মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সমুদ্র জয়ের পর এবার বাংলাদেশের মহাকাশ জয়ের পালা : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ আজ মধ্যরাতে

প্রযুক্তি ডেক্স : আড়াই হাজার বছর আগে গ্রিক দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ হিরাক্লিটাস বলেছিলেন, সূর্য প্রতিদিনই নতুন। তা সত্যি। তবু কিছু কিছু দিন থাকে, যেদিনের সূর্যোদয় হৃদয়ের আসনে চির-আসীন থেকে যায়। শাসকের অমানবিক নিপীড়ন-নির্যাতন পেরিয়ে, পাহাড়সম তিতিক্ষা উজিয়ে, ৩০ লাখ প্রাণের ত্যাগে সাত কোটি বাঙালি যেদিন একটি স্বাধীন জমিন পেয়েছিল, সবুজ সেই জমিনে লাল সূর্যের একটি পতাকা উড়িয়েছিল- সে দিনের সূর্যোদয় নিশ্চয় এক অনবদ্য উচ্চতা, অমোছনীয় ইতিহাস নিয়ে বাঙালির হৃদয়ে চিরস্থায়ী হয়ে আছে।

আজ ১০ মে ২০১৮। আজ দিন পেরিয়ে রাত ফুরোনোর পর পূর্বাকাশে নতুন যে সূর্যটি উদিত হবে, অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী এই জাতির হৃদয়ে সেই সূর্যোদয়টিও এক অনন্য উচ্চতাবাহী; মহাকাশ জয়ের এক অনবদ্য বার্তাবাহী হয়ে থাকবে চিরদিন। এদিন ফ্লোরিডার কেপ কেনাভেরাল থেকে মহাকাশে উড়াল দেবে বাংলাদেশের নিজের উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।

এখন আকাশ সংস্কৃতির যুগ। এ সংস্কৃতির বদৌলতে পুরো পৃথিবী চলে এসেছে হাতের মুঠোয়; হয়ে গেছে একটি গ্রাম। পৃথিবী ঘূর্ণায়মান। এই তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেই আজকের সভ্যতার এ অসামান্য আকাশজয়। অথচ আড়াই হাজার বছর আগে হিরাক্লিটাস প্রথম যখন বলেছিলেন যে, পৃথিবী ঘূর্ণায়মান, তখন অনেকেই ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করেছিল, হাসির ছলে উড়িয়ে দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারও প্রথম যখন জানায় যে, মহাকাশে স্বাধীন উপগ্রহ স্থাপনের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ, তখনও অনেকেই ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করেছিল। কিন্তু নিন্দুকদের মুখে ছাই দিয়ে সেই স্বপ্ন এখন বাস্তবে ধরা দিয়েছে।

ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও পরমাণু বিজ্ঞানী এপিজে আবদুল কালাম তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘উইংস অব ফায়ার’ এ বলেছিলেন, ‘তুমি ঘুমিয়ে যা দেখ, তা স্বপ্ন নয়; স্বপ্ন হচ্ছে এমন কিছু যা তোমাকে ঘুমোতে দেয় না।’ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল বাঙালিকে স্বাধীন করার জন্য তার মনে লালিত স্বপ্ন। নিন্দুকদের সমালোচনা আর শাসকগোষ্ঠীর অকথ্য অত্যাচার সয়ে, প্রাণ বাজি রেখে তিনি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছিলেন। এর পর স্বাধীন বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেকেই বলেছিলেন, এটি তলাবিহীন ঝুড়ি। কোনোদিনও এ দেশ মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারবে না; এক সময় মুখ থুবড়ে পড়বে। সেটিও মিথ্যা প্রমাণ করে তার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছিল দেশ। প্রায় চার যুগ আগেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, এ জাতির এগিয়ে যাওয়ার জন্য আকাশজয়ের বিকল্প নেই। তাই স্বাধীনতার মাত্র চার বছরের মধ্যেই, ১৯৭৫ সালে তিনি রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় স্থাপন করেন দেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র। এর পর দেশ ও দেশের স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রিদের ষড়যন্ত্রে নির্মমভাবে সপরিবারে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধু। শুরু হয় বাঙালির পশ্চাৎপদ, কলঙ্কিত এক অধ্যায়। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা যখন দেশের ক্ষমতায় আসীন হন, তখন ফের নতুন নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের ঝুলিতে যোগ হয় বেশকিছু ঐতিহাসিক অর্জন। একাত্তরের ঘাতক-দালাল, মানবতাবিরোধী অপরাধকারীদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়; বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের দাঁড় করানো হয় বিচারের কাঠগড়ায়। বঙ্গবন্ধুর এই সুযোগ্য উত্তরসূরির নেতৃত্বেই বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ; উন্নতির ধারাবাহিকতায় স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা ছাড়িয়ে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। অচিরেই প্রতিটি মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে তথ্যপ্রযুক্তি সুবিধা, যা আমাদের পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে এগিয়ে যেতে ভূমিকা রাখবে। আর এ সুবিধা তুলে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে আমাদের নিজস্ব উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। বাংলাদেশ তার নিজ সমুদ্রের বিশাল অংশ থেকে ছিল বঞ্চিত। আন্তর্জাতিক আদালতে লড়াই করে বিশাল এই সমুদ্রাঞ্চলের দখল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। দুঃসাধ্য এই সমুদ্র জয়ের পর বাংলাদেশের নতুন মিশন মহাকাশ জয়ের। এ জয়যাত্রা শুরু হবে আজ মধ্যরাত পার হওয়ার পর।

