মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
ঢাকা কাস্টমস হাউজে ৪৮ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ইউনিটে বদলি কি আইওয়াশ?

বিশেষ সংবাদদাতা : জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীন ঢাকা কাস্টমস হাউজে কর্মরত একযোগে ৪৮ কর্মকর্তাে হাউজের বিভিন্ন ইউেিট বদলি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন অতিরিক্ত কমিশনার , এজন যুগ্ম কমিশনার, ১৮ জন ডেপুটি কমিশনার এবং ২৭ জন সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা। গত ৩১ ডিসেম্বর এ রদবদল করা হয়। এর মধ্যে ঢাকা কাস্টমস হাউজে প্রিভেনটিভে কর্মরত ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরিকে আবার সেই একই দায়িত্বে বদলি করা হয়েছে। ডেপুটি কমিশনার অলোক কুমার হাজরাকে এয়ারফ্রেইট থেকে সরিয়ে দিয়ে তার উত্তরসুরি হিসেবে ডেপুটি কমিশনার আকতার হোসেনকে এয়ারফ্রেইটে বদলি করা হয়েছে। কুরিয়ার শুল্কায়ন থেকে ডেপুটি কমিশনার শাহেদ আহমদকে বদলি করে আারেক ডেপুটি কমিশনার ইসরাত জাহান মনিকে কুরিয়ারে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এ দিকে অতিরিক্ত কমিশনার-১ কাজি তৌহিদা আখতারকে শুল্কায়ন গ্রুপ-১,৩/এ, ৪ ও কুরিয়ারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আর অতিরিক্ত কমিশনার-২ তাসনিমুর রহমানকে জনসংযোগ এবং শাহজালাল বিমানবন্দরের কাস্টমস হলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। একমাত্র যুগ্ম কমিশনার মুহা. মাহবুবুর রহমানকে বিমানবন্দর থেকে এয়ারফ্রেইট ইউনিটের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
নতুন বছরের শুরুতে ঢাকা কাস্টমস হাউজের এই আন্ত: বদলি অনেকটা আইওয়াশ বলে হাউজের অনেক কর্মকর্তাকে মন্তব্য করতে শোনা যায়।
এয়ারফ্রেই ইউনিট থেকে ডিসি অলোক কুমারকে সরিয়ে সেখানে আকতার হোসেন এবং ওভারঅল তদারকির জন্য যুগ্ম কমিশনার মুহা. মাহবুবুর রহমানকে দায়িত্ব দেয়ায় ২০ ব্যসায়ী সিন্ডিকেট নাখোশ। তারা এ আমলে ব্যবসা করবে না বলে তাদের মধ্যে অনেককে বলাবলি করতে শোনা গেছে। কারন ডিসি অলোক কুমারের আমলে এয়ারফ্রেইটকেন্দ্রিক ২০ কর্মাশিয়াল ব্যবসায়ী যে সুযোগ-সুবিধা পেতো নতুন যুগ্ম কমিশনারের আমলে তা পাবে না- এমন আশংকা করছে।
উল্লেখ্য, এনবিআরের আদেশে যুগ্ম কমিশনার মুহা. মাহবুবুর রহমান এবং ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরিকে ঢাকা কাস্টমস হাউজ থেকে বদলি করা হলেও তা পরবর্তীতে কার্যকর করা হয়নি।
প্রিভেনটিভ রাজস্ব কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্য : ঢাকা কাস্টমস হাউজে প্রিভেনটিভ বিভাগে রাজস্ব কর্মকর্তা হারুনর রশিদেও ঘুষ বানিঝ্য থেমে নেই বরং এ মাত্রা আরো মাত্রাতিরিক্ত হয়েছে। তিনি যখন সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে কুরিয়ারে, চলতি দায়িত্বে রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতের তখন ঘুষের পরিমান আার প্রিভেনটিভ রাজস্ব কর্মকর্তৃা হিসেবে ঘুষের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে বলে সিএন্ডএফ এজেন্টরা বলাবলি করছেন। প্রিভেনটিভ রাজস্ব কর্মকর্তাকে ফাইল প্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় বলে কর্মাশিয়াল ব্যবসায়ীরা বলে বেড়ান। নজরুল নামের একজন বহিরাগতের মাধ্যমে এই ঘুষের টাকা হাতিয়ে নেয়া বলেও ব্যবসায়ীরা বলে বেড়ান।
রফতানিতে সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা আখতারের ঘুষ বাণিজ্য লাগাম টেনে ধরবে কে? রেজা নামের একজন বহিরাগতের মাধ্যমে সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা আখতার প্রতিটি রফতানি পণ্যের ফাইল থেকে ফাইল প্রতি ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয় বলে রফতানিকারকরা জিম্মি হয়ে পড়েছে। এতে রফতানি বাণিজ্যে ধস নামছে। ঘুেষর কারণে অপ্রাপ্ত কাকড়া হয়ে যাচ্ছে প্রাপ্ত বয়ষ্ক কাকড়া, চন্দকাঠ হয়ে যাচ্ছে ফার্নিচার আর সবজির কাটনে মাদকের চালান পাচার সংক্রান্ত গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছে। গোয়েন্দারা ইতিপূর্বে এ ধরনের চালান জব্দও করেছে।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।