বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৬:২২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
ঢাকা কাস্টমস হাউজ : কুরিয়ার শুল্কায়নে ভয়াবহ রামরাজত্ব : কাস্টমস ম্যানেজে, গেট কন্টাক্টে ‘দে টান : গডফাদার নাজির

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা কাস্টমস হাউজের কুরিয়ার শুল্কায়ণে ভয়াবহ রামরাজত্ব চলছে।কাস্টমস কন্টাক্টে গেট কন্টাক্টে ‘দে টান’ করে কোটি কোটি টাকার পণ্য প্রতিদিন পাচার হয়ে যাচ্ছে। সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। আগে যেখানে কুরিয়ার শুল্কায়নে প্রতিদিন ১ থেকে দেড় কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হতো, এখন তা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। মিথ্যা ঘোষণা, এলসি জালিয়াতি, আইজিএম জালিয়াতি কওে বন্ড সুবিধায় পেপার জালজালিয়াতি করে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার পণ্য পাচার হয়ে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থা অভিযান চালিয়ে কোটি কোটি টাকার পণ্য আটক করলেও পরবর্তীতে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসছে।

এই কুরিয়ারেই প্রকাশ্য দিবালোকে ফিল্মি স্টাইলে ৩০ কোটি টাকার পণ্য ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে, থানায় মামলা হয়েছে,পাচারকারিরা জেল খেটেছে, জামিনে এসে আবার রামরাজত্ব শুরু করেছে। এই কুরিয়ারে ১৭ ব্যবসায়ীকে নিষিদ্ধ কারা হলেও তারা পরবর্তীতে বহাল তবিয়তে রামরাজত্ব করছে।এদের মধ্যে নাজিরের নাম সবার মুখে মুখে।

চুনাপুটি থেকে এই নাজির গডফাদার সেজে বসেছে। প্রতিদিন পেপার জালিয়াতি করে গেট কন্টাক্টে ১০-১২টি চালান পাচার করে নিচ্ছে। এমনই ২টি চালানের খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

একটি পণ্য চালান পাচার করে নিয়ে গত নভেম্বরে। যার এয়ারওয়ে বিল নম্বর: ১০৬০০৪৩২৩১২ তারিখ-২০/১১/২০২২ইং, সি নম্বর-৯৪৫৭১৯। চালানটির ঘোষণায় ছিল পেপার হ্যান্ডটেক।কিন্ত পাচার করে নিয়ে যায় মবিনপেন্ট, অর্থাৎ কর্মাশিয়াল আইটেম পাচার করে নিয়ে যায়। নাজিরের মাইলকানাধীন ডিপিএস খাচা এবং সিএন্ডএফ লজিস্টিক বিজনেস সেন্টারের নামে এই কর্মাশিয়াল পণ্য পাচার করা হয়।আইজিএম জাল করে/ডুব্লিকেট করে এই পণ্য পাচার করা হয়। যার ভ্যালু ৯৮৫১ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় ১৮লাখ টাকা। কাস্টমসের সাথে আতাত করে বন্ড সুবিধায় ১০৫ টাকায় এই সব পণ্য পাচার করা হয়।

পরের ঘটনা গত ২০ ডিসেম্বরের। পণ্য চালানের সি নম্বর-১০৩৫৩২৬ তারিখ-২০/১২/২০২২ ইং। এয়ারওয়ে বিল নম্বর-৯৬২০২৯৪৭৩৬। ্ ১০৫ টাকা ডিউটি দিয়ে বন্ড সুবিধায় ৯,২০০ কেজি সুতা/ প্যান্ট পাচার করে নিয়ে যায় গডফাদার নাজির।এ ভাবেই নাজির প্রতিদিন কাস্টমস কন্টাক্ট/ গেট কন্টাক্টে ১০/১২টি চালান পাচার করে নিচ্ছে বলে গোয়েন্দা সংস্থা খতিয়ে দেখছে।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।