রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বিশাল ঘাটতির বাজেট পেশ

ডেক্স  রিপোর্ট : ভোটের বছরে চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদের সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার উপস্থাপন করেছেন ৮৫ বছর বয়সী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, যা বিদায়ী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৯৩ হাজার কোটি টাকা বেশি। বিশাল এই বাজেটে মোট ঘাটতি ১ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৫ শতাংশের মত। তাই বাজেট বাস্তবায়নই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। : বর্তমান সরকারের দায়িত্বকালের শেষ এই বাজেটে নির্বাচনে ভোট টানতে একগুচ্ছ বড় প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করাসহ শেষ সময়ে শিা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, এমপিওভুক্তি, সরকারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতনবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবি পূরণ করতেও প্রয়োজন হচ্ছে বাড়তি অর্থ। সবকিছু সামাল দিতে বিপুল ঘাটতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত বিদেশি সহায়তা পাওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিশ্রুুতির বিপরীতে বিদেশি সহায়তা ছাড়ের পরিমাণ কমে আসছে। : জানা গেছে, প্রতিবছর যে বাজেট ঘোষণা করা হয়, সংশোধিত বা প্রকৃত বাজেট তার চেয়ে গড়ে ২০ ভাগের মতো কম। এবারের বাজেট সবচেয়ে বড় বাজেট। কিন্তু অর্থবছরের শেষ দিকে বোঝা যাবে প্রকৃত বাজেট কত টাকার। এবার উন্নয়ন বাজেট ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকার। আর অনুন্নয়ন বা রাজস্ব বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮২ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা। বাজেটে প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ, যা চলতি বাজেটের চেয়ে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। চলতি বাজেটের চেয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির গড়হার বেশি ধরা হয়েছে, ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি অনুদানসহ আয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর আয় ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা। মোট ঘাটতি ১ লাখ ২১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-তে  বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। চলতি বাজেটে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারের অর্থায়নে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা থেকে ঋণ ধরা হয়েছে ৭১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হবে ৪২ হাজার ২৯ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে নেয়া হবে ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। বাকি তিন হাজার কোটি টাকা অন্যান্য উৎস থেকে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেট ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার হলেও সংশোধিত বাজেট ৩ লাখ ৭১ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকার। সংশোধিত : বাজেটের সঙ্গে তুলনা করলে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৯৩ হাজার কোটি টাকা বেশি, যা শতকরা হিসেবে ২৫ ভাগ বড়। এবারে প্রস্তাবিত বজেটে করমুক্ত আয়সীমা আগের মতোই বছরে আড়াই লাখ টাকা রাখা হয়েছে। এবারের বাজেটে ফেসবুক, ইউটিউব ও গুগলকে করের আওতায় আনার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৩৫ শতাংশ উৎসে কর প্রস্তাব করা হয়েছে। লিপস্টিক, ক্রিমের মতো আমদানি করা প্রসাধন সামগ্রীর ওপর কর বাড়ানো হলেও কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ আমদানি, দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোন, মোটর সাইকেলের ওপর কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সিগারেটের ওপর কর বেড়েছে সামান্য। কর্পোরেট কর কমানো হয়েছে ব্যাংকিং খাতের জন্য। খরচ বাড়বে অনলাইন কেনাকাটায়। এতদিন অনলাইনে (ই-কমার্স) কেনাকাটায় ক্রেতাকে কোনও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) দিতে হতো না। প্রস্তাবিত বাজেটে ভার্চুয়াল ব্যবসায় বা অনলাইন কেনাকাটায় ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। দরিদ্র মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনিতে বরাদ্দ বাড়ছে। মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবছর পাঁচ হাজার টাকা করে ‘বিজয় দিবস ভাতা’ পাবেন। দরিদ্র মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে নতুন করে প্রায় ১১ লাখ দরিদ্র মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। আর এবারই সর্বজনীন পেনশনের উদ্যোগ নেয়া হবে। এটি দেশের ৪৭তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৮তম এবং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের দ্বাদশ বাজেট। ‘সমৃদ্ধ আগামী পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ নাম দিয়ে এবারের বাজেট সংসদে উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী। : বাংলাদেশ সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-র অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘‘প্রস্তাবিত বাজেটের কাঠামোর দিকে তাকালে দেখা যায় বাজেটের আকার জিডিপির ১৭-১৮  শতাংশের একটা বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এই বাজেটের অর্থায়ন গত বছরের মতোই অংকের হিসেবে মেলানোর চেষ্টা আছে। যেমন, রাজস্ব খাতে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৩ শতাংশ। কিন্তু চলতি বাজেটের শেষে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা হলো ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ। বাজেটে এই দ্বিগুন রাজস্ব আদায়ের কাঠামোগত পরিকল্পনা আমরা দেখছি না। তাহলে এখানে তো বড় ধরনের ঘাটতি থেকে যাওয়ার কথা। সরকার কিভাবে সেটা পূরণ করবে। সরকার বলছে সঞ্চয়পত্র নয়, এবার ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ঘাটতি মেটানো হবে। কিন্তু ব্যাংকিং খাতের এখন যা অবস্থা, তাতে তারা কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারকে সেই সাপোর্ট কি দিতে পারবে?’’ : তিনি বলেন, ‘‘সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির খাতে প্রস্তাবিক বাজেটে ইতিবাচক পদপে আছে। আর সর্বজনীন পেনশন কাঠামো এবার ঘোষণা করা হবে। কর্পোরেট করহার কমানোর যে দাবি ছিল তা শেষ পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে কর কমানোয় সীমবদ্ধ হলো। ফলে এর বাইরের ব্যবসায়ীরা এর থেকে কোনো সুবিধা পাবেন না। তবে সরকার ফার্মাসিউটিক্যালসহ দেশীয় শিল্পের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু ইতিবাচক পদপে নিয়েছে।’’ তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘প্রতিবছরই বাজেট বাস্তবায়নে যে ঘাটতি তা কাটানোর কোনো উদ্যোগ নাই। বাজেটে এ নিয়ে  নতুন আইনের তালিকা দেয়া হয়েছে কিন্তু যারা বাস্তবায়ন করবেন, তাদের সমতার জায়গা একই রয়ে গেছে।’’ : এদিকে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ‘‘অর্থমন্ত্রী এ যাবৎ কালের সবচেয়ে বড় বাজেট প্রস্তাব করলেন। কিন্তু এটার বাস্তবায়ন নির্ভর করবে আমাদের জানা দুর্বলতাগুলো কিভাবে কাটিয়ে উঠতে পারি কিনা তার ওপর। করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো দরকার ছিল, তা হলো না। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি বাড়ানো হলেও এটার সঠিক বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করছে দরিদ্র মানুষের কল্যাণ। এটা নির্বাচন বা যে কারণেই করা হোক, আমি মনে করি ইতিবাচক। দেশীয় শিল্পের জন্য প্রণোদনা আছে। কিন্তু নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা কিছু নেই। স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ আগের মতোই। এই খাতে বরাদ্দ বড়ানো দরকার।’’ : তিনি বলেন, ‘‘এবারের বাজেটে একান্ন হাজার কোটি টাকা শুধু সুদের জন্যই ব্যয় করার কথা বলা হয়েছে। এটা সঞ্চয়পত্রের সুদ। অভ্যন্তরীণ ঋণের কারণে এই সুদ দিতে হবে। এটা চলতে থাকলে অর্থনীতিকে এর ফল ভোগ করতে হবে।’’ তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘এই বাজেটে অনেক দিক ব্যালেন্স করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু অতীতের দুর্বলতা দূর না হলে এই বাজেট বাস্তবায়নই হবে বাজেটের বড় চ্যালেঞ্জ।’’ : তৈরি পোশাক খাতে বাড়ছে আয়কর : প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাজেটে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারকদের আয়কর বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। : গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে এই প্রস্তাব করেন তিনি। বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেটে তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রফতানিতে নিয়োজিত সাধারণ কারখানার করহার ১৫ শতাংশ ও তৈরি পোশাকের তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব েেত্র বর্তমানে একক আয়কর হার ১২ শতাংশ রয়েছে। