শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১০:২০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পাস

একুশে বার্তা ডেক্স : জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট পাস করা হয়েছে। এ বাজেট আগামী সোমবার (১ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে। খবর বাংলা নিউজ

রোববার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে ‘২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্য অর্থবছরের কার্যাদি নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল হতে র্অথ প্রদান ও নির্দিষ্টকরণ বিল’ পাসের মাধ্যমে এই বাজেট গৃহীত হয়।

গত ১৩ জুন জাতীয় সংসদে ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শীর্ষক এ বাজেট উথাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, তার পক্ষে বাজেট বক্তৃতার একাংশ পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাজেট পাসের প্রক্রিয়ায় মন্ত্রীরা নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের ব্যয় নির্বাহের যৌক্তিকতা তুলে ধরে মোট ৫৯টি মঞ্জুরি দাবি সংসদে উথাপন করেন। দাবিগুলো সরকারি দলের সদস্যের কণ্ঠভোটে পাস হয়। ৪৮৪টি ছাঁটাই প্রস্তাবের মধ্যে ৪টি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের উপর আনীত ছাঁটাই প্রস্তাবে বিরোধীদলের সদস্যরা আলোচনায় অংশ নেন। পরে কণ্ঠভোটে ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো নাকচ হয়ে যায়। তারপর সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়ে নির্দিষ্টকরণ বিল-২০১৯ পাসের মাধ্যমে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন করেন। বিলটি উথাপন ও পাস করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের মাধ্যমে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর সরকারের এই মেয়াদের প্রথম বাজেট এটি। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালেরও ঘোষিত প্রথম বাজেট এটি। গত অর্থবছরের মতো এবারও বিরোধীদলের সদস্যরা বাজেট আলোচনায় অংশ নেন।

গত ১৩ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, অন্যান্য মন্ত্রীসহ সরকারি-বিরোধীদলের সদস্যরা সম্পূরক বাজেট ও মূল বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নেন।

নতুন অর্থবছরের জন্য পাস হওয়া ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট বিদায়ী ২০১৮-১৯ র্অথবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি।

নতুন বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির ধরা হয়েছে ৫ দশমকি ৫ শতাংশ। উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা, যা বিদায়ী র্অথবছরের সংশোধিত উন্নয়ন বাজটেরে চেয়ে প্রায় ২২ শতাংশ বেশি।

নতুন বাজেটে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। ভ্যাট থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করা হবে ১ লাখ ২৩ হাজার ৬৭ কোটি টাকা। বাজেটে জিডিপির ঘাটতি ধরা হয়েছে ৫ শতাংশ

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।