শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১১:০৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
শাহজালালের চোরের মুখে কেক তুলে দেয়া সেই ম্যাজিস্ট্রেট ইউসুফকে সরাতে প্রভাবশালী এক মন্ত্রীর এপিএসের জোরালো তদবির : চোরাকারবারি মিশনের সাথে আতাত করে চাদাবাজির টাকা মন্ত্রণালয়ে খরচ : অবশেষে ম্যাজিষ্ট্রেট বদলির পরও বহাল : আবারও বদলির তদবির

একুশে বার্তা ডেক্স :  :  হজরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দরের যুগান্তকারী পরিবর্তন আনা ম্যাজিস্ট্রেট মোাহাম্মদ ইউসুফকে অপসারণ করাতে চোরাকারবারি ও দুর্নীতিবাজচক্র মাঠে নেমেছে। চক্রটি ইতোমধ্যে বিমানবন্দরের প্রতিটি দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্টান ও এয়ারলাইন্সের কাছ থেকে চাদা সংগ্রহ করেছে। তাকে বদলী করতে গেলে কমপক্ষে ২০ লাখ টাকার তহবিল নিয়ে মাঠে নামতে হবে বলে গণহারে চাদাবাজি করছে এক তরুণ ব্যবসায়ী। যিনি নিজেও বেশ কয়েকটি দোকানের মালিক। সম্প্রতি তার দোকানে পচা বাসি খাবার ও অতিরিক্ত মূল্যে খাবার বিক্রির অভিযোগে একজন কর্মচারির সাত দিনের কারাদন্ড করেন এই ম্যাজিস্ট্রেট।

এই ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে যৌথ তহবিল সংগ্রহ করে বিমানমন্ত্রনালয়ের একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তা দেয়ার পর মোহাম্মদ ইউসুফের বদলীর আদেশও জারি করা হয়। কিন্তুু পরে বদলীর নেপথ্যে অনৈতিক উদ্দেশ্য থাকার বিষয়টি ফাস হবার পর আপাতত তা স্থগিত করা হয়। এরপর থেকে ফের ওই তরুণ ব্যবসায়ী দ্বিতীয় দফা প্রতিটি দোকান থেকে আবারও চাদা দাবি করে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্দ হয়ে গত সমবার তাকে আগের টাকার জন্য জবাবদিহি করতে বলা হয়। তখন সে যুক্তি দেখায়, আগের টাকায় তো কাজ হয়েছিল, বদলীর আদেশ হয়েছিল, কিন্তুু পরে স্থগিত হয়ে গেছে।

উলেখ্য বছর তিনেক আগে হজরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দরের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগ দিয়েই মোহাম্মদ ইউসুফ চোরচালান, লাগেজ কাটা, পরিবহন নৈরাজ্য, ডলার ব্যবসা, যাত্রী হয়রানি, টিকেট কাউন্টারে যাত্রীকে আটকে দিয়ে অতিরিক্তি টাকা হাতিয়ে নেয়া, দালাল বাটপার প্রতারকের দৌরাত্ম, দোকানে অস্বাভাবিক দাম রাখা, তুচছ অজুহাতে ফ্লাইট বাতিল করা, এয়ার লাইন্সের অনিয়ম ও অরাজকতার বিরুদ্বে কঠিন পদক্ষেপ গ্রহন করেন। দেশী বিদেশী সব এয়ারলাইন্সকে নাান অনিয়মের দরুণ জেল জরিমনার মতো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করেন।  তিনি চোর ধরে  চোরের মুখে কেক তুলে দিয়েছেন- যা এক সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। এতোসবে বিমানবন্দরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অভুতপূর্ব উন্নতি ঘটে।

সম্প্রতি তিনি যাত্রীদের লাগেজ হারানো বা বিলম্বে আসার মতো ব্যর্থতার দায়ভার এয়ারলাইন্সগুলোর ওপর চাপিয়ে দেন। এয়ারলাইন্সগুলোকে লেফট বিহাইন্ড লাগেজ সরাসরি নিজ উদ্যোগে যাত্রীর বাড়িতে পৌছে দেয়ার মতো যুগান্তকারী আদেশ প্রদান করেন। এতে এখন অনেক যাত্রী ঘরে বসেই হারানো বা বিলম্বে আসা লাগেজ পাচেছন। যেই এয়ারলাইন্স লাগেজ পৌছে টালবাহানা করে, সেটাকে জরিমানা করা হয়। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে এয়ার এরাবিয়ানে আসা জাকিয়া নামের এক যাত্রীর বাড়িতে লাগেজ পৌছে না দেয়া জরিমানা করা হয় পনের হাজার টাকা।