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে পরিবেশসম্মত ভবন সনদ (গ্রিন বিল্ডিং সার্টিফিকেশন) আছে এমন সবুজ কারখানার আয়কর হার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। : মুহিত বলেন, দেশের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে তৈরি পোশাক খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে তৈরি পোশাক খাতের গুরুত্ব বিবেচনা করে এ খাতকে বিশেষ কর সুবিধা প্রদান করা হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে পোশাক খাতের পণ্যের রফতানি মূল্যের উপর উৎসে করহার চলতি বছরের মতোই দশমিক ৭ শতাংশ বহাল রাখা হয়েছে। ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ নাম দিয়ে আগামী অর্থবছরের জন্য (২০১৮-১৯) ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ বাজেটের আকার বাড়ছে মাত্র ৬৮ হাজার কোটি টাকা। নির্বাচনি বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। : করমুক্ত আয়সীমা আড়ায় লাখ টাকা : ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তি আয় করসীমা অপরিবর্তিত থাকছে।  অর্থাৎ যাদের বার্ষিক আয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি তাদেরকে নির্ধারিত হারে কর দিতে হবে। এছাড়া নারী ও সিনিয়র সিটিজেন যাদের বয়স ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব তাদের করসীমা ৩ লাখ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ৪ লাখ ও গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা করসীমা অপরিবর্তিত রয়েছে।  তবে কোনো করদাতার একজন প্রতিবন্ধী সন্তান বা পোষ্য থাকলে তার করমুক্ত আয়সীমা হবে তিন লাখ টাকা। : গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদে উত্থাপিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এই প্রস্তাব করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, সার্বিক বিবেচনায় আমি আগামী বছরে করমুক্ত আয়ের সাধারণ সীমা ও করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করছি। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ব্যক্তিশ্রেণির েেত্র করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছিল। বাজেট বক্তৃতায় করমুক্ত আয়ের যৌক্তিকতা নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, করমুক্ত আয়ের সীমা কী হবে; তা নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়। আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি যে উন্নত দেশগুলোতে করমুক্ত আয়সীমা সাধারণভাবে মাথাপিছু আয়ের ২৫ শতাংশের নিচে থাকে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে করমুক্ত আয়সীমা সাধারণত মাথাপিছু আয়ের সমান বা তার কম থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে করমুক্ত আয়ের সীমা মাথাপিছু আয়ের প্রায় দ্বিগুণের মতো। অর্থাৎ আমাদের করমুক্ত আয়ের সীমা বৈশ্বিক প্রোপটের তুলনায় অনেক বেশি। করমুক্ত আয়ের সীমা বেশি হলে কর প্রদানে সম বিপুলসংখ্যক ব্যক্তি করজালের বাইরে থেকে যান। এতে করের ভিত্তি দুর্বল থাকে। করমুক্ত আয়সীমা নিয়ে তিনি বলেন, সার্বিক বিবেচনায় আমি আগামী বছরে করমুক্ত আয়ের সাধারণ সীমা ও করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করছি। : অনলাইন কেনাকাটায় ভ্যাট ৫ শতাংশ : অনলাইনে পণ্য কেনাকাটা করলে (ই-কমার্স/এফ-কমার্স) ৫ শতাংশ ভ্যাট (মূসক) দিতে হবে। জাতীয় সংসদে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অনলাইনে পণ্য ও সেবা ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর এই ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অর্থমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, বর্তমানে ইন্টারনেট বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে পণ্য বা সেবার ক্রয়-বিক্রয় যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পণ্য বা সেবার পরিসরকে আরো বৃদ্ধি করার ল্েয ভার্চুয়াল বিজনেস নামে একটি সেবার সংজ্ঞা সৃষ্টি করা হয়েছে। এর ফলে অনলাইনভিত্তিক যেকোন পণ্য বা সেবার ক্রয়-বিক্রয় বা হস্তান্তরকে এ সেবার আওতাভুক্ত করা সম্ভব হবে। তাই ভার্চুয়াল বিজনেস সেবার ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট (মূসক) আরোপ করার প্রস্তাব করছি। : উল্লেখ, এর আগে ২০১৫-১৬ সালের বাজেট ঘোষণায় ই-কমার্সে ভ্যাটের হার ৪ শতাংশ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। কিন্তু পরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর দাবির প্রেেিত ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।