এ লক্ষ্যে ২০০৯ সালের মে মাসে বিটিআরসির একজন কমিশনারকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়। এর পর মহাকাশে অরবিটাল সটের জন্য আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়নে (আইটিইউ) আবেদন করা হয়। ধারাবাহিকভাবে চলে একের পর এক কার্যক্রম। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রকল্প’ শীর্ষক কার্যক্রমের অনুমোদন হয়। এর পর আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যামে স্যাটেলাইট নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেসের সঙ্গে ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সিস্টেম ক্রয়ে টার্ন-কি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর মাধ্যমেই কার্যত স্যাটেলাইট নির্মাণ ও উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্যে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়।

১১ মে বাংলাদেশ সময় ভোর ২টা ২০ মিনিট থেকে ভোর ৪টা ২০ মিনিটের মধ্য দেশের প্রথম স্যাটেলাইটের মহাকাশ জয়ের মিশন শুরু হবে। এ সময়েই ফ্লোরিডার কেপ কেনাভেরাল জন এফ কেনেডি থেকে যাত্রা শুরু করবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। এটি উৎক্ষেপণের দায়িত্বে রয়েছে মার্কিন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স। এর মাধ্যমে তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ হয়েও বাংলাদেশ স্যাটেলাইট ক্লাবের সদস্য হিসেবে অনন্য এক মর্যাদা অর্জন করবে; প্রবেশ করবে তথ্যপ্রযুক্তির এক নতুন দিগন্তে। পুরো দেশবাসীর জন্য এ এক অনবদ্য অর্জন। এর ফলে পৃথিবী চলে আসবে আমাদের হাতের মুঠোয়; নতুন নতুন কর্মক্ষেত্রও বিকশিত হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ফলে সৃষ্টি হবে নিজস্ব ব্রডকাস্টিং সেন্টার যা টেলিযোগাযোগ খাতে অভুতপূর্ব উন্নতির সহায়ক। বিশ্বাঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বলতর হবে মহাকাশ জয়ের এ মিশনের মাধ্যমে।

সরকারি বেসরকারি খাত মিলিয়ে বর্তমানে বছরে প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ ডলার ব্যয় হচ্ছে এ খাতে। উপগ্রহটি স্থাপনের পর এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে ব্যয় করা থেকে রক্ষা পাবে দেশ। এ ছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলোকে ট্রান্সপন্ডার ভাড়া দিয়ে প্রায় সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। দুর্যোগপ্রবণ বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং দুর্যোগ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য আগাম প্রদানেও ভূমিকা রাখবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। এর মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে যাবে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা। এ ছাড়া টেলিমেডিসিন, ই-লার্নিং, ই-গবেষণা, ভিডিও কনফারেন্স, প্রতিরক্ষা ও দুর্যোগকালে জরুরি যোগাযোগের ক্ষেত্রেও অবদান রাখবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।

জানা গেছে, স্যাটেলাইটটির ৪০টি ট্রান্সপন্ডার ক্যাপাসিটি থাকবে। এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। বাকি ট্রান্সপন্ডার ভাড়া দেওয়া হবে বিভিন্ন দেশকে। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ পরবর্তী সময় ট্রান্সপন্ডার ভাড়া দেওয়া, বিপণন পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে গঠিত হয়েছে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন্স স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল)।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ (বিএস-১) কৃত্রিম উপগ্রহটি একটি জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট। এটি ১১৯ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এর মাধ্যমে বাংলাদেশসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে উন্নত কমিউনিকেশন্স এবং ব্রডকাস্টিং সার্ভিস দেওয়া যাবে। এর প্লাটফর্ম স্পেস বাস-৪০০ বি২ এর প্রতিটি পাখায় ৩টি করে সৌর প্যানেল সন্নিবেশিত আছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর ন্যূনতম আয়ুস্কাল ১৫ বছর।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ বিষয়ে  বলেন, স্বাধীনতার পর সমুদ্র বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এবার আমাদের আকাশ জয়ের পালা। যা আমাদের দেশবাসীর জন্য এক বিশাল অর্জন।

