শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইদুর রহমানকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে কারাদণ্ড : পার পেয়ে যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদার

সংবাদদাতা : যৌন হয়রানির অভিযোগে টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইদুর রহমানকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে ছাত্রী ও অভিভাবকরা। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান সোমবার দুপুরে এ দণ্ডাদেশ দেন।

জানা যায়, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইদুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে ক্লাশে ও ক্লাশের বাইরে ছাত্রীদের বিভিন্ন অশালীন মন্তব্যসহ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। তিনি সুযোগ পেলেই ছাত্রীদের শরীরে হাত দিতেন। অভিভাবকদের নিয়েও অশালীন মন্তব্য করতেন। সর্বশেষ গত রবিবার তিনি নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেন। ওইদিনই সব ছাত্রী মিলে প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদারকে বিষয়টি জানায়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষ নেন এবং স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ছাত্রীদের কাছ থেকে স্বাক্ষর আদায় করেন। একপর্যায়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।

সোমবার সকালে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার ও শাস্তির দাবিতে ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে মিছিল বের করে। এ সময় সাইদুর রহমান বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রবেশ করলে তাকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে এনে বেদম মারপিট করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক সাইদুর রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। একই সাথে যৌন হয়রানীতে সহায়তাকারী প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদারকে অপসারণের দাবিও করেন তারা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি কোনো ছাত্রীদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেননি। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সাঈদুর রহমান বাবুলকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) আশরাফুল মোমিন বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সাইদুর রহমান বাবুলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এসব ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার ওসি সায়েদুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পরে ইভটিজিংয়ের অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।