মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০১:১১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
দুর্দান্ত জয় টাইগারদের

খেলা ডেক্স : ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম ওডিআই ম্যাচেই দুর্দান্ত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। রোববার গায়ানায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে তামিম-সাকিবের দুর্দান্ত জুটি আর শেষ দিকে মুশফিকুর রহীমের ঝড়ো ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ৪ উইকেটে ২৭৯ রান। জবাবে ওয়েস্ট ইন্জিজ শেষ পর্যন্ত করে ৯ উইকেটে ২৭৯ রান। বাংলাদেশ ৪৮ রানে জিতে তিন ম্যাচ ওডিআই সিরিজে ১-০-এ এগিয়ে গেল।

তামিম-সাকিবদের পর আবারো সত্যিকারের অধিনায়ক হিসেবে আবির্ভূত হন মাশরাফি মর্তুজা। বল হাতে তাকে দেখা যায় আসল রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতোই। ৪টি উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াই করার সম্ভাবনাই গুঁড়িয়ে দেন। অধিনায়ক হিসেবে দলকে উজ্জীবিত করার ক্ষমতা তার অসাধারণ। সেই কাজটি করার পাশাপাশি তিনি বল হাতেও দলকে নেতৃত্ব দিয়ে এই জয়টি ছিনিয়ে আনেন।
অথচ তার এই সিরিজে খেলা নিয়েই ছিল অনিশ্চিত। স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাবেন না বলেও শোনা গিয়েছিল। সেই তিনিই মহানায়ক বনে গেলেন।
তবে ম্যান অব দি ম্যাচ হয়েছেন তামিম ইকবাল। তিনি তার ১০ ওডিআই শতক করার পাশাপাশি সাকিব আল হাসানের (৯৭) সাথে ২০৭ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়েন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে হেটমার সর্বোচ্চ ৫২ রান করেছিলেন। এছাড়া ক্রিস গেইল করেন ৪০ রান।

দায়িত্ব নিয়ে খেললেন তামিম সাকিব

সৌম্য সরকারের অফ ফর্মের কারণেই এনামুল বিজয়কে স্মরণ। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম ওয়ানডেতে সুবিধা করতে পারেননি এ ওপেনার। দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে যাওয়ার পর দলের হাল ধরেছেন দুই বন্ধু তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলারদের ভীতি কাটাতে এ দুই ব্যাটসম্যান খেলেন দায়িত্ব নিয়ে। আন্দ্রে রাসেল, জেমস হোল্ডার, আলজারি যোশেফের আগুনঝরা বোলিং এ দুই ব্যাটসম্যান খুব সুন্দরভাবেই সামাল দেন। ১৪৫ বলে শতরানের পার্টনারশিপ করেও ক্ষান্ত দেননি। এগিয়ে যান তারা ভালোভাবেই।

ইনিংসে খেলছিলেন তারা সমান্তরালে। রান সংগ্রহেও তারা প্রায় সমানে সমান থেকেই এগোচ্ছিলেন বোঝাপড়ার মাধ্যমে। রান রেট সাড়ে চারের কাছাকাছি রেখে এগোচ্ছিলেন তারা শেষের দিকে বিগ শট নিয়ে খেলে কাভার করে নেয়ার জন্যই। তামিম প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেন। ৮৭ বলে চারটি চারের সাহায্যে ৫০ করেন তিনি। এরপরই হাফ সেঞ্চুরি করেন সাকিব। তিনি করেন ৬৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি। যার মধ্যে ছিল তিনটি চারের মার। তবে ইনিংসে বাংলাদেশের এ দুই ব্যাটসম্যান বেশ ভালোই সতর্কতার সাথে খেলেছেন। কারণ আর কিছু নয়। টেস্ট সিরিজে যাচ্ছেতাই ব্যাটিংয়ের পর ওয়ানডে সূচনা যাতে ভালো হয়। খেলোয়াড়দের মনোবল যেন বৃদ্ধি পায় এ জন্যই। সেটাতে সফল হয়েছেন তারা।

প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ৪০ রান সংগৃহীত হয়েছে এক উইকেটে। বাংলাদেশের পঞ্চাশ রান আসে ১৪.৫ ওভারে। ১০০ রান আসে ২৫.৩ ওভারে এক উইকেট খরচায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৩ ওভারে রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ১৪২ রান এক উইকেটে। তামিম ১১০ বলে ৬৯ ও সাকিব ৮৫ বলে ৬৪ রান নিয়ে ব্যাটিং করছিলেন। উল্লেখ্য, ম্যাচে টসে জিতে প্রথম ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। এ ম্যাচে ফিরেছেন মুস্তাফিজ। মাশরাফি তো অধিনায়কই। অন্যদের মধ্যে আছেন সাব্বির রুম্মন, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মাহমুদুল্লাহ, মুশফিকুর রহীম ও রুবেল হোসেন।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।