সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৬:১২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
বদলির পরও বহাল : এআরও আরিফ-পিয়ন মিজানকে মারধর : বিভাগীয় মামলা : ঢাকা কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার মাহবুবের দাপট

বিশেষ সংবাদদাতা : ঢাকা কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার মাহবুবুর রহমানের ক্ষমতার দাপট নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। চাকরিজীবনে ননটেকার হিসেবে ক্লিন ইমেজ থাকলেও এই যুগ্ম কমিশনারের চাকরিজীবনে শৃংখলা আর ক্ষমতার দাপট সমান তালে চলছে। তিনি ঢাকা কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনারের দায়িতের¡ পাশাপাশি শাহজালাল বিমানবন্দর কাস্টমস ইউনিটও দেখভাল করেন।আর এরই সুবাধে শাহজালাল কাস্টমস ইউনিটে কর্মরত সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা ( এআর) আরিফ ও পিয়ন মিজানকে তিনি প্রকাশ্যে বিমানবন্দরে মারধর করেছেন বলে সূত্রে জানা গেছে। তার মারধরের আঘাতটা এতো বেশি হয়েছে যে, এদেরকে হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ঢাকা কাস্টমস হাউজে কর্মরত কয়েকজন এআরও জানান, জেসি স্যার আমাদের সহকর্মীকে খামাকা মারধর করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী জানান, বিমানবন্দরে কর্মরত সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফ ও পিয়ন মিজান একটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সামনে এক কমার্শিয়াল যাত্রীর থেকে ঘুষের টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনা জেসি মাহবুব জানতে পেরে তাদেরকে অর্থাৎ পুরো কাস্টমসকে বদনামের হাত থেকে সেইভ করার জন্য এআরও আরিফ ও পিয়ন মিজানকে মারধর করেন।
এ ব্যাপারে জানতে জেসি মাহবুবের দপ্তরে গিয়েও তিনি মিটিংয়ে থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ঢাকা কাস্টমস হাউজ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক আদেশে ১৭ জন যুগ্ম কমিশনারকে একযোগে দেশের বিভিন্ন শুল্কস্টেশনে বদলি করা হয়। বদলির তালিকায় যুগ্ম কমিশনার মাহবুবুর রহমানও তালিকাভুক্ত হন। কিন্ত পরবর্তীতে এই বদলির আদেশে রদবদল হওয়ায় জেসি মাহবুবকে ঢাকা কাস্টমস হাউজেই স্টে করা হয়।
এদিকে জেসি মাহবুবের হাতে দুই কাস্টমস সদস্যকে মরধরের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ঢাকা কাস্টমস হাউজের আরেকটি সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১ আগস্ট পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি
বদলির পরও দুই ডিসি বহাল: এনবিআরের এক বদলির আদেশে ডিসি সাইদুল হক চলে গেলেও রয়ে গেছেন ডিসি অথেলোা চৌধুরি এবং আব্দুল আলিম। এই দুই ডিসির বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের কথাও শোনা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, ঘুষ ছাড়া ডিসি আব্দুল আলিমের টেবিল থেকে শুল্কায়ন ফাইল নড়েচড়ে না। ঘুষ কেলেংকারির প্রতিবাদ সংক্রান্ত দাম্পত্য কলহে তার বউ তাকে তালাক দিয়েছেন এবং এ ব্যাপারে একটি মামলাও হয়েছে। ডিসি আকতার হোসেনও ঘুষ বাণিজ্যে কম যান না। কোন ফাইলই ঘুষ ছাড়া ডিসি আকতারের টেবিল থেকে সরে না বলে সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন। ্ এ ব্যাপারে কথা বলতে ডিসি আকতারের দপ্তরে গিয়ে পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চাইলেও তিনি ব্যস্ততার কারণে সময় দেননি। অবশ্য ডিসি আব্দুল আলিম বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।