শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
অবশেষে ‘কাঠগড়ায়’ দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান :নেপথ্যে বাঘব-বোয়ালদের অব্যাহতি

নিউজ ডেক্স : দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ অবসরে যাওয়ার আগের পাঁচ মাসে অনুসন্ধান পর্যায়ে যাদের দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তাদের তালিকা চেয়েছেন। আগামী ১১ এপ্রিলের মধ্যে এ তালিকা দাখিল করতে দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দুদকে ‘অনুসন্ধান বাণিজ্য’ শিরোনামে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের পক্ষে প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ দাখিল করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুদক চেয়ারম্যানের বিদায় নেওয়ার আগের পাঁচ মাসে বহু রাঘববোয়ালকে দুর্নীতির অভিযোগ

থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন বলে দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত ১৬ মার্চ  মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। ১৪ মার্চ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে নেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। আদেশের আগে শুনানিতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। এর আগে গত ১০ মার্চ ইকবাল মাহমুদ দুদক থেকে অবসরে যান।

‘দুদকে অনুসন্ধান বাণিজ্য’ শিরোনামে ১৪ মার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বিদায়ের আগে দুর্নীতির বহু রাঘববোয়ালকে ছেড়ে দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তাদের দায়মুক্তি আড়াল করতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন কিছু নিরীহ ও দুর্বল ব্যক্তিকে। সব মিলিয়ে শেষ পাঁচ মাসে তিনি দুই শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি (দায়মুক্তি) দেন। তথ্য নির্ভরযোগ্য সূত্রের।

এদিকে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশনে ১০ বছর ধরে জালিয়াতি এবং ২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে সংস্থাটির অবস্থান কী, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। বীমা কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে তা ১১ এপ্রিলের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে এ রিপোর্টের পক্ষে তথ্য-প্রমাণ আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘১০ বছর ধরে জালিয়াতি, ২৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ’ শিরোনামে গত ১৬ মার্চ  মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটি নজরে আনার পর এ আদেশ দেন হাইকোর্টের এই একই বেঞ্চ। সূত্র- আমাদের সময়

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।