শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১০:১৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
বিনাভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কোন জবাবদিহিতা নেই : ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট : ‘হীরক রাজার দেশের মন্ত্রী হয়েছেন?’

নিজস্ব প্রতিবেদক : গণ ফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কোন জবাবদিহিতা নেই। ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করলেও তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেয়া হচ্ছে না। অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি হীরক রাজার দেশের মন্ত্রী হয়েছেন ? বয়সের দোহাই দিয়ে কি বলতে হবে নাকি ‘ সব ঠিক আছে, সব ঠিক আছে। ড. কামাল হোসেন ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার  রাজধানীর ডিপ্লোমা ইন্ঞনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণ ফোরামের কর্মসূচী বিষয়ক এক আলোচনাসভায় এ সব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে উদ্দেশ করে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘নিজে ভুল করে গিয়েও সব ঠিক, সব ঠিক! আপনারা কি হীরক রাজার দেশের মন্ত্রী হয়েছেন?’

ড. কামাল হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আট হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। সে ব্যাপারে তদন্ত হলেও ফলাফল সম্পর্কে কেউ কিছু জানে না। ঘটনা ঘটার পর জনগণ জানতে পারছে যে ঘটনা ঘটেছে। ব্যাংক লুটপাটে যাঁরা দায়ী, তাঁদের সামনে আনা হচ্ছে না।

অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘বয়স হলেই আবোলতাবোল বলতে হবে নাকি? বয়সের দোহাই দিয়ে দায়িত্ব এড়ানো যায় না। সংবিধানের কোথাও লেখা নেই যে মন্ত্রীদের কাজ হলো শুধু “সব ঠিক, সব ঠিক” বলা।’

বর্তমান সংসদের বেশির ভাগ সংসদ সদস্যই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মন্তব্য করে গণফোরাম সভাপতি বলেন, অনির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের দায়িত্ব নিয়েছেন। সেই সম্পদ উধাও হয়ে যাওয়ার পর, ওই ব্যাপারে জনগণকে জানানোরও কোনো আগ্রহ নেই। এ ধরনের দুঃসাহস ও দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা। দায়িত্ব থাকলে কিছু কর্তব্য থাকে, জবাবদিহিও থাকে।

ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, হত্যা-গুমের মাধ্যমে ভীত করার অপচেষ্টা চলছে। গুম হয়ে কেউ চার দিন, আবার কেউ চার মাস পরে ফেরত আসছে। ফেরত আসার পর সবাই নিশ্চুপ থাকছে। কোনো সভ্য দেশে এসব হতে পারে? রাষ্ট্রের এ ব্যাপারে জবাবদিহি করার আছে।

আলোচনা সভায় গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় উত্থাপিত রাজনৈতিক প্রস্তাব পড়ে শোনানো হয়। এ প্রস্তাবে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে জনগণকে সচেতন ও সক্রিয় করার কাজ শুরুর আহ্বান জানানো হয়। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, এর মূল লক্ষ্য হলো গণজাগরণ সৃষ্টি এবং জনগণকে সংগঠিত করা।

গণফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মিন্টু বলেন, বর্তমানে পত্রিকাগুলোর টুঁটি চেপে ধরা হয়েছে। সরকারের নির্দেশিত পথে পত্রিকা, সাংবাদিক ও টেলিভিশনকে চলতে হয়। এখন প্রত্যেকটি জিনিস মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে। দেশে লুটপাটের রাজত্ব চলছে।

সভাটি সঞ্চালনা করেন গণফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মোশতাক আহমেদ। এতে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুব্রত চৌধুরী, আবদুল আজিজ, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মো. মনসুর প্রমুখ। সভায় গণফোরামের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।