রবিবার, ০২ Jun ২০২৪, ০৯:০১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সফলতার দশ বছরে সিভিল এভিয়েশনের ব্যাপক উন্নয়ন , ঘটতে যাচ্ছে বিপ্লব

একুশে বার্তা ডেক্স : শেখ হাসিনার সফলতার দশ বছর শাসনামলে সিভিল এভিয়েশনেও রয়েছে অভাবনীয় উন্নয়নের স্বাক্ষর। ত্রিশ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে এ সময়ে। এগুলোর কয়েকটি বাস্তবায়নের পথে। সবচেয়ে ব্যয়বহুল ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যেই কার্যাদেশ দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশাল কর্মযজ্ঞের জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রকৌশল বিভাগ। এছাড়া বঙ্গবন্ধু এয়ারপোর্ট প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজও শেষ। এখন প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পের স্থান নির্বাচন করলেই শুরু হবে বাকি কাজের প্রস্তুতি। বর্তমান সরকারের সর্বশেষ একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে সিলেট ওসমানি বিমানবন্দরে টার্মিনাল ভবন নির্মাণে আড়াই হাজার কোটি ও কক্সবাজার দ্বিতীয় প্রকল্পে আরও ৩ হাজার ফুট রানওয়ে বৃদ্ধি করার জন্য ৪ হাজার কোটি টাকা আর্থিক বরাদ্দ অনুমোদন দেয়া হয়। চট্টগ্রামের শাহ আমানত, সৈয়দপুর, রাজশাহী, যশোর, বরিশাল বিমানবন্দরে চলছে বিশেষ সংস্কারের কাজ। গত দশ বছরে নেয়া সিভিল এভিয়েশনের এসব প্রকল্পের বেশির ভাগই বাস্তবায়নের পথে এবং আগামী তিন বছরের মধ্যে তার সুফল পাবে দেশী-বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলো। আকাশপথের এমন বৈপ্লবিক পরিবর্তনের পাশাপাশি আগামী ৫০ বছরে এভিয়েশন খাতের অবকাঠামো কি হবে সেটারও পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরামর্শক কোম্পানি ইতোমধ্যে তারও একটা রূপরেখা প্রণয়ন করেছে। এসব প্রকল্পের পাশাপাশি নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর জন্য সিভিল এভিয়েশনের ক্যাটাগরি-১ করার জন্য চলছে জোর প্রস্তুতি।

সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল নাইম হাসান বলেছেন, এই মেগা প্রকল্পগুলোর কয়েকটির দরপত্রের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। আগামী তিন বছরেরর মধ্যে এসব প্রকল্প শেষ হলে বদলে যাবে দেশের এভিয়েশন খাত। বলতে পারেন আকাশ পথের বিপ্লব এখন সময়ের ব্যাপার। প্রধানমন্ত্রী নিজে এসব প্রকল্পের অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। কাজেই এগুলো এখন আর স্বপ্ন নয়-সত্যি সত্যিই ঘটতে যাচ্ছে। যেমন কক্সবাজার বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবন ও শাহজালালের হ্যাঙ্গার প্রতিস্থাপন ও এ্যাপ্রোন তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে গত মাসেই। এগুলো সম্পন্ন হলে এ দেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম হাব। এভিয়েশন সেক্টরে এভাবেই ঘটতে যাচ্ছে বিপ্লব।

এসব প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সিভিল এভিয়েশনের বর্তমান চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল নাইম হাসান, মেম্বার (অপস) এয়ার কমোডর মোস্তাফিজুর রহমান ও প্রধান প্রকৌশলী সুধেন্দু বিকাশ গোস্বামীর নেতৃত্বে প্রকল্পগুলোর সার্বিক তদারকি চলছে। তাদের সঙ্গে রয়েছেন দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞ। মূলত এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে বদলে যাবে দেশের এভিয়েশন খাত। নবদিগন্তের সূচনা হবে দক্ষিণ এশিয়ার আকাশ যান চলাচলে। দুবাই হংকং সিঙ্গাপুরের মতো হাব গড়ে তোলার বিপুল সম্ভাবনা থেকেই প্রকল্পগুলো অগ্রাধিকার পাচ্ছে।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।