শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১১:৩৫ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিএএবি : শাহজালালে পেইন্টার খোরশেদের মাতলামি কর্মচারিদের গালিগালাজ, জীবননাশের হুমকি : লুজনোট : চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ : খোরশেদের ‘রেশমা কুন্ঞে ’ এখনও হানা দেয়নি দুদক

বিশেষ সংবাদদাতা : হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সিটিও বিভাগে চাকরির শুরু থেকে কর্মরত- যার বিরুদ্ধে মানব পাচার, মাদক পাচারসহ স্বর্ন পাচারের অভিযোগ করেছেন কর্মচারীরা- সেই পেইন্টার খোরশেদ আলম ভুইয়ার (পিতা-সাদেক আলম ভুইয়া) বিরুদ্ধে মাতাল অবস্থায় কর্মচারীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মাতলামি করার ব্যাপারে গত ৯ জুন রোববার লুজনোট করা হয়েছে। লুজনোটে স্বাক্ষর করেছেন সিনিয়র স্টোর অফিসার হারুনর রশিদ। লুজনোটটিতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপপরিচালক শাহজালাল বরাবর উপস্থাপন করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত ৩ জুন তাৎক্ষণিকভাবে সিএএবি কর্তৃপক্ষের সেকেন্ড ইন কমান্ড সদস্য অপারেশন এন্ড প্লানিং , পরিচালক শাহজালাল বিমানবন্দরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে জানানোর পর ৯ জুন সিএএবির চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্ত সিএএবি কর্তৃপক্ষ নীরব। ঘটনার ৭ দিন অতিবাহিত হলেও মাতলামি করে কর্মচারীদের গালিগালাজসহ মারদাংগার অপরাধে অভিযুক্ত পেইন্টার খোরশেদের বিরুদ্ধে কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। খোরশেদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করা হচ্ছে বলে কর্মচারিরা জানান।
জানা যায়, গত ৩ জুন দুপুরের দিকে কর্মচারীদের ‘বে’ কোম্পানীর জুতা বিতরণের শ্লিপে সই এবং তার ( খোরশেদ ভুইয়া) মাধ্যমে ওই শ্লিপ পাঠানোর সময় হঠাৎ করে মাতাল অবস্থায় পেইন্টার খোরশেদ আলম ভুইয়া কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরণসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তার মাতলামিতে কর্মচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন।কর্মচারীরা ধৈর্য ধারণ করায় ঘটনাস্থলে মারামারির মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। এক পর্যায়ে মাতাল খোরশেদকে অফিসকক্ষ থেকে বের করে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ কর্মচারীরা ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরে অভিযুক্ত খোরশেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সদস্য অপারেশন এন্ড প্লানিং, পরিচালক শাহজালাল বিমানবন্দর, উপপরিচালক প্রশাসন, উপপরিচালক শাহজালাল বিমানবন্দর, সহকারি পরিচালক প্রশাসন , শাহজালাল বিমানবন্দরসহ সিটিও অফিসারকে মৌখিকভাবে অভিযোগ করা হয়। কিন্ত ঘটনার ৭দিন অতিবাহিত হলেও অভিযুক্ত খোরশেদ আলম ভুইয়ার বিরুদ্ধে কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
কর্মচরীরা অভিযোগ করেন পেইন্টার খোরশেদ আলম ভুইয়া চাকরির শুরু থেকেই ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে কর্মরত। আর এ সুবাধে খোরশেদ আলম মানব পাচার, মাদক পাচার,স্বর্ন পাচারে জড়িত। ফলে সে আংগুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। রাজধানীর কাওলার মোল্লাপাড়ায় ২৮/২ হোল্ডিংয়ে ৭ তলা ‘রেশমা কুন্ঞ’ গড়ে তুলেছেন। এই রেশমা কুন্ঞে এখনও দুদক হানা দেয়নি। দুদক নজরদারি করছে।
খোরশেদের স্ত্রী শামীমা সুলতানাও শাহজালাল বিমানবন্দরে অপারেটর পদে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত। এর ফলে জামাই-বউ মিলে শাহজালালে পাচারের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছে। খোরশেদ আলম শাহজালালের সুরক্ষিত নিরাপত্তার মধ্যে মদ খেয়ে মাতলামি করলেও কর্তৃপক্ষ তা দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। অনেককে সে মদের বোতল উপহার দিয়ে থাকে। শাহজাালালে গোয়েন্দা সংস্থা তার গতিবিধি নজরদারি করলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে বলেও কর্মচারীরা জানান।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।