মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
শাহজালাল বিমানবন্দর : মুদ্রা পাচারের হাট ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জের ৩০ বুথ, শত কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন

ডেক্স রিপোর্ট : শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখন বৈদেশিক মুদ্রার অবৈধ লেনদেন ও পাচারের স্বর্গরাজ্য। সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের মোট ২৮টি বুথ এবং ২টি মানি এক্সচেঞ্জ হাউজসহ মোট ৩০টি বুথে প্রতিদিন ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে প্রায় শতকোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রার অবৈধ লেনদেন হয়।

খোদ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযান ও গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গোপন নজরদারিতে জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের বিমানবন্দর শাখার বুথ এবং এভিয়া মানি এক্সচেঞ্জার ও ইম্পেরিয়াল মানি এক্সচেঞ্জারের বুথে ভাউচার বিহীন ও সাক্ষরবিহীন ভুয়া ভাউচারে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করার সরাসরি প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার সঙ্গে সরাসরি সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে বলে জানা গেছে।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালানোর পর এবার দুদকের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিমকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে টিমের পক্ষ থেকে ওই সাতটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে। চিঠিতে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের নীতিমালা, বিগত অন্তত এক বছরে বিমানবন্দরের বৈদেশিক লেনদেনের তথ্য-উপাত্ত, বিভিন্ন সময়ে অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত আইনি ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন নথিপত্র তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা  বলেন, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের মোট ২৮টি বুথ এবং ২টি মানি এক্সচেঞ্জ হাউজসহ মোট ৩০টি বুথের মাধ্যমে প্রায় শতকোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে লেনদেন হওয়ার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া যায় দুদকের অনুসন্ধানে। এর সঙ্গে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধানের অনুমতি দিয়েছে কমিশন।

তিনি বলেন, জড়িত ব্যক্তিরা অবৈধভাবে ক্রয়কৃত ডলার, ইউরো, রিয়াল, রিঙ্গিত, পাউন্ড, দিনারসহ অন্যান্য ফরেন কারেন্সি সংগ্রহ করে অর্থপাচারকারীদের অবৈধভাবে সরবরাহ করে। এভাবে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচার হয়ে দেশের রিজার্ভ ঘাটতি তৈরি করছে তারা। যেখানে রিজার্ভ সংকটের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ জরুরি পণ্যসামগ্রী সময়মতো আমদানি না করতে পারার কারণে দেশের বাজারে প্রতিনিয়ত অস্থিরতা বিরাজ করছে।

গোয়েন্দা অনুসন্ধানে যা মিলেছে : দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযানকালে টিম কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে ছদ্মবেশে বিমানবন্দরের ব্যাংক এবং মানি এক্সচেঞ্জ হাউজের বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় বুথে যায়। ক্রেতা কিংবা বিক্রেতা সেজে পাসপোর্ট ও ভাউচারবিহীন বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করার চেষ্টা করে। সেক্ষেত্রে ব্যাংক ও এজেন্সির বুথে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ভাউচারবিহীন সরকারি বিনিময় হারের চেয়ে কম মূল্যে ক্রয় ও বেশি মূল্যে বিক্রয় করতে সম্মতি ছিল।

এনফোর্সমেন্ট চলাকালে জনতা ব্যাংকের এক্সচেঞ্জ বুথে দায়িত্বপালনকারী সিনিয়র অফিসার মানিক মিয়ার কাছ থেকে ভাউচারবিহীন বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। পাশাপাশি অন্যান্য ব্যাংকের বুথেও দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাদের ভাউচারবিহীন ক্রয়-বিক্রয়ের চিত্র পাওয়া যায়। এছাড়া মানি এক্সচেঞ্জ এজেন্সিগুলোর ক্ষেত্রেও একই চিত্র পাওয়া যায়। বিদেশ ফেরত হাজার হাজার প্রবাসী বিমানবন্দরে অবস্থিত ব্যাংকের মানি এক্সচেঞ্জ বুথ ও অন্যান্য মানি এক্সচেঞ্জ এজেন্সিগুলোতে বৈদেশিক মুদ্রা দেশীয় মুদ্রায় রূপান্তরিত করে থাকে। এনফোর্সমেন্ট পরিচালনাকালে জনতা ব্যাংকের শাখায় ১৩ ব্যক্তির কাছে ভুয়া ভাউচারে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। যার মধ্যে সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব ও দুবাইয়ের যাত্রীদের কাছ থেকে ২০২৩ সালের জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় করা হয়েছে বলে প্রমাণ পায় দুদক টিম।

