বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১২:৫৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
টাঙ্গাইলে বাপ্পি হত্যা মামলায় পৌর মেয়র ও আজাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

সংবাদদাতা : আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুর রহমান খান বাপ্পি হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন ও কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমের ছোট ভাই আজাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মেয়র জামিলুর রহমান মিরন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। অপরদিকে আজাদ সিদ্দিকী সরকারি সা’দত কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি)। তিনি তার ভাই কাদের সিদ্দিকীর প্রতিষ্ঠিত কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

আদালত সূত্র জানায়, জামিলুর রহমান মিরন ও আজাদ সিদ্দিকী উভয়েই আমিনুর রহমান খান বাপ্পি হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। দু’জনেই এ মামলায় জামিনে আছেন।

টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৭ মে  সোমবার এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। ওইদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে এমপি রানাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তিনি তার সাক্ষ্য দেন। কিন্তু জামিলুর রহমান মিরন ও আজাদ সিদ্দিকী পরপর বেশ কয়েক তারিখ আদালতে হাজির না থাকায় আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় রানার বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুর রহমান খান বাপ্পি সন্ত্রাসী হামলায় নিজ বাসার কাছে নিহত হন। এসময় বাপ্পির সঙ্গী আব্দুল মতিন নামে এক ব্যক্তিও মারা যান। ঘটনার পর রানার বাবা আতাউর রহমান খান বাদী হয়ে টাঙ্গাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর দুই ভাই মুরাদ সিদ্দিকী ও আজাদ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, জেলা বিএনপির নেতা আলী ইমাম তপন, পৌর কমিশনার রুমি চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা আব্দুর রৌফসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম ২০০৭ সালে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

এই মামলার আসামি রুমি চৌধুরী ও আব্দুর রৌফ ২০০৪ সালের অক্টোবরে সশস্ত্র হামলায় নিহত হন। এই দুজনের হত্যা মামলায় এমপি রানা ও তার ভাইদের আসামি করে মামলা করা হয়।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।