শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৯:৪৫ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
তবুও আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার : ঢাকা টেস্টে দুই দিন শেষেই শ্রীলঙ্কা এগিয়ে ৩১২ রানে। ওদের হাতে আছে এখনো দুই উইকেট। তারা এই রানে থামলেও বাংলাদেশকে জিততে গড়তে হবে রেকর্ড। চতুর্থ ইনিংসে বাজিমাত করার সে চ্যালেঞ্জ নাকি নিচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের সেরা পারফর্মার ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাটিং ধসের মাঝেও এক প্রান্তে ৩৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। পরে বল হাতেও পেয়েছেন দুই উইকেট। তার কাছে জানতে চাওয়া টার্নিং পিচে মাইলখানেক দূরে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ দলের হাওয়া আসলে কতটা আত্মবিশ্বাসী? পরিসংখ্যান যতই অসম্ভবের ছবি দেখাক, মিরাজ বলছেন বাংলাদেশ বিশ্বাস করছে সবই সম্ভব, ‘ম্যাচেতো সব কিছুই হতে পারে। আমাদের লক্ষ্য আগামীকাল (আজ) দ্রæত দুটি উইকেট নেওয়া। আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে, সকালে দ্রæত উইকেট তুলে নেওয়ার পর ওরা যাই রান করুক না কেন, সেটা চেজ করার।’
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে চতুর্থ ইনিংসে ২০৯ রানের বেশি তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই। ২০৯ রানের রেকর্ডটাও বেশ আগের। ২০১০ সালে তখনকার বাংলাদেশকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। তাও মিরপুরের রেকর্ড না হয় ভাঙা গেল। কিন্তু আরও কিছু পরিসংখ্যান বোঝাচ্ছে কাজটা আসলে কতটা কঠিন। ক্রিকেট ইতিহাসে অমন আছে হাতেগোনা। উপমহাদেশের মাঠে তো আরও কঠিন। উপমহাদেশে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডই ৩৯১ রানের। শ্রীলঙ্কা যদি আর এক রানও যোগ না করে অল আউট হয়, আর বাংলাদেশ সেটা তাড়া করে জিতে যায় তবে উপমহাদেশের মাঠে পঞ্চম সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড হয়ে যাবে।
টেস্টে ৩০০ রান তাড়া করে জেতার কোন ইতিহাস নেই বাংলাদেশের। ২০০৯ সালে দ্বিতীয় সারির ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২১৭ রান তাড়া করে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দেশের শততম টেস্টে শ্রীলঙ্কার মাঠে ১৯১ রান তাড়ায় জয় পায় বাংলাদেশ। মিরাজ বিদেশের মাঠের ওসব স্মৃতি থেকে পাচ্ছেন আত্মবিশ্বাসের রসদ, ‘শ্রীলঙ্কা মাটিতে গিয়ে আমরা একটা টেস্ট জিতেছিলাম। আমার কাছে মনে হয় শ্রীলঙ্কার মাটিতে দুইশো রান (আসলে ১৯১) চেজ করে জিততে পারলে আমার মনে হয় নিজেদের মাটিতে আমরা ৩০০ প্লাস রান করে জিততে পারব। এটাই আমাদের আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। অবশ্যই আমাদের সিনিয়র খেলোয়াড় যারা আছে, তারা ভালো খেলবে দায়িত্ব নেবে।’
প্রথম ইনিংসে যে দল ১১০ রানে গুটিয়ে যায়, তারা কীভাবে পরের ইনিংসে তিনশো রান তাড়া করে জিতবে। আত্মবিশ্বাসের পেছনের ভিত্তিটা আসলে কিসে? মিরাজের মতে দলের সিনিয়র আর ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যানরাই দিচ্ছেন সে বিশ্বাস, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাস আছে। যারা ব্যাটসম্যান আছে সবাই খুব আত্মবিশ্বাসী! মুমিনুল ভাই, তামিম ভাই, মুশফিক ভাই, লিটন আছে। সবার মধ্যে আত্মবিশ্বাস আছে। প্রথম ইনিংসে এমনটা হতেই পারে। এটা আসলে দুর্ঘটনা বলবো।’

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।