 

অন্যদিকে ইম্পেরিয়াল মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি লিমিটেডের ইস্যু করা পাঁচটি ভাউচার এবং অগ্রণী ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের এয়ারপোর্ট বুথের ভাউচার পর্যালোচনা করা হয়। এতে দেখা যায়, পাসপোর্ট নম্বর, নাম, জাতীয়তা, রিসিভারস সিগনেচার পূরণ করার বিধান ও পাসপোর্ট নম্বর বাধ্যতামূলকভাবে লেখার নিয়ম থাকলেও কোনোটায় পাসপোর্ট নম্বর ও কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর কিংবা রিসিভারস সিগনেচার পাওয়া যায়নি।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, জনতা ব্যাংক এয়ারপোর্ট শাখার তিনজন কর্মকর্তা প্রিন্সিপাল অফিসার শামীম আহমেদ, সিনিয়র অফিসার মো. সুরুজ জামাল ও আশিকুজ্জামানকে ৩৬ লাখ টাকা ও ৭৫ লাখ টাকার বৈদেশিক মুদ্রাসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে। যাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। আর সোনালী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ অফিসার সামিউল ইসলাম ভাউচারবিহীন ১২৮ টাকা ধরে ৩৫০ ইউরো ক্রয় করার সময় টিমের নজরে আসে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি টিমকে জানান ব্যাংকের তহবিল থেকে তিনি সরকারি হারের চেয়ে কম মূল্যে ভাউচারবিহীন বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় করেছেন।

একই সময়ে অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধেও ভাউচারবিহীন বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়ের প্রমাণ পায় দুদক টিম। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দুদক টিমের কাছে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, নির্ধারিত বিনিময় হার কিংবা তার চেয়ে কম মূল্যে অগ্রণী ব্যাংকের তহবিল ব্যবহার এবং মাঝে মাঝে নিজের টাকা দিয়ে ভাউচারবিহীন বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় করে তা এয়ারপোর্টে অবস্থিত মানি এক্সচেঞ্জ হাউজ অথবা বাইরে অবস্থিত মানি এক্সচেঞ্জের নিকট নির্দিষ্ট একটা লাভে বিক্রি করে প্রাপ্ত টাকা থেকে ব্যাংকের তহবিল সমন্বয় করেন। জিজ্ঞাসাবাদে এভিয়ার মানি এক্সচেঞ্জের কর্ণধার সাইদুল হোসেন ও তার ভাই আসাদুল হোসেনের নাম উঠে আসে।

এ বিষয়ে এভিয়ার মানি এক্সচেঞ্জের কর্ণধার সাইদুল হোসেন বলেন, অভিযানের সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। আমার প্রতিষ্ঠান নিয়ম-নীতি মেনেই ব্যবসা করছে। দুদকের অভিযানে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে, আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেবে, এখানে আমার কোনো বক্তব্য নেই।

অনুরূপভাবে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) চারটি বুথেও ভাউচার ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়। সেখানে প্রায় ১৮ লাখ টাকার এনক্যাশমেন্টের দুর্নীতির তথ্য মিলেছে। এভাবে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের মোট ২৮টি বুথ এবং ২টি মানি এক্সচেঞ্জ হাউজসহ মোট ৩০টি বুথের মাধ্যমে প্রায় শতকোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে লেনদেন হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, বিদেশ থেকে ২০ হাজার ডলার বা তার সমপরিমাণ কারেন্সির বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আনলে কাস্টমসের কাছে ডিক্লারেশন বাধ্যতামূলক বিধায় অনেক যাত্রী মুদ্রার সঠিক ডিক্লারেশন না দিয়ে সরাসরি বিমানবন্দরের ব্যাংক মানি এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে কোনো প্রকার ভাউচার ছাড়াই বৈদেশিক মুদ্রা দেশীয় মুদ্রায় রূপান্তর করছে। অনেক যাত্রী বিদেশ থেকে আনীত ২২ ক্যারেটের ১০০ গ্রাম বেশি ওজনের গিনি সোনার ট্যাক্স পরিশোধের জন্য সরাসরি মানি এক্সচেঞ্জ বুথ থেকে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে ভাউচার ছাড়া দেশীয় মুদ্রা গ্রহণ করে কাস্টমস ট্যাক্স পরিশোধ করছে। এভাবে প্রতিদিন সোনার ট্যাক্স বাবদ প্রায় ২ থেকে ৩ কোটি টাকা কাস্টমস হাউস আদায় করে। প্রবাসীদের জিম্মি করে মানি এক্সচেঞ্জ হাউজ এবং ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তারা ভাউচারবিহীন ও এন্ট্রি ব্যতীত কারেন্সি এক্সচেঞ্জ করে। যার প্রমাণ দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমও পেয়েছে।

