রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০১:২২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
বিজয় দিবসের আলোচনাসভায় মির্জা ফখরুল : শেখ হাসিনা, আপনার সময় শেষ

ডেক্স প্রতিবেদন : শেখ হাসিনার সময় ‘শেষ হয়ে এসেছে’ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বন্দি করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা ‘দেশের মানুষ’ সফল হতে দেবে না।

২০ ডিসেম্বর বুধবার বিকালে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “যদি মনে করে থাকেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্তরীণ করে আপনারা এদেশের মানুষকে বোকা বানাবেন, আবার ক্ষমতায় টিকে থাকবেন। সেটা এ দেশের মানুষ হতে দেবে না।

“আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, হাসিনা আপনার সময় শেষ। যতই ভন ভন করে ঘুরতে থাকেন, আপনার কোনো লাভ হবে না।”

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দেশের সম্পদ লুটে নেওয়ার অভিযোগ করে অষ্টাদশ শতকের লুটতরাজকারী অশ্বারোহী মারাঠা সৈন্যদল ‘বর্গীদের’ সাথে তাদের তুলনা করেন ফখরুল।

তিনি বলেন, “প্রত্যেকটা ব্যাংকে চুরি করে এমন একটা অবস্থা করেছে যে, এখন ব্যাংকের আমানতকারীরা বলছে, ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি।  একটি সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়েছে, পদ্মাসেতুর তলানি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মাত্র দুইটা পিলার দাঁড় করে রেখেছে, এর উপর স্লাভ দিয়ে রেখেছে। ওইটা নাকি স্বপ্ন? পত্রিকায় ইঞ্জিনিয়াররা বলেছে, আমরা তলানি খুঁজে পাচ্ছি না। ইতোমধ্যে এই সেতু নির্মাণে ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার কোটি চলে গেছে।

“মগবাজার-মালিবাগ উড়াল সেতু ৩০০ কোটি টাকা থেকে ১৮০০ কোটি টাকা চলে গেছে। প্রত্যেকটা মেগা প্রজেক্টে তারা (সরকার) দেশের টাকা লুট করে নিচ্ছে। সব সময় আমার মনে হয়, ছোট বেলায় বাচ্চারা ঘুমাতো আমাদেরও আমাদের মায়েরা গান শুনাত, ‘ছেলে ঘুমাল, পাড়া জুড়াল, বর্গী এলো দেশে’। এই বর্গী দেশের মধ্যে এসে গেছে, ওরা এদেশকে সব লুট করে নিয়ে যাবে। আজকে তারা এই অবস্থা তৈরি করেছে।”

খালেদা জিয়ার বিদেশে সম্পদ নিয়ে বক্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে উকিল নোটিশ পাঠানোর কথা জানিয়ে ফখরুল বলেন, ভুয়া টেলিভিশন, ‍ভুয়া পত্রিকা ও ভুয়া অনলাইনে তাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রমূলক প্রতিবেদন করানো হচ্ছে।

“আমরা তো বলেছি, প্রমাণ করুন। করেননি বলে  উকিল নোটিস দেওয়া হয়েছে। যদি ৩০ দিনের মধ্যে প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এতো সোজা না, সবাইকে বোকা বানানো যাবে না।”

বিজয় দিবস উপলক্ষে মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপির উদ্যোগে এই আলোচনা সভা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “সারা দেশে রব উঠেছে আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে এবং সরকার গঠন করবে। সেজন্য তারা দিশেহারা হয়ে ২০১৪ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে। সেজন্য দেশনেত্রীকে মিথ্যা মামলায় দ্রুত বিচার করে তাকে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।”

খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার খুব দ্রুত বিচার কাজ চলছে, তাকে সাজা দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।

“আমাদের পরবর্তী করণীয় এখনই ঠিক করে নেমে পড়তে হবে। নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না রেখে সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের সংগঠন গুছিয়ে সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।”

মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র সহসভাপতি শামসুল হুদা, উত্তরের সিনিয়র সহসভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন বক্তব্য রাখেন।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।