মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
„শুভ জন্মদিন, ম্যারাডোনা

খেলা ডেক্স : ফুটবলপ্রেমী ও আর্জেন্টিনা সমর্থক, কিন্তু ম্যারাডোনা তার নয়নের মণি নন। সেটা যেন হতেই পারে না। ম্যারাডোনা ঠাঁই পেয়েছেন কোটি ভক্তের হৃদয়ে। রবিবার (৩০ অক্টোবর) তার জন্মদিন।

১৯৬০ সালের এই দিনে আর্জেন্টিনার লানুস শহরে জন্মগ্রহণ করেন দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী এ তারকা। দুই বছর আগে ২৫ নভেম্বর প্রয়াত হন ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় এই তারকা। খবর সিএনএনের।

ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর পার হয়েছে ৭০৫ দিন। কিন্তু ভক্তদের হৃদয়ে এখনও আগের মতোই বড়সড় জায়গা দখল করে আছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। বলের ওপর তার নিয়ন্ত্রণ ও গোল করার অস্বাভাবিক ক্ষমতাটা যেন ভোলার মতোও নয়। তাই মরে গিয়েও ফুটবলপ্রেমীদের কাছে অমর হয়ে আছেন ম্যারাডোনা।

মাত্র ষোল বছর বয়সে ক্লাব ফুটবলে পা রাখেন ম্যারাডোনা। নিজ শহরের ক্লাব আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে অভিষেকের পর দুই দশকের ক্যারিয়ারে ক্লাব পরিবর্তন করেছেন মোট ছয় বার। আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হোম গ্রাউন্ডটিকে এখন ম্যারাডোনার নামে নামকরণ করা হয়েছে। বয়সে ছোট হওয়ায় খেলতে পারেননি ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে। তবে তা দমিয়ে রাখতে পারেনি সর্বকালের অন্যতম সেরা এই তারকাকে। ১৯৮২ বিশ্বকাপে গায়ে জড়ান আর্জেন্টিনার জার্সি। যদিও ব্রাজিলের বিপক্ষে লাল কার্ড খেয়ে সেবারের আসর শেষ হয় তার।

১৯৮৬ সালে নিজেকে বিশ্বসেরা প্রমাণ করেন ম্যারাডোনা। সেবার অনেকটা একাই আর্জিন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতান আর্জেন্টাইন এ কিংবদন্তি। টুর্নামেন্টে চমক দেখিয়ে জিতেছেন সেরা খেলোয়াড়ের তকমাও। পরের বিশ্বকাপেও সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন ম্যারাডোনা। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে দলকে তুলেছিলেন শিরোপার মঞ্চে। তবে নিজের দ্বিতীয় বিশ্বকাপটা অবশ্য জেতা হয়নি ম্যারাডোনার। এই আসরে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হন ম্যারাডোনা। ফলে ১৫ মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরলেও স্বাভাবিক ছন্দে আর দেখা যায়নি তাকে। ২০ বছরের আন্তর্জাতিক ও ক্লাব ক্যারিয়ারে আর্জেন্টাইন এই মহাতারকা মোট গোল করেছেন মোট ৩৪৬টি।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।