কেমন ছিল দুদকের অভিযান : প্রবাসী শ্রমিকদের কাছে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা অবৈধভাবে সংগ্রহ করে মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করছে একটি চক্র। ব্যাংককে বসেই অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা ক্রয় বিক্রয় ও মানিলন্ডারিং করছে একটি চক্র।

দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম গত ৫ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহাজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম ছদ্মবেশে তথ্য সংগ্রহ করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে। অভিযানকালে দুদক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানতে পারে, বন্দরে প্রায় ২১ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করে। যার ৮০ শতাংশ যাত্রী আন্তর্জাতিক রুটের। প্রবাসীরা পাসপোর্ট দেখিয়ে বিদেশ থেকে আনা বৈদেশিক মুদ্রা বিমানবন্দরে অবস্থিত বিভিন্ন ব্যাংকের বুথে থেকে ভাউচারের মাধ্যমে এনক্যাশমেন্ট করে দেশীয় মুদ্রায় রূপান্তরিত করতে পারে।

বিমানবন্দরের টার্মিনাল-২ তে গমন করে এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা দেখতে পায়, রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক পিএলসি, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, সোনালী ব্যাংক পিএলসিসহ একাধিক বেসরকারি ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় বুথ এবং একাধিক মানি এক্সচেঞ্জ হাউজ রয়েছে। যেহেতু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৪/৭ বিমান চলাচল করে এবং যাত্রীদের যাতায়াত রয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো সুষ্ঠুভাবে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য ২/৩ শিফটে ২৪ ঘণ্টা ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জ হাউজ বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় বুথ চালু রাখে। বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট প্রদর্শন এবং ভাউচার করে যথাযথভাবে হিসাব রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও ব্যাংকের অধিকাংশ বুথ ও মানি এক্সচেঞ্জ বুথগুলোতে দেখা যায়নি।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করার পর গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন সদ্য বদলি হওয়া সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, অনিয়মে জড়িত বিভিন্ন ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তা ও কিছু মানি এক্সচেঞ্জারের কারণে প্রতিদিন শত কোটি টাকা সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা থেকে ব্যাংকিং খাত বঞ্চিত হচ্ছে। সন্দেহভাজন ও জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তারা দুদকের নজরদারিতে রয়েছেন। তাদের মদদদাতা ও সহযোগীদের বিষয়েও কমিশনের নির্দেশে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কমিশন আইন ও বিধি অনুযায়ী পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অসাধু ব্যাংকাররা ব্যাংকের টাকা ব্যবহার করে তা ব্যাংকিং চ্যানেলে সংগৃহীত না দেখিয়ে নিজেরাই ক্রয়পূর্বক মার্কেটে বিক্রি করে দেন, যা পরবর্তী সময়ে মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আবার বিদেশে পাচার হয়ে যায়। এভাবে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা পাচার হয়ে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে।

দুদক সচিব বলেন, দুদক অভিযানে বিমানবন্দরে অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা ক্রয় বিক্রয়ে ও মানিলন্ডারিংয়ে জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ও যমুনা ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকের কর্মকর্তা এবং কিছু মানি এক্সচেঞ্জার প্রতিষ্ঠান, যেমন- এভিয়া মানিএক্সচেঞ্জার ও ইম্পেরিয়াল মানি এক্সচেঞ্জারের কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।