শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
আইনি জটিলতা আমলে না নিয়ে অবশেষে ঢাকা উত্তর সিটির নির্বাচন হবে নতুন বছরের ফেব্রুয়ারী শেষ পক্ষকালে

স্টাফ রিপোর্টার : আইনি জটিলতা আমলে না নিয়ে অবশেষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উপ-নির্বাচন হবে নতুন বছরের ফেব্রুয়ারীতে। দিন তারিখ ঠিক না হলেও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারির শেষে- এমন ঘোষণা দিয়েছে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ।  আনিসুল হকের মৃত্যুতে মেয়র পদটি শূন্য হয়। রোববার ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকার একাংশের মেয়র নির্বাচনের জন্য জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে সম্প্রসারিত সীমানায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নবগঠিত ৩৬টি সাধারণ ও ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদেও একই দিনে ভোট হবে।

কমিশন সভা শেষে হেলালুদ্দীন বলেন, তিনটি তফসিল একদিনেই ঘোষণা করা হবে এবং একই দিনে ভোট হবে। নতুন ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মেয়াদ হবে সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ পর্যন্ত।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ভোট হয়। আওয়ামী লীগের সমর্থনে ওই নির্বাচনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন আনিসুল হক। প্রায় দুই বছর ধরে ওই দায়িত্ব পালনের মধ্যেই চলতি বছর জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিসে আক্রান্ত আনিসুল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ নভেম্বর তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগ ১ ডিসেম্বর থেকে মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করায় আইন অনুযায়ী ৯০ দিন, ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ উপ-নির্বাচন করতে হবে ইসিকে।

হেলালুদ্দীন বলেন, যেহেতু ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে উপ-নির্বাচনে কোন জটিলতা নেই, তাই কমিশন জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল এবং ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশনের প্রথম সভা থেকে পাঁচ বছর মেয়াদ থাকে শপথ নেয়া জনপ্রতিনিধিদের। উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে নতুন যিনি আসবেন, তিনি মেয়াদের বাকি অংশটুকু দায়িত্ব পালন করবেন।

২০১৫ সালে ভোটের পর ঢাকা উত্তরের প্রথম সভা হয় ১৪ মে। সে হিসাবে উপ-নির্বাচনে নির্বাচিত মেয়র ২০২০ সালের ১৩ মে পর্যন্ত বহাল থাকবেন।

উত্তর সিটিতে যুক্ত নতুন ১৮ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর, ছয়টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত কাউন্সিলর এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও ছয়টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ভোটের জন্য তিনটি আলাদা প্রজ্ঞাপন ও তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানান হেলালুদ্দীন।

স্থানীয় সরকার বিভাগ গত ২৬ জুলাই দুই সিটি কর্পোরেশনে ৩৬টি ওয়ার্ড বাড়িয়ে নতুন সীমানা নির্ধারণের গেজেট জারি করে। এরপর গত ৮ আগস্ট এসব ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোট করতে ইসিকে অনুরোধ জানানো হয়।

এসব ওয়ার্ডে নতুন যারা কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন, তাদের মেয়াদও হবে সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ থাকা পর্যন্ত। ঢাকা দক্ষিণ সিটির ক্ষেত্রে ২০২০ সালের ১৬ মে পর্যন্ত হবে তাদের মেয়াদ।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পুরাতন ৩৬টির সঙ্গে নতুন ১৮টি ওয়ার্ড যোগ হওয়ায় মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪টি। আর দক্ষিণ সিটির ওয়ার্ড সংখ্যা ৫৭টি থেকে বেড়ে হয়েছে। নবগঠিত ওয়ার্ডগুলো ইউপির অধীনে ছিল। সরকার এগুলোকে সিটি কর্পোরেশনের আওতায় আনতে ঘোষণা করে। গেজেটও হয়েছে। কিন্ত এর বিরুদ্ভে মামলা করা হয়েছে। নির্বাচন হলে নবগঠিত ইউপির আওতায় আসা ওয়ার্ডগুলো ভবিষতে আইনি জটিলতায় পড়বে কিনা- তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। কিন্ত ডিএনসিসি তা আমলে নেয়নি।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।