বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০২:০১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
কবি শামসুর রাহমানকে নিয়ে গুগল ডুডল

ডেক্স রিপোর্ট : ৯০তম জন্মদিনে কবি শামসুর রাহমানকে ডুডল করেছে গুগল। মঙ্গলবার ২৩ অক্টোবর সারা পৃথিবী থেকে গুগলে প্রবেশ করলেই সার্চ ইঞ্জিনটির প্রথম পাতায় ভেসে উঠেছে কবির মুখ। সবুজ পাঞ্জাবি পরিহিত একজন লিখছেন। পেছনে সুবিস্তৃত আকাশে রয়েছে সাদা মেঘের ভেলা। সাদা বাবরি চুল, চোখে চশমা, হাতে ঘড়ি- এক হাত গালে দিয়ে আরেক হাতে লিখছেন কবি। এ ছবিটি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শক্তিশালী একজন কবি শামসুর রাহমানকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ছবিটিতে ক্লিক করলে তা চলে যায় শামসুর রাহমানের সার্চের পাতায়। সামনে এসে পড়ে কবি সম্পর্কে নানা তথ্য।
উল্লেখ্য, বিশিষ্ট ব্যক্তি বা বিশেষ ঘটনাকে স্মরণ করতে সার্চ ইঞ্জিন জায়েন্ট গুগল তাদের প্রথম পাতায় পরিবর্তন আনে। স্কেচের মাধ্যমে তুলে ধরে সে সম্পর্কে নানা তথ্য। তবে স্থানভেদে ভিন্ন হয় তাদের আয়োজন।

২৩ অক্টোবর ছিল কবির ৯০তম জন্মদিন। ১৯২৯ সালে পুরনো ঢাকার মাহুতটুলির নানাবাড়িতে জন্ম নেয়া কবির পৈতৃক বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা থানার পাড়াতলী গ্রামে। তেরো ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ। ঢাকায় বেড়ে উঠা এই কবির লেখায় ব্যাপকভাবে উঠে আসে নাগরিক জীবনকথা। তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে; রৌদ্র করোটিতে; বিধ্বস্ত নীলিমা; বন্দী শিবির থেকে; দুঃসময়ে মুখোমুখি; ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা; এক ধরনের অহংকার; আমি অনাহারী; বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে; ইকারুসের আকাশ; উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ; যে অন্ধ সুন্দরী কাঁদে; অস্ত্রে আমার বিশ্বাস নেই; ধুলায় গড়ায় শিরস্ত্রাণ; দেশদ্রোহী হতে ইচ্ছে করে; সে এক পরবাসে; খণ্ডিত গৌরব; ভগ্নস্তূপে গোলাপের হাসি; গোরস্তানে কোকিলের করুণ আহ্বান; না বাস্তব না দুঃস্বপ্ন।

২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট তার নশ্বর দেহ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেও আজীবন কবিতায় সমর্পিত এ কবি বেঁচে আছেন বাঙালির সত্তায়। বাংলা কবিতায় তিনি সৃষ্টি করেছিলেন নতুন ধারা। কবির ৯০তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি ২৩ অক্টোবর বিকালে একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কবি শামসুর রাহমান বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, মিতসুবিসি পুরস্কার, স্বাধীনতা পদক, আনন্দ পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধিতে ভূষিত করে। তার ষাট বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জাতীয় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল ১৯৮৯ সালে।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।