মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
ডিজিটাল গরুর হাট : বিক্রি হবে ৮ লাখ গরু

.ডেক্স রিপোর্ট : গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘রাজা বাবু’। প্রায় দুই টন ওজনের এই গরু আছে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দেলুয়া গ্রামের একটি খামারে। কোনো হাটে বা বাজারে নয়, বিক্রির জন্য রাজা বাবু এখন অনলাইন দোকানে। এর ছবি ও পরিচিতিও আছে সেখানে। ২২ লাখ টাকা দাম চাওয়ার পর রাজা বাবুকে দেখতে মালিক ইতি আক্তারদের খামারে রীতিমতো মেলা জমে উঠেছে।

শুধু রাজা বাবু নয়, এবারের কোরবানির ঈদে যে ৫০ লাখ গরু বিক্রি হবে, তার মধ্যে ৮ লাখ গরু সরাসরি খামার ও অনলাইনে বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছোট ও মাঝারি খামার, অনলাইন দোকান, ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব গরু বিক্রি হচ্ছে। এসব খামার ও অনলাইন দোকানের উদ্যোক্তারা বলছেন, তিন বছর ধরে এভাবে গরু বিক্রির হার তিন থেকে চার গুণ বেড়েছে। ঈদের আগে সুবিধাজনক সময় এসব গরু ক্রেতাদের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।

তিন বছর ধরে কোরবানির পশুর হাটে দেশি গরুর সংখ্যা বাড়ছে। মূলত ভারত ও মিয়ানমার থেকে গরু আসা কমে যাওয়ায় এই খাতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসছেন। গরু লালন-পালনের পাশাপাশি কেনাবেচায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের কর্মীরা কারিগরি সহায়তা দিচ্ছেন। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে এই খাতে অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।

এ বছর শুধু পিকেএসএফের মাধ্যমে ১০ লাখ গরু স্বাস্থ্যসম্মতভাবে মোটাতাজা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ লাখ গরু বিক্রি হবে অনলাইন ও সরাসরি খামার থেকে। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফারমারস অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে বিক্রি হবে ২ লাখ গরু।

এ ব্যাপারে পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশে গবাদিপশু লালন-পালনে একটি নীরব বিপ্লব ঘটে গেছে। আমরা যে ১০ লাখ গরু লালন-পালনের জন্য অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছি, তাতে নিরাপদ খাবার, ওষুধ ও পরিবেশ নিশ্চিত করছি। প্রতিটি গরুর বিমার ব্যবস্থাও আমরা করেছি। ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতা দুই পক্ষ এতে লাভবান হচ্ছে।’প্রথম আলো

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।