রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিভিল এভিয়েশন : ৪ মাস সদস্য (প্রশাসন) এবং ১ বছর যাবত প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার পদ খালি, কাজে স্থবিরতা ,সমন্বয়হীনতা, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ

বিশেষ সংবাদদাতা : বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনে প্রশাসনের কি-পয়েন্টের গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ- ‘সদস্য প্রশাসন’ এবং বিমানবন্দরের নিরাপত্তা প্রদানের প্রধান নিয়ামক ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা বা সিএসও’ পদটি দীর্ঘদিন যাবত থালি থাকলেও এ পদ দুটিতে জনবল নিয়োগ দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। ফলে সিএিএবির প্রশাসনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। ছরি ঘুরাচ্ছে উপপরিচালক (প্রশাসন) নূরুল ইসলাম। তিনি অনেক ক্ষেত্রে পরিচালক (প্রশাসন)কেও গাইড বা মিস গাইড করছেন। আবার চোর-চুট্রা- দুর্নীতিবাজরা তার অফিসকক্ষে প্রতিনিয়ত আড্ডা দিচ্ছেন বলে সিএএবিতে চাউড় হয়ে গেছে। প্রশাসন স্থবির হওয়ার কারণে অনেক ক্ষেত্রে মাননীয় চেয়ারম্যানের মৌখিক আদেশও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। উপ-পরিচালক প্রশাসনের দোসর হচ্ছেন মেট্রিক পাস কেরানি থেকে পদোন্নতিপ্রাপ্ত সহকারি পরিচালক (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম।
খোজখবর নিয়ে জানা গেছে, সিএএবি থেকে গত ডিসেম্বরে সরকারের অতিরিক্ত সচিব, সদস্য (প্রশাসন) মো. হেমায়েত হোসেন চলে যাবার পর সরকারের আরেক অতিরিক্ত সচিব এহসান করিমকে এ পদে পদায়ন করে বিমান মন্ত্রণালয় থেকে এক দাপ্তরিকপত্র জারি করে। কিন্ত তিনি এ পদে যোগদান না করায় তা এক পর্যায়ে তা তামাদি হয়ে যায়। এরপর আর নতুন করে বিমান মন্ত্রণালয় থেকে সদস্য (প্রশাসন) পদে সরকারের আর কোন অতিরিক্ত সচিবকে সিএএবির (সদস্য) প্রশাসন পদে বদলি করা হয়নি। ফলে সিএএবির প্রশাসনে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
সূত্র জানায়, সিএএবিতে সদস্য (অর্থ) পদে কর্মরত সরকারের অতিরিক্ত সচিব মো.আাব্দুল হাইকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সদস্য (প্রশাসন) পদটির দায়িত্বভার দেয়া হয়েছে। তিনি এই পদে স্থায়ীভাবে আসার জন্য মনোনিবেশ করলেও সে সময়ে সরকারের আরেক অতিরিক্ত সচিব যিনি সিএএবি থেকে চলে গেছেন- তাকে সরাতে না পেরে আর এ পদে বসতে পারেননি।উল্টো তিনি সদস্য (প্রশাসন) পদে যতদিন হেমায়েত হোসেন কর্মরত ছিলেন ততদিন তিনি তাকে সিএএবি থেকে বদলির জন্যই কামনা করেছেন। অবশেষে তা ষোলকলায় পরিণত হতে চলেছে। তাকেই হয়তো বা সদস্য (প্রশাসন)-এর ফুল দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। তিনি এর আগে এ পদে অল্প কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্ত তিনি এ পদে স্থায়ীভাবে বসতে না পেরে সদস্য (অর্থ) পদেই ফিরে যান।
সূত্র জানায়, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার পদটি দীর্ঘ এক বছর যাবত খালি পড়ে আছে, এ পদে কোন জনবল নেই। সিএএবির নতুন অর্গানোগ্রামেও এ পদটি বাতিল করা হয়নি। তা হলে এ পদে কেন জনবল নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না-তা প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। সিএসও পদে জনবল নিয়োগ না দিয়ে পরিচালক ( নিরাপত্তা) পদ সৃষ্টি করে সে পদে বিমান বাহিনী থেকে জনবল এনে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দেখভাল করানো হচ্ছে। এতে সিভিল প্রশাসনের সাথে এভসেকের বিভিন্ন বাহিনী থেকে এনে পদায়নকৃতদের সাথে সিএএবির সিভিল প্রশাসনের সাথে বিমানের নিরাপত্তা নিয়ে সমন্বয়হীনতা বিরাজ করছে বলে অনেককে ভাবিয়ে তুলছে। নিরাপত্তা বিভাগের ডিউটি রোস্টার পর্যন্ত করছে এভসেক বাহিনীর সদস্যরা। সমন্বয়হীনতার ফলে শাহজালাল বিমানবন্দরে নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। একটার পর একটা অস্ত্র বিমানে ওঠা, বিমান ছিনতাই প্রচেষ্টার ঘটনায় পুরো দেশে আলোরণ সৃষ্টি করেছে, কর্তৃৃপক্ষকে ঝাকুনি দিয়েছে। কিন্ত এরপরও কর্তৃপক্ষের বোধোদয় হচ্ছে বলে মনে হয় না।
৬২ জনের সামরিক কায়দায় ট্রেনিং : সিএএবিতে সদ্য নিয়োগকৃত ৬২ সিকিউরিটি গার্ডকে বিমান বাহিনীর ট্রেনিং সেন্টার সিলেটের মৌলভীবাজারের শমসেরনগরে অনেকটা সামরিক কায়দায় ট্রেনিং দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় কোটি টাকা খরচ করতে হয়েছে। কিন্ত ৬২ জন নিরাপত্তা কর্মীর ইউনিফর্ম বা পোশাক নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে সদস্য নিরাপত্তা, সরকারের অতিরিক্ত সচিব এমদাদুক হক জানান, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আধুনিকায়নের স্বার্থে নবনিয়োগকৃত ৬২ জন গার্ডকে বিমান বাহিনীর ট্রেনিং সেন্টারে ট্রেনিং দেয়া হয়েছে। পরে এদেরকে সিএএবির সিএটিসিতে আবার আরেকটি ট্রেনিং দেয়া হবে।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।