শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০১:১৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
আল জাজিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদন : সেনাসদরের প্রতিবাদ

নিউজ ডেক্স : ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স ম্যান’ শিরোনামের আল জাজিরায় প্রচারিত রিপোর্টের প্রতিবাদ জানিয়েছে সেনাসদর দপ্তর। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর থেকে পাঠানো প্রতিবাদে বলা হয়, একটি স্বার্থান্বেষী চক্রের মাধ্যমে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স ম্যান’ শিরোনামের আল জাজিরায় প্রকাশিত সাজানো এবং অসৎ উদ্দেশ্যে করা প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে সেনা সদর দপ্তর। যে চক্রটি সামপ্রতিক সময়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে, এই প্রতিবেদনটি তাদেরই সৃষ্টি। প্রতিবেদনে থাকা ভাষ্যকার ডেভিড বার্গম্যান একজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত ব্যক্তি। প্রতিবেদনে ‘সামি’ হিসেবে প্রদর্শিত হওয়া জুলকারনাইন সায়ের খান মাদকাসক্তির কারণে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে বহিষ্কার হওয়া সাবেক ক্যাডেট। এবং তাসনিম খলিল অখ্যাত গণমাধ্যম নেত্র নিউজের প্রধান সমপাদক। তাদের অসৎ উদ্দেশ্য ও স্বার্থান্বেষী চরিত্রের বন্ধন অতীতেও সপষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, এটি কোনোভাবে স্পষ্ট নয় যে, আল জাজিরার মতো একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কীভাবে এরকম একটি অসৎ উদ্দেশ্যপূর্ণ ও অপরাধের ইতিহাস থাকা চক্রকে সহযোগিতা করছে।

আলাদা বিভিন্ন অনুষ্ঠান, সামাজিক ও ব্যক্তিগত ঘটনা প্রযুক্তির মাধ্যমে সমন্বয় করে ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। বিচ্ছিন্ন বিভিন্ন ঘটনা এডিট করে ব্যাকগ্রাউন্ডে ভয়েজ লাগানো হয়েছে।

ইসরাইল থেকে মোবাইল ফোন নজরদারি প্রযুক্তি কেনার বিষয়ে প্রতিবেদনে যে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়েছে বাংলাদেশ আর্মি তার নিন্দা জানাচ্ছে। বাস্তবতা হচ্ছে, এই প্রযুক্তি হাঙ্গেরি থেকে আনা হয়েছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে থাকা একটি আর্মি কন্টিনজেন্টসের জন্য। এই ডিভাইসের কোথাও উল্লেখ বা লেখা নেই যে, এটি ইসরাইলে তৈরি। ইসরাইলের সঙ্গে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক সমপর্ক নেই তাই দেশটির থেকে সামরিক প্রযুক্তি আমদানিরও কোনো সুযোগ নেই।

প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, বাংলাদেশের বিকাশ ও উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করতেই ওই স্বার্থান্বেষী মহল সরকারের বিভিন্ন অংশের মধ্যে থাকা ঐক্য বিনষ্টের চেষ্টা হিসেবেই এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে বলে মনে করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বর্তমান চেইন অব কমান্ডের অধীনে সব থেকে বেশি সুশৃঙ্খল এবং সংবিধান ও সরকারের প্রতি অনুগত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অতীতেও সরকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মাতৃভূমির উন্নয়নের অংশীদার ছিল। ভবিষ্যতেও সেনাবাহিনীর এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

 

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।