শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩:০৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
„ময়নাতদন্ত রিপোর্ট : হত্যার শিকার টাঙ্গাইলে সৃষ্টি স্কুলের ছাত্র শিহাব : আত্মহত্যা বলে প্রচার করে শিক্ষক আনোয়ার- শহিদ

সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলে সৃষ্টি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিহাবকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেয়ে একথা নিশ্চিত করেছে জেলা সিভিল সার্জন।২৬ জুন  দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেন টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল ফজল মোঃ সাহাবুদ্দিন খান।

এ দিকে এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল আনোয়ার হোসেন ও শিক্ষক শহিদ। শিহাবের ফুফাত ভাই আলামিন শিকদার দাবি করেন শিহাবকে হত্যা করা হয়েছে।

গত ২০ জুন সোমবার টাঙ্গাইলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি স্কুলের আবাসিকে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র শিহাব (১২) এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবার সদস্যরা দাবী করে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে এবং সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল আনোয়ার হোসেন জানান, সে ঝর্ণার সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

নিহত শিহাব টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বেরবাড়ি এলাকার সিঙ্গাপুর প্রবাসী ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।

জানা যায়, সোমবার (২০ জুন) সন্ধ্যার দি‌কে শহ‌রের বিশ্বাস বেতকা সুপারি বাগান এলাকায় সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের আবাসিক ভবন থেকে তার মর‌দেহ‌টি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় দায়িত্বরত শিক্ষকরা।

শিহাবের ফুপাতো ভাই আল আমিন সিকদার জানান, গত জানুয়ারিতে শিহাবকে সৃষ্টি স্কুলের আবাসিকে ভর্তি করা হয়। হঠাৎ সৃষ্টি স্কুল থেকে ফোন দিয়ে বলা হয়, শিহাব অসুস্থ আপনারা তাড়াতাড়ি আসেন। পরবর্তীতে ওই নাম্বারে ফোন দিয়ে শিহাবের অসুস্থতার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়, সিএনজি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। তাড়াহুড়ো করে সৃষ্টি স্কুল ভবনের কাছে গেলে সেখানে ঢুকতে না দিয়ে তারা বলে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য। হাসপাতালে আসার পর শুনতে পাই শিহাব মারা গেছে।

স্কুলের শিক্ষকরা বলেন, স্কুলের আবাসিকের বাথরুমে ঝুলন্ত অবস্থায় শিহাবকে দেখার পর সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

সৃ‌ষ্টি একা‌ডে‌মিক স্কু‌লের শিক্ষক শ‌হিদ ব‌লেন, ওই শিক্ষার্থীর মর‌দেহ বাথরু‌মের ঝর্ণার সঙ্গে গামছা পেঁচি‌য়ে আত্মহত্যা ক‌রে‌ছে। মায়ের সঙ্গে ব‌নিবনা না হওয়ায় ছে‌লে‌টি আত্মহত্যা কর‌তে পা‌রে।

আবাসিক কক্ষ থেকে লাশ উদ্ধারের পর প্রথমে প্রতিষ্ঠানটি আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে নিশ্চিত হলো এটা হত্যা।

এদিকে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর থেকে অধিকতর কঠোর বিচারের দাবী জানানো হয়েছে যেন পরবর্তীতে আর কোন শিক্ষক এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।