শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১০:৩৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
হাইকোর্টে বিআরটিএ’র প্রতিবেদন : সারাদেশে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩২০

একুশে বার্তা রিপোর্ট : : সারাদেশে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩শত ২০টি। হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিআরটিএ। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) হাইকোর্টে এমন প্রতিবেদন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআরটিএ’র আইনজীবী রাফিউল ইসলাম।

তিনি জানান, এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২ লাখ ৬১ হাজার ১১৩, চট্টগ্রাম বিভাগে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৮, রাজশাহী বিভাগে ২৬ হাজার ২৪০, রংপুর বিভাগে ৬ হাজার ৫৬৮, খুলনা বিভাগে ১৫ হাজার ৬৬৮, সিলেট বিভাগে ৪৪ হাজার ৮০৫ এবং বরিশাল বিভাগে ৫ হাজার ৩৩৮টি গাড়ি মেয়াদোত্তীর্ণ ফিটনেসবিহীন রয়েছে।

এর আগে ২৪ জুন সারা দেশের ফিটনেস বিহীন, আন রেজিস্টার্ড ও লাইসেন্স ছাড়া গাড়ির সংখ্যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আদালত। আদালতে তলবের পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিএ এর পরিচালক ও মুখপাত্র মাহবুব-ই রাব্বানী আদালতে হাজির হলে বিআরিএ’র কার্যক্রম, সড়কে দুর্ঘটনা, ফিটনেস ও আন রেজিস্টার্ড গাড়ি নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা নিয়েও প্রশ্ন ওতালেন আদলত।

২০১৮ সালের পরিসংখ্যানের পাতা উল্টালে দেখা যায় ৫১৪টি দুর্ঘটনায় নিহত হন ৭ হাজার ২২১ জন, আহত ১৫ হাজার ৪৬৬ জন। এসব দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সড়কে অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা, ফিটনেস বিহীন গাড়ি চলাচল, লাইসেন্সবিহীন ও অনভিজ্ঞ চালকের হাতে গাড়ি তুলে দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ করা হয়।

সোমবার আাদলতের তলবের পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিএ’র দেয়া প্রতিবেদনেও ফিটনেস বিহীন গাড়ি ও লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালক ও অননুমোদিত গাড়ির সংখ্যা দেখে বিষ্মিত হন হাইকোর্ট। প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা দেশে ফিটনেসবিহীন বাহনের সংখ্যা ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৩৬৯ এবং শুধু রাজধানীতেই এই সংখ্যা ১লাখ ৬৮ হাজার ৩০৮টি। আদালত প্রশ্ন তোলেন, পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সামনে রাস্তায় এসব গাড়ি কিভাবে চলছে?

শুনানি শেষে লাইসেন্স নিয়েছে কিন্তু নবায়ন করেনি, নিবন্ধনকৃত ফিটনেসবিহীন গাড়ির এবং লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন ছাড়া যানবাহনের তালিকা এক মাসের মধ্যে জেলা ভিত্তিক তথ্য জমা দিতে বিআরটিএ’কে নির্দেশ দেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারে নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চ। একই সাথে প্রতিবেদনে লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন ছাড়া যানবাহনের তালিকা, গাড়ির নম্বর ও মালিকের নামসহ বিস্তারিত উল্লেখ থাকতে হবে বলেও আদেশ দেন আদালত।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।