শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৩:০৫ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
শাহজালাল বিমানবন্দরে স্বর্ণ পাচার সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা রক্ষী রেজাউল কারাগারে

একুশে বার্তা প্রতিবেদন :হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৫৮০ গ্রাম স্বর্ণসহ সিভিল এভিয়েশন নিরাপত্তা কর্মী ও রিয়াদ ফেরত একজন যাত্রীকে বুধবার হাতেনাতে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকতারা।

আটককৃত দুইজনের মধ্যে একজন হলেন সিভিল এভিয়েশন অথরিটি বাংলাদেশের (CAAB) নিরাপত্তা রক্ষী রেজাউল করিম এবং অপরজন হলেন রিয়াদ হতে ঢাকায় আগত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-০৪০ ফ্লাইটের যাত্রী।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দারা জানতে পারে, রিয়াদ হতে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট নং বিজি ০৪০ এর মাধ্যমে স্বর্ণ চোরাচালান সংঘটিত হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আনুমানিক দুপুরে শুল্ক গোয়েন্দারা  বিমানবন্দরের বোর্ডিং ব্রিজ, ব্যাগেজ বেল্ট, এপ্রোন ও ইমিগ্রেশনসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। বিকেল ৩টায় উক্ত বিমান শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করলে শুল্ক গোয়েন্দা তাদের নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং বিমান থেকে যাত্রী নামার সময় ওই যাত্রীকে শনাক্ত করে গোপনে অনুসরণ করতে থাকে। অনুসরণের একপর্যায়ে রিয়াদ হতে আগত যাত্রীকে ইমিগ্রেশন পয়েন্টে শুল্ক গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদ করে।

জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, বিমানবন্দরে কর্মরত রেজাউল নামে একজনের  কাছে ৫টি স্বর্ণবার হস্তান্তর করবে। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ৫ নং ব্যাগেজ বেল্টের সামনে টয়লেটের ভিতর স্বর্ণ হস্তান্তরের সময় যাত্রীসহ সিভিল এভিয়েশনের সিকিউরিটি গার্ড রেজাউলকে হাতেনাতে আটক করা হয়। গোপন সংবাদ অনুযায়ী রেজাউলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের  কাছ থেকে ৫টি  স্বর্ণেবার উদ্ধার করা হয়।

রিয়াদ ফেরত যাত্রীর পাসপোর্টের তথ্যানুযায়ী তার নাম: কুদ্দুস শিকদার, পিতা: আব্দুস সামাদ শিকদার, সিরাজদিখান, মুন্সিগঞ্জ। আটক সিভিল এভিয়েশন অফিসের আইডি কার্ড অনুযায়ী তার নাম- রেজাউল করিম, পিতা: মৃত মোহাম্মদ আলী মন্ডল। তার গ্রাম: বাদে কলেমশর, পোস্ট- বাদে কলমেরশর , থানা: জাতীয় বিশবিদ্যালয় ১৭০৪,  গাজীপুর সদর,গাজীপুর। তিনি সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা গার্ড হিসেবে ২২ বছর ধরে কর্মরত আছেন। রেজাউলের বড় ভাই হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালকের অফিসে অফিস সহকারি হিসেবে দেড়যুগ ধরে আছে। নিরাপত্তারক্ষী রেজাউলকে গ্রেফতারের পর কাস্টমস বাদি হয়ে বিমাবন্দর থানায় মামলা দায়ের করেছে। বিমানবন্দন থানার এসআই মুস্তাফিজুর রহমান মামলাটি তদন্ত করছেন। গ্রেফতারকৃত রেজাউল কারাগারে আছে। সোনা পাচারের সাথে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজনকে তলব করেছে তদন্ত অফিসার। সিএএবির এক পদস্থ অফিসারের পিএস-এর ভাই এবং তার সহকর্মিসহ বেশ কয়জনকে সনাক্ত করেছে তদন্ত অফিসার।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।