রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০২:৫৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা)সহ ৩ কর্মকর্তাকে নিয়ে গুনজন

বিশেষ সংবাদদাতা : হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) নূরে আলম সিদ্দিকীকে নিয়ে বিমানবন্দরসহ সিভিল এভিয়েশনের সদর দপ্তরে গুনজন চলছে। তবে গত ৩ এপ্রিল পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন প্রশাসনিক বা দাপ্তরিক চিঠি ইস্যু করা হয়নি। সিএএবির সদর দপ্তরে কতিপয় কর্মকর্তার টেবিলে, মূল প্রবেশ গেটে রিসিভশনকক্ষে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের আলোকপাত করতে শোনা গেছে, এভসেক পরিচালক নূর স্যারকে সাসপেন্ড করার প্রক্রিয়া চলছে। তবে নূর স্যারকে তো খুব হাশিখুশিভাবে সদর দপ্তরে প্রবেশ করতে দেখা গেল, সাসপেন্ড হলে তো এমন হাসিখুশি ভাব দেখা যেতো না। হয়তো স্যার তদবির করে তার সাসপেন্ড প্রক্রিয়া ঠেকিয়ে দিয়েছেন।
তবে কেন পরিচালক (নিরাপত্তা) নূরকে সাসপেন্ড বা বদলি বা তার পুরনো কর্মস্থলে ফিরিয়ে নেয়া- এমন প্রশ্নের সদোত্তর পাওয়া যায়নি। সাম্প্রতিক শাহজালাল বিমানবন্দরে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় অস্ত্র বিমানে ওঠা, বিমান ছিনতাই প্রচেষ্টা, এভসেক সদস্যদের অনৈতিক কার্যকলাপ সর্বোপরি বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ঢিলেঢালার জন্য পরিচালক (নিরাপত্তা) নূরে আলম সিদ্দিকীকে দোষারূপ বা দায়ী করে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে তাকে সাসপেন্ড বা তার পুরনো কর্মস্থলে ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে সিএএবির চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে কি দিকনির্দেশনা দেবেন তার ওপর নির্ভর করছে পরিচালক (নিরাত্তা)’র প্রশাসনিক একশন। তবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এ ব্যাপারে নমনীয় মনোভাব রয়েছে বলে সিএএবি সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, শুধু পরিচালক (নিরাত্তা) নন- সিএএবির আরো ৩ কর্মকর্তাকে বদলির গুনজনও শোনা যাচ্ছে। এরমধ্যে সেকেন্ড ইন কমান্ড দীর্ঘদিন যাবত সিএএবিতে বহাল থাকলেও তাকে এখনও বদলি করা হয়নি। তার বিভিন্ন প্রশাসনিক পদক্ষেপে ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্টরা ফুসে ওঠেছেন। তারা তার বদলির প্রহর গুণছেন। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করছে বলেও শোনা যায়। তবে একটি সংস্থার দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তিকে একই পোস্টিংয়ে ৫ বছরেরও বেশি সময় দায়িত্বরত রাখা সঠিক না বলে অনেকে মতামত ব্যক্ত করেছেন। সংস্থার ফাস্ট কমান্ড-এর দ্বিতীয় মেয়াদে চাকরি নবায়নের সময় আগামি ২৮ জুন পর্যন্ত। এর আগেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নেবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।