বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
ভারত-বাংলাদেশ ফাইনাল

খেলা ডেস্ক : সাফ অনুর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখী হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও ভারত। টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দু’দলই সহজ জয় তুলে নিয়েছে। গত ২০ ডিসেম্বর বুধবার সকালে কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৩-০ গোলে হারায় ভুটানকে। স্বাগতিকদের হয়ে ডিফেন্ডার মোসাম্মাৎ আখি খাতুন দু’টি ও বদলী ফরোয়ার্ড সাজেদা খাতুন একটি গোল করেন। একই ভেন্যুতে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী ভারত ১০-০ গোলে বিধ্বস্ত করে নেপালকে। দু’ম্যাচে সমান দু’জয় পেলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ভারত রয়েছে তালিকার শীর্ষে। বাংলাদেশ আছে দ্বিতীয়স্থানে। ফলে চার দলের লিগ পদ্ধতির ম্যাচ শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল বাংলাদেশ ও ভারতই ফাইনালে খেলবে।
আগের ম্যাচে ভুটানকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করা বাংলাদেশ কাল শুরু থেকেই আক্রমণাতœ ফুটবল উপহার দেয়। খেলার প্রায় পুরোটা সময়ই বল ছিল লাল-সবুজদের নিয়ন্ত্রণে। যার ফল ম্যাচের ১২ মিনিটেই পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। এসময় বাঁ প্রান্ত দিয়ে মার্জিয়ার কর্ণার কিকে উড়ে আসা বলে হেড করে গোল করেন আখি খাতুন (১-০)। তবে এগিয়ে যাওয়ার পর প্রথমার্ধে বেশ ক’টি সুযোগ পেয়েও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি বাংলাদেশের কিশোরীরা। বিরতির পর অবশ্য আরও দু’টি গোল আদায় করে নেয় তারা। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে একই ধাঁচে আসে বাংলাদেশের দ্বিতীয় গোলটি। মার্জিয়ার কর্ণার কিক থেকে ব্যাকহিল করে ব্যবধান দ্বিগুন করেন আখি (২-০)। তার জোড়া গোলে উজ্জীবত বাংলাদেশ ব্যবধান বড় করতে মরিয়া হয়ে লড়ে। কিন্তু ভাগ্য সহায় না থাকায় ২৪ মিনিট আর কোন গোল পায়নি কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। অবশেষে আসে তৃতীয় গোলটি। ম্যাচের ৮০ মিনিটে গোল করেন বদলী ফরোয়ার্ড সাজেদা (৩-০)। তিনি তহুরার বদলী হিসেবে মাঠে নেমে দলকে গোল উপহার দেন। ম্যাচের বাকি সময় আর কোন গোল না হওয়ায় ৩-০ ব্যবধানের জয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাংলাদেশকে।
তবে ম্যাচের শেষ দিকে অশোভন আচরনের দায়ে ডাগ আউটে থাকা বাংলাদেশের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর ও অফিসিয়াল পল স্মলিকে বের করে দেন রেফারি অঞ্জনা রাই।
জয় আসলেও ভুটানের বিপক্ষে খেলে হয়তো তেমন আনন্দ পাননি বাংলাদেশের ফুটবলাররা। কারণ ম্যাচের ৯০ মিনিটই খেলা হয়েছে ভুটানের অর্ধে। কারণ তেমন কোন আক্রমণই করতে পারেননি সফরকারীরা। অবশ্য আনন্দ না পাওয়ার আরেকটি কারণও রয়েছে। গেল বছর নেপালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে এই ভুটানকেই ১৬-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। যার তুলনায় কালকের জয়টা মামুলীই বলা যায়। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ কোচ ছোটন বলেন,‘মেয়েরা ম্যাচের পুরোটা সময়ই ভালো খেলেছে। আগেই বলেছিলাম, আমাদের খেলা হবে আক্রমণাত্মক এবং ৯০ মিনিটেই জয় ছিনিয়ে আনবো। যদিও ম্যাচে গোলের সুযোগ বেশি তৈরী হয়নি। তারপরও যতটুকু সুযোগ পেয়েছে মেয়েরা, সেটুকু কাজে লাগিয়েই ম্যাচ জিতেছে।’
ভুটানের কোচ সুং জি লী বলেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৬ গোল হজম করার পর গত এক বছর মেয়েদের নিয়ে আমি কাজ করেছি। এবার গোল হজমের সংখ্যা কমে এসেছে। আশাকরি ওরা আরও ভালো করতে পারবে। তবে এই অঞ্চলে ভারতের পর এখন মনে হচ্ছে বড় দলের তকমা পেয়েছে বাংলাদেশ। নেপালের বিপক্ষে স্বাগতিক দলের ম্যাচটিও আমি দেখেছি। অসাধারণ খেলছে বাংলাদেশের মেয়েরা।’ তবে হ্যাটট্রিক নয়, দলকে জেতানোই লক্ষ্য ছিল আখির। তিনি বলেন, ‘আসলে আমি হ্যাটট্রিকের দিকে তাকিয়ে ছিলাম না। চাইছিলাম, দল জিতুক।’ আগামীকাল ২১ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় একই মাঠে লিগ পদ্ধতির শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।