মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিভিল এভিয়েশনের সহকারি প্রকৌশলী ইউনুস ভুইয়া ও তার ২ স্ত্রীকে দুদকে তলব : বাদ যাননি তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাকসুদ

একুশে বার্তা রিপোর্ট : সিভিল এভিয়েশন অথরিটি বা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের  সহকারি প্রকৌশলী ইউনুস ভুইয়া এবং তার ২ স্ত্রী মরিয়ম নেছা ও মারুফা আকতারের সম্পদের হিসাব চেয়ে দুদক তলব করেছে এবং ২১ কার্যদিবসের মধ্যে  তা জমা দিতে বলা হয়েছে। এর আগেও ইউনুস ভুইয়াকে দুদক তলব করে , কিন্ত বার বার তা ধামাচাপা পড়ে যায়। এবার কি হবে সেটাই ভাববার বিষয়। তার বহুতল বাড়িটির সন্ধ্যানও পেয়েছে দুদক।

সিএএবির আরেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী , বর্তমান থার্ড টার্মিনালের পিডি  একেএম মাকসুদুল ইসলামের সম্পদের হিসাব দাখিলের জন্য নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ নিয়ে একটি টিভি চ্যানেলে প্রচার করা হয়ছে।

একই সঙ্গে সিভিল এভিয়েশন ২-এর সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুছ ও তার দুই স্ত্রীকেও সম্পদের হিসাব দিতে বলা হয়েছে। গত ২২ সেপ্টেম্র/২১  বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের ঠিকানায় এসব নোটিশ পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাকসুদুল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালে একটি পত্রিকার কাটিংকে কেন্দ্র দুদক বার বার আমামে ডাকছে।

একই দিন স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মজিবুর রহমান সিকদার ও তার স্ত্রী কামরুন নাহারকেও সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে দুদক।

দুদকের তথ্যানুযায়ী, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে সিভিল এভিয়েশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাকসুদুল ইসলাম বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন এমন একটি অভিযোগ আসে। ইতোমধ্যে কমিশন অভিযোগটি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একজন কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে মাকসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য-উপাত্ত পাওয়ায় সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করা হয়। নোটিশপ্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে এ সম্পদ বিবরণী দুদকে জমা দিতে হবে তার। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কমিশন।

একইভাবে দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত অপর নোটিশে বলা হয়, সিভিল এভিয়েশন ২-এর সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুস ভূঁইয়া ও তার দুই স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে নামে-বেনামে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে। তাই প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে মোহাম্মদ ইউনুস, তার দুজন স্ত্রী মরিয়ম নেছা ও মারুফা আক্তার এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে-বেনামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী নোটিশপ্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে জমা দিতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কমিশন। দুদক পরিচালক এসএম মাসুদুল হক স্বাক্ষরিত অপর নোটিশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে এলজিইডির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মজিবুর রহমান সিকদার, তার স্ত্রীর কামরুন নাহারকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। নোটিশপ্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে সম্পদ বিবরণী জমা না দিলে বা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে আইন মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কমিশন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, দুদকে কর্মরত একজন মহিলা কেরানির বউ’র জামাই সিএএবির প্রভাবশালী একজন ঠিকাদার-যিনি গত অর্থবছরে একাই ২১টি কাজের বিপরীতে কয়েক কোটি টাকার কার্যাদেশ পেয়েছেন, সিএএবির ডিভিশন-৩-এ গেট কেলেংকারির কাজটিও তিনি তার ফার্মের নামে করেছেন –যেটিা নিয়ে বিভাগীয় মামলা হয়েছে, সিএএবির আভ্যন্তরীন এবং মন্ত্রালয় তদন্ত করছে, এখনও তদন্ত আলোরমুখ দেখেনি,  তিনি  কলকাঠি নাড়ছেন। তবে দুদক হস্তক্ষেপ করছে না।

এ ব্যাপারে প্রধান প্রকৌশলী জানান, বিভাগীয় মামলায় অন্যান্য প্রকৌশলীর নাম রয়েছে, তাই কাজের ইস্টিমেটকারি প্রকৌশলীকে বদলির পরও বহাল রাখা হয়েছে।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।