জানা গেছে- বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে ও বাহিরে বরাদ্দপ্রাপ্ত দোকানীরা যাত্রীদের কাছ থেকে চড়া দামে মাল বিক্রির মতো অপরাধের বিরুদ্বে সাড়াশি অভিযানে নামেন। এতে বেশ কজনকে জেল জরিমানা করা হয়। যারাই অনিয়ম ও অনৈতিক কর্মকান্ড করেছে তাদের বিরুদ্ধে  তিনি কঠোর ব্যবস্থা নেয়ায় যাত্রী সাধারণের মাঝে স্বস্তির নিশ্বাস নেমে এলেও বিক্ষুব্দ হয়ে ওঠে দুনীতিবাজচক্র। জাানগেছে বিমানবন্দরের ভিতরে থাকা এসব দোকান মালিকদের কয়েকজন বিদেশী আন্তজাতিক চোরাকারবারীদের সংগে সম্পর্ক আছে। এই চোরাকারবারীরা বিদেশ থেকে চোরাচালঅন পন্য এনে তাদের দোকানে লুকিয়ে রাখে। পরবর্তী সময়ে এই চোরাচালান পন্য বাইরে নিয়ে যায়। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কারণে তাদের চোরাচালান বন্ধ রাখতে হয়েছিল। একারণে প্রথমে তাকে নানা প্রলোভন ও ইশারা ইংগিতে ম্যাজিস্ট্রেটকে বশীভূত করার চেষ্ঠা করে ব্যর্থ হয়ে বিকল্প উপায় বেছে নেয়। কোন প্রলোভনেই কাজ না হওয়ায় ইউসুফকে বদলী করার জন্য সম্প্রতি দীর্ঘাদেহী এক তরুণ দোকান ব্যবসায়ী বিকল্প পন্থা বেছে নেন।

বিমানবন্দরে ওই যুবকের রয়েছে ৫টি দোকান, আছে ভ্রাম্যমান খাবারের দোকান। নিজকে তিনি আওয়ামলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের এপিএস পরিচয় দিয়ে বিমানবন্দরে দাপটের সংগে কাজ হাতিয়ে নেন। অভিযোগ আছে দীর্ঘাদেহী এই প্রভাবশালী ব্যবসায়ী সৈয়দ আশরাফের নাম ভাংগিয়ে রাতারাতি কোটি পতি বনে গেছেন। তার সংগে সিভিল এভিয়েশনের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঘনিষ্ট সম্পর্ক আছে। প্রতিমাসে তাদেরকে এই ব্যবসায়ী মোটা অংকের টাকা মাসোহারা দিয়ে থাকেন। সম্প্রতি তিনি তিনি ম্যাজিষ্ট্রটকে বদলী করার খরচ বাবদ মন্ত্রনালয়ের একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তার নামে মোটা অংকের টাকা চাদা সংগ্রহ করেন।

এ বিষয়ে একটি বিদেশী এয়ারলাইন্সের স্টেশন ম্যানেজার বলেন, ওই যুবক এতগুলো টাকা মন্ত্রনালয়ে খরচের কথা বলে নিয়ে গেল কিন্তুু কাজের কাজ কিছুই হয়ন্।ম্যাজিষ্ট্রোট তো বহাল তবিয়তেই আছে। এখন ওই যুবক ওদেরকে সান্তনা দিয়ে বলছে ডিসেম্বরে নিশ্চিত চলে যাবেন ম্যাজিস্ট্রেট।

এ দিকে বিমানবন্দরে ম্যাজিষ্ট্রেট সম্পর্কে নেতিবাচক কথাও শোনা যায়। অযথা সিএএবির কর্মচারিদের গ্রেফতার করে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায় করা, নিজের অসুস্থতার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে সাহায্য চাওয়া, পরিচারককে স্যার সম্মোধন করা নিয়ে দম্ভোক্তি করা, এবং আদালতের মাধ্যমে জরিমানার টাকা শতকরা ৪০ ভাগ্য জমা না  করার মতো কথাও বিমানবন্দরে এক সময় চাউর হয়ে যায। সূত্র : এভিয়েশন নিউজ/ নিজস্ব সূত্র

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক চোরের মুখে কেক তুলে দেয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। চোরকে  গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবম্স্থার বদলে তাকে জামাই আদর করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১ জানুয়ারী শাহজালাল বিমানবন্দরে।

জানা গেছে,ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইংরেজি নতুন বছর বরণকে কেন্দ্র করে ঘটেছে এই নতুন ও অভিনব ঘটনা। বিমানবন্দরে ধরা পড়েছে চোর।

স্বাভাবিক নিয়মেই তার গণধোলাই কপালে জোটার কথা ছিল। কিন্তু তার বদলে কপালে জুটেছে বর্ষ বরনের কেক।

জানা গেছে, বিমানবন্দরে কিছু ছিঁচকে চোর যাত্রীদের সাহায্য করার জন্য ঘুরে বেড়ায়।  হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমন একজন ছিঁচকে চোর একযাত্রীর লাগেজ উঠিয়ে দেয়ার সময় একটি ব্যাগ সরিয়ে ফেলে। পরে তাকে গ্রেফতার করে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তাকে বিমানবন্দর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে চালান দেয়া হয়। আদালত তাকে ৬ মাসের সাজা দেয়।  এ সময় আদালত চত্বরে  আকস্মিকভাবে বর্ষবরনের কেক কাটার অনুষ্ঠান চলতে থাকে।  এ সময় চোরকেও কেক কাটার অনুষ্ঠানে চোরকে কেক খেতে দেখা যায়।

এ  ব্যাপারে বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইউসুফের  জানান, এ ধরনের ছিঁচকে চোর যাত্রীদের লাগেজ গাড়িতে উঠিয়ে সাহায্য করার নামে ব্যাগ সরিয়ে ফেলে।   এরই ধারাবাহিকতায় ছিচকে চোর মিজানুর রহমান (২৫)কে হাতেনাতে আটক করা হয়।

তিনি বলেন, পরে তাকে আদালতে তুললে বিচারে  তাকে ৬ মাসের সাজা দেওয়া হয়।

কিন্তু বিচার শেষে নিয়ে যাওয়ার সময় বিমান কর্তৃপক্ষের বর্ষবরণের কেক কাটার সামনে পড়তে হয়। সবার সাথে চোরের মুখেও কেক তুলে দেওয়া হয়।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।