মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া

ডেক্স রিপোর্ট :  শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার দিবাগত রাত ২টা ৫৪ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আবারো রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্যে তাকে সিসিইউতে রাখা হয়েছে। বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবীর খান এ কথা জানান।

শনিবার দিবাগত রাত ১২টার পর পরই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার আকস্মিক অবনতি ঘটে। তারা চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের বেশ কজন সদস্য গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় যান। বেগম জিয়াকে পরীক্ষানিরীক্ষা শেষে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। রাত আড়াইটায় বেগম জিয়া হাসপাতালের উদ্দেশে রওয়ানা করেন।

তিনদিন আগেও গত বুধবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যার পর শারীরিক অবস্থার আকস্মিক অবনতি হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়ার প্রাথমিক চিন্তা করা হয়েছিলো।

সেদিন বেগম জিয়াকে চেক আপের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আপাতত কিছুটা সুস্থতা বোধ করছেন। এ কারণে তার মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন।

তার আগে গত ১৩ মার্চ বেগম খালেদা জিয়াকে শারীরিক কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়েছিলো। নিবিড় পর্যবেক্ষণের পর পরদিন তিনি বাসায় ফেরেন।

এর আগে পাঁচ মাসেরও বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গত ১১ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

এভারকেয়ার হাসপাতালেই চিকিৎসা করান দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।

২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পর থেকেই চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের পরিবারও বিভিন্ন সময়ে সরকারের কাছে অনুমতি চেয়ে আসছে। গত ২৭ মার্চ তার মুক্তির মেয়াদ আরো ৬ মাস (অষ্টম বারের মতো) বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু বিদেশ নেওয়ার অনুমতি মেলেনি।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুর্নীতির মামলায় সাজা স্থগিত করার শর্তে খালেদার মুক্তি হওয়ায় চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।

২০২০ সালে কারাগার থেকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।