বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সংবাদ সম্মেলনে প্রগতিশীল ছাত্র জোট : ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ২৯ জানুয়ারি সারাদেশে ছাত্র ধর্মঘট

একুশে বার্তা প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কার্যালয়ে ‘নিপীড়নবিরোধী’ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ২৯ জানুয়ারি সারাদেশে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। ভিসিকে উদ্ধারে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের পেটায় ছাত্রলীগ।চবিতেও  প্রগতিশীল ছাত্রজোটের মিছিলে ‘ছাত্রলীগ  হামলা করা হয় বলেও সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়। ২৯ জানুয়ারি ছাত্র ধর্মঘটের আগে  অাগামি  ২৬ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সংহতি সমাবেশ এবং ২৮ জানুয়ারি সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর এই জোট।

২৪ জানুয়ারি বুধবার মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে জোটের নেতা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের একাংশের সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

অন্যান্যের মধ্যে ছাত্রফ্রন্টের আরেক অংশের সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের  সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন ,  ছাত্রফ্রন্টের একাংশের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন এ সংবাদ সম্মেলনে।

ইমরান হাবিব রুমন বলেন, “আদালত ছয় মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন করার রায় দিয়েছে। সেই নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশ্যেই গত ২৩ জানুয়ারি   ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।”

ভিসি কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে দুই দফা হামলার ঘটনায় দায়ী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, প্রক্টর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচির সময় ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

ইমরান হাবিব রুমন বলেন, মঙ্গলবার হামলার ঘটনার প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্রজোট বুধবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট এমসি কলেজ ও ঢাকায় মিরপুর বাংলা কলেজে তাদের এ কর্মসূচিতেও হামলা হয়েছে।

ছাত্রী নিপীড়নে জড়িত ছাত্রলীগ কর্মীদের বহিষ্কারের দাবি পূরণ না হওয়ায় ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থী’ ব্যানারে মঙ্গলবার দুপুরে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করে একদল শিক্ষার্থী। বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারাও সেখানে সক্রিয় ছিলেন।

বিক্ষোভকারীরা অন্তত তিনটি ফটক ভেঙে উপাচার্যের দরজার সামনে অবস্থান নেন। তিন ঘণ্টার বেশি সময় অবরুদ্ধ থাকার পর উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান পেছনের ফটক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীরা তাকে আটকে দেয়।

পরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি দল উপাচার্যকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করতে যায় এবং রড-লাঠি নিয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয়।

ওই ঘটনার প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র ফ্রন্টের নেতা রুমন লিখিত বক্তব্যে বলেন, “নির্যাতনবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠন ও  সচেতন শিক্ষার্থীরা বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছে। প্রক্টরের পদত্যাগ ও মামলা প্রত্যাহারসহ শিক্ষার্থীরা উপচার্য কার্যালয়ে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে উপচার্যকে অবরুদ্ধ করে। তখন ছাত্রলীগ ত্রিমুখী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। রড লাটিসোঁটা দিয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা দফায় দফা হামলা করে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক বিভিন্ন আন্দোলনের খবর নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্কট তীব্র হবে বিবেচনায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। ওই আন্দোলনের প্রতি জোটের কোনো সমর্থন বা সম্পৃক্ততা ছিল না।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।