মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৮:৩২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
‘৫৭ ধারার চেয়ে ৩২ ধারা আরো জঘন্য: ৩২ ধারা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী’ : জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি মন্তব্য করতে রাজি হননি

একুশে বার্তা প্রতিবেদন : ডিজিটাল আইনে ৩২ নাম্বার ধারায় সাংবাদিকতাকে গুপ্তচরের সমপর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন। বাংলাদেশে যত দুর্নীতিবাজ এবং অপরাধী আছে তাদেরকে সহযোগীতা করাই ৩২ ধারার উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেছেন, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রহুল আমিন গাজী। টিভিএনএ কে দেয়া সাক্ষাৎকারে তারা এসব কথা বলেন।

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ৩২ ধারায় সাংবাদিকদের নাম উল্লেখ না করলেও বলা হয়েছে, কেউ যদি কোন সরকারী অফিসে গিয়ে ডিজিটাল ডিভাইসে কিছু ধারণ করে সেটা হবে গুপ্তচর ভিত্তি। সাধারণ মানুষও যেখানে মোবাইল ফোন বা আইপেডে সহজে অনেক কিছু ধারণ করে। সেখানে সাংবাদিকরা তাদের প্রয়োজনে যেকোনো কিছুই ধারণ করতে পারবে না এটা কেমন কথা। সাংবাদিক যেখানে যে তথ্য পায় সেটাই নিবে। কারন তারা তথ্যের সন্ধানেই থাকে। তিনি বলেন, আগে হয়তো তারা নোটবুকে লিখতো এখন ডিজিটাল ডিভাইসে ধারণ করে এটাই পার্থক্য। এই ধারায় গুপ্তচরভিত্তিক কথাটা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রতিবন্ধক। যে ৫৭ ধারা বাতিলের জন্য সাংবাদিকরা এতদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। সেটা বাতিল করে ৫৭ ধারার বিষয়গুলোকে বিভিন্নভাবে ৩২ নং ধারা নিয়ে আসা হয়েছে। যেটা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থি।

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বর্তমান সরকার সাংবাদিক বান্ধব সরকার। শেখ হাসিনা নিজেও সাংবাদিক বান্ধব। তাই এই সাংবাদিক বান্ধব সরকারের কাছে সাংবাদিকরা এটা প্রত্যাশা করে না। সামনে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার কেন এই ধরণের আইন করতে যাচ্ছে তা একটু ভেবে দেখা দরকার আছে।

সাংবাদিক রহুল আমিন গাজী বলেন, ৫৭ ধারা বাদ দিয়ে মন্ত্রীসভা নতুন ভাবে ৩২ ধারার খসড়া অনুমোদন করেছে। আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। কারন ৫৭ ধারায় ছিল কেউ কোন সংবাদ প্রকাশ করলে তাকে পরবর্তীতে গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু ৩২ নং ধারা সংবাদ খুঁজতে গেলেই সাংবাদিককে গ্রেফতার করা যাবে। তাহলে সাংবাদিক কিভাবে সংবাদ খুঁজবে। একজন সাংবাদিক যেকোনো খবরের পিছনে ছুটবে, অনুসন্ধান করবে, এবং সংবাদ প্রকাশ করবে এটাই সাংবাদিকতার স্বাভাবিক নিয়ম এবং ধর্ম। অনুসন্ধান যদি না করতে পারে তাহলে সংবাদ প্রকাশ করবে কিভাবে। তিনি বলেন, মানুষের বাক স্বাধীনতাকে রোধ করতে হবে, কন্ঠ রোধ করতে, স্বাধীন মিডিয়াকে থামাতে ৩২ ধারা প্রয়োগ করবে।
তাই ৫৭ ধারা যেমন ঘৃণীত ছিল ৩২ ধারা আরো বেশি ঘৃনীত। তাই এটাকে নিন্দা জানানোরও ভাষা নেই।
এ বিষয়ে প্রেস ক্লাব সভাপতি কোনো মন্তব্য করতে চায়নি। তিনি বলেন এ আইন পাশ না হওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।