স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘটনাটা রোববারের। ওই দিন তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লীগে মুখোমুখি হয় আরামবাগ ফুটবল একাডেমি ও দীপালী যুব সংঘ। কমলাপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে প্রথমার্ধের শেষ দিকে দীপালী সংঘের ডাগআউটে গিয়ে দাঁড়ান ক্লাবটির সভাপতি যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। ছিলেন ম্যাচের শেষ পর্যন্ত। এসময় তিনি খেলোয়াড়দের নানা দিক নির্দেশনা দেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে জয় ডাগআউটে দাঁড়িয়েছেন বলে অভিযোগ আরামবাগ একাডেমির।
ক্লাবটির সভাপতি মোমিনুল হক সাঈদ জানান, ‘তিনি (আরিফ খান জয়) ওখানে যেতেই পারেন না।
কারণ, অনুমতি নেই। একজন মন্ত্রী যদি মাঠে গিয়ে কোচিং করান, মাঠের এপাশ থেকে ওপাশে হাঁটা শুরু করেন, কীভাবে চলবে। ফুটবল তো এভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে।’
এ নিয়ে গত২৯ জানুয়ারি সোমবার ঢাকা মহানগরী লীগ কমিটির অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছে মতিঝিল ক্লাবপাড়ার দলটি। লীগ কমিটির সভাপতি হারুনুর রশীদ এ ব্যাপারে বলেন, অফিসে অভিযোগ জমা পড়েছে বলে শুনেছি। পরবর্তীকালে বসে আমরা করণীয় ঠিক করবো। তবে আমার কাছে মনে হয় মন্ত্রী সবার কাছে সমান। একটি দলের পক্ষে এভাবে তার ডাগআউটে দাঁড়ানো ঠিক হয়নি।’ বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক জয়ের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। এর আগে বিজেএমসির ম্যানেজার থাকাকালে মাঠে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন আরিফ খান জয়। এ নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। সর্বশেষ পাইওনিয়ার ফুটবল লীগে ড. ওয়াজেদ মিয়া ফুটবল দলের ডাগআউটে দাঁড়িয়ে রেফারিদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে।