মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
১১দফা দাবিতে ফের শিক্ষকরা আন্দোলনে নামছে

একুশে বার্তা ডেক্স : শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে আবারও মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। আগামী ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেটে জাতীয়করণের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা চান তারা।

২৮ এপ্রিল  শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের ১০টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শিক্ষকরা।

সংগঠনের সমন্বয়ক ও তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুল হক বলেন, ‘গত ১৪ই মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে কয়েক লাখ শিক্ষকদের সমাবেশে সাত দিনের সময় নিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমরা আগামী বাজেটে জাতীরকরণের ঘোষণা না পেলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।’

শিক্ষক নেতারা বলেন, মাত্র পাঁচ হাজার ৪০০ কোটি টাকা হলে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা সম্ভব। এক সময় প্রধানমন্ত্রী জাতীয়করণের পক্ষে কথা বললেও এখন তিনি থেমে গেছেন। কারণ, আমলারা তাকে ভুল বুঝিয়েছেন।

শিক্ষকদের অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে আন্তরিক হলেও তার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। মন্ত্রী প্রশ্নফাঁস ইস্যুতে পদত্যাগ করতে যান, কিন্তু শিক্ষকদের সঙ্গে বসার আগ্রহ দেখান না। তাই জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে শিক্ষকরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দাবি হলো- শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ সব সুযোগ-সুবিধা প্রদান, অনুপাত প্রথা বিলুপ্ত করে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি, প্রধান ও সহকারী প্রধান শিকদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রধান শিকের অনুরূপ প্রদান, অবসর সুবিধা ও কল্যাণ বোর্ড বিলপ্ত করে পূর্ণাঙ্গ পেনশন চালু করা ইত্যাদি।

দাবি পূরণে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী ১০মে ঢাকাসহ সকল জেলায় শিক্ষক-কর্মচারীদের মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। ২৬ জুন সব জেলায় সমাবেশ। এছাড়া বাজেট ঘোষণার পর পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষকরা।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।