স্টাফ রিপোর্টার : বিমানে অনিয়ম, দুর্নীতি, নিয়োগ কেলেঙকারি যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। দুদক ১৭ সিবিএ নেতাকে জিঙাসাবাদ করছে, কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে, কারো কারো বিদেশে ভ্রমণে নিষেধাঙা দিয়েছে। কিন্ত এরপরও বিমানে দুর্নীতি যেন বন্ধ হচ্ছে না সিন্ডিকেড সিন্ডিকেড দুর্নীতি অনিয়ম চলছে।
এবার শতাধিক সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগে ভয়াবহ নিয়োগ কেলেংকারির খবর পাওয়া গেছে। এই নিয়োগ বাণিজ্যের হেতা নাকি বিমানের এমডি এবং ৩ জিএম। এ ক্ষেত্রে কয়েকজন মন্ত্রী এবং এমপির সুপারিশকেও থোরাইকেয়ার করা হয়েছে।
জানা যায়, বিমানে নিরাপত্তা সহকারি এবং ক্যাজুরেল নিরাপত্তা গার্ড নিয়োগের বিঙপ্তি জারি করে বিমান কর্তৃপক্ষ। প্রায় ৫ হাজার প্রার্থৃী নিয়োগ পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ক্যাজুরেল নিরাপত্তা গার্ড পদে ৪০০ জনকে ভাইভায় সিলেক্ট করা হয়। এরমধ্য থেকে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ১০০ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিমানমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরি, এমপি ইলিয়াস মোল্লা, মেহের আফরোজ চুমকি, মির্জা আযম, মজহারুল ইসলাম প্রধানসহ অনেক মন্ত্রী-এমপির লিখিত সুরারিশ ছিল বিমানের চেয়ারম্যান –এডি বরাবর। কিন্ত এ সব সুপারিশকে পাত্তাই দেয়নি বিমান চেয়ারম্যান-এমডি। এ সব মন্ত্রী- এমপিদের সুপারিশযুক্ত কোন প্রার্থীকেই নিয়োগের তালিকাভুক্ত করা হয়নি। এ সব সুপারিশ সম্বলিত লেটার আমাদের দপ্তরে সংরক্ষিত আছে। কিন্ত এ সব সুপারিশের কোন প্রার্থীকেই নিয়োগ দেয়া হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই ১০০ জন ক্যাজুরেল নিরাপত্তা গার্ড নিয়োগের ক্ষেত্রে বিমানে এমডি, জিএম নিরাপত্তা, জিএম এডমিন, ডিজিএম নজরুল ইসলাম ( যিনি তার আপন ভাই বিমানের এমটি অপারেটর মাজেদের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকার ঘুষ হাতিয়ে নিয়ে চাকরি দিয়ে থাকেন বিমানে, ধরা খাবার পর আবার কয়েকজনকে নাকি ঘুষের টাকা ফেরতও দিয়েছেন- এমন কথা শোনা যায়, তবে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন) লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজেরা প্যানেল করে ১০০ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।