তিনি বলেন, দুর্যোগপ্রবণ বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। এটি উৎক্ষেপিত হলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেক কম মূল্যে সম্প্রচার সেবা প্রদান, টেলিমেডিসিন, ই-লার্নিং, ই-গবেষণা, ভিডিও কনফারেন্স, প্রতিরক্ষা ও দুর্যোগ অবস্থায় জরুরি যোগাযোগের ক্ষেত্রেও অবদান রাখবে। স্যাটেলাইটের ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের ক্যাপাসিটির মধ্যে ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। বাকি ট্রান্সপন্ডার ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হলে বাংলাদেশসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি দেশ টেলিযোগাযোগ ও সম্প্রচার সেবা দিতে জিয়োসিক্রোনাস স্যাটেলাইট সিস্টেমের (৪০টি ট্র্যান্সপন্ডার, ২৬ কেইউ ব্যান্ড, ১৪ সি ব্যান্ড) গ্রাউন্ড সিস্টেমসহ সব ধরনের সেবা দেবে।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণের পরদিন জেলায় জেলায় উৎসবের আমেজে উৎযাপন করা হবে। স্যাটেলাইট সফল উৎক্ষেপণ এখন সময়ের ব্যাপার। স্যাটেলাইটটির সফল উৎক্ষেপণের জন্য আমরা সবাই সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছি। বাঙালি জাতির ভাগ্যকাশে যে নতুন মাত্রা যুক্ত হতে যাচ্ছে, সেই গৌরবের ভাগিদার এ দেশের প্রতিটি নাগরিক। আধুনিক প্রযুক্তির এরূপ সব প্রয়োগ জাতির জীবনে নানাবিধ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে এই কামনা করছি।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর সিকদার  বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বিটিআরসি, প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট এবং স্যাটেলাইট কোম্পানির সব কর্মকর্তারা একযোগে স্যাটেলাইট নির্মাণ ও উৎক্ষেপণের জন্য কাজ করেছে। যার ফলে আজ মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ হতে যাচ্ছে। নিজস্ব স্যাটেলাইটের ব্যবহার আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর কভারেজ এরিয়াকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর একটিকে বলা হচ্ছে প্রাইমারি কভারেজ এরিয়া ও অন্যটি সেকেন্ডারি কভারেজ এরিয়া। এন্টেনা বিম ও এলাকা অনুযায়ী প্রাথমিক কভারেজ এরিয়া। এন্টেনা বিম ও এলাকা অনুযায়ী প্রাথমিক কভারেজ এরিয়া তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের পর্যবেক্ষণ, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য দুটি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যার একটি গাজীপুর ও অন্যটি রাঙামাটির বেতবুনিয়ায়। এ দুটি ভূ-উপগ্রহকেন্দ্র নিজেদের মধ্যে সুরক্ষিত অপটিক্যাল ফাইবার দ্বারা সংযুক্ত। যেন যে কোনো কারিগরি সমস্যায় কোনো সেবা বন্ধ হয়ে না যায়। দুটি উপগ্রহ কেন্দ্রের মধ্যে গাজীপুর প্রধান কেন্দ্র হিসেবে পরিচালিত হবে এবং বেতবুনিয়া বিকল্প পরিচালনা কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।

প্রধান ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র বিকল্পসহ একটি স্যাটেলাইট অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার (এসওসিসি) ও নেটওয়ার্ক অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার (এনওসিসি) স্থাপন করা হয়েছে। এবং বেতবুনিয়ায় একটি করে এসওসিসি ও এনওসিসি স্থাপন করা হয়েছে।

ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রগুলোতে কেইউ ব্যান্ডের জন্য একটি ৯ মিটার এন্টেনা এবং ৪টি সম্প্রচার লাইন (বিকল্পসহ) রয়েছে এবং সি ব্যান্ডের জন্য একটি ৯ দশমিক ৩ মিটার এন্টেনা এবং ২টি সম্প্রচার লাইন (বিকল্পসহ) রয়েছে। এ ছাড়া প্রধান ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র একটি ভিস্যাট হাব ও ক্যারিয়ার মনিটরিং সিস্টেম (সিএমএস) রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরনির্ভরশীলতার যুগ আজ শেষ হতে যাচ্ছে। স্বাধীন, আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে বাংলাদেশের এ পথচলা সফল হোক- এটিই ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশা।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।