের জনসংযোগ বিভাগের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।
বিমানের একটি অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই ডিজিএম (নিরাপত্তা) মুখলেছুর রহমান মৃধার ভিভিআইপি ফ্লাইট ছিল না। আগামি ২ আগস্ট ডিজিএম নিরাপত্তা মৃধার ভিভিআইপি ফ্লাইট রয়েছে।
গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে ৮ জুন জাপানগামি প্রধানমন্ত্রীর ভিভিআইপি ফ্লাইডে বিমানের বিএনপি-জামায়াত কানেকটেড পরিচালক এয়ারপোর্ট সার্ভিস আতিক সোবহানকে অফলোড করা হয়।
গত ১১ জুলাই বিমানের প্রশাসন বিভাগের একজন জিএমের স্বাক্ষরে মুখলেছুর রহমান মৃধাকে ডিজিএম নিরাপত্তা পদে বদলি করা হয়। এর এক সপ্তাহ পরেই তাকে ভিভিআইপি ফ্লাইটে অফলোড করা হলো এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। যে বিভাগ থেকে ভিভিআইপি ফ্লাইট মনিটরিং করা হয়ে থাকে সেই বিভাগের প্রধানকেই ভিভিআইপি ফ্লাইটে অফলোড করার বিষয়টি বিমানে চাউড় হয়ে গেছে।
বিমানে কর্মরত বংগবন্ধু ও বংগবন্ধু কন্যার শুভাকাংক্ষীবৃন্দ ‘স্বঘোষিত ভন্ডপীর মো. মোখলেছুর রহমান মৃধা (ব্যবস্থাপক) উপ-মহাব্যবস্থাপক নিরাপত্তা বর্তমানে এর অতীত চাকুরিকালীন কার্যকলাপের কিছু খতিয়ান’ শিরোনামে বিমান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, শিক্ষাজীবনে সব তৃতীয় শ্রেনীধারি সেনা বাহিনীর সিপাহি ক্লার্ক থেকে ১৯৮৬ সালে কনিষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে মুখলেছুর রহমান মৃধা বাংলাদেশ বিমানে যোগদান করেন। বিমানে আসার পর ইত্যাকার দুনীতি, পাচার, টাকা আত্মসাত, কারন দর্শানো নোটিশ, তিরস্কার, সতর্ক , তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশসহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অপকর্মে গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে তাকে পদাবনতি এবং সর্বশেষ ২০০৫ সালে চাকরিচ্যুত্য করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে বিমানের অন্যান্যের সাথে তিনি আবার চাকরি ফিরে পান।
২০১৩ সাল থেকে আবার তিনি তার অতীত স্বভাবের কারণে দুর্নীতি কর্মকান্ড শুরু করেন। মুদ্রন ও প্রকাশনা বিভাগের ২০১৩-১৪ সালে প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাত করেন।
২০১৪ সালে তাকে পদাবনতি করে ম্যানেজার করা হয়। এ শাস্তি মওকুফের জন্য বার বার আবেদন করলেও তার অতীত দুর্নীতির জন্য তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়নি।
কিন্ত এবার ২০১৯ সালে ১১ জুলাই অঙ্ঘাত কারণে তাকে ডিজিএম পদে আবার পদোন্নতি দিয়ে নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়। যার সূত্রনং-৩০.৩৪.০০০.০৭০.১৪.০০.১১.০৬ তারিখ: ১১-০৭-২০১৯।
অসৎ, দুর্নীতিবাজ, ভন্ডপীর, জামায়াত-বিএনপিপন্থী জংগি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বিমানবন্দরের স্পর্শকাতর গুরুত্বপূর্ন পদে নিয়োজিত রাখা দেশ ও জাতি তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য হুমকিও বটে- এমন অভিযোগ উপসংহারে বলা হয়েছে।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।