ডেক্স রিপোর্ট : অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের অংশ হিসেবে গত ২৬ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে তার বিষয়ে কমিশন অনুসন্ধান করছে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিডিনিউজ সম্পাদক উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমি যা বলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বলে দিয়েছি। এতক্ষণ সময় লেগেছে তার কারণ, তাদের কিছু ফরম্যাট আছে। তিনি (তদন্তকারী কর্মকর্তা) লেখেন, শোনেন ও রেকর্ড করেন। তারপর স্বাক্ষর করে আমি বের হলাম।
সেদিন (১১ই নভেম্বর) যা বলার বলে দিয়েছি। আজকে আর নতুন করে কিছু বলার নেই। খালিদী বলেন, যেহেতু এটি তদন্তাধীন বিষয় আমার মনে হয় না এটা নিয়ে কথা বলা উচিৎ। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিষয় এখনও পরিষ্কার না। তারা তদন্ত করে বোঝার চেষ্টা করছেন। কারণ একটা চিঠি আসছে বোধহয় কোনো জায়গা থেকে। সেটার ভিত্তিতে তো কাজ করা হচ্ছে। আসলে একটা বিনিয়োগ (বিডি নিউজকে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ) হয়েছে। একটা কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে। এরপর এটি নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছে। সেটা তারা (দুদক) খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে এবং আমার কাছে যেটা মনে হয় যে, তারা খতিয়ে দেখবেন, তদন্ত করবেন। যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন তাই এ বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে একজন সম্পাদক একটি ব্যাংকের এমডির কাছে টাকা দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদী বলেন, এ প্রশ্নের উত্তর আমি সেদিনও (১১ই নভেম্বর) দিয়েছি। এটা নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আপনাদের (সাংবাদিকদের) জিজ্ঞেস করতে হবে তিনি আমার কথা বলেছেন কিনা। প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা আমাকে কোনো একটি কারণে ফোন করেছিলেন। তিনি আমাকে বললেন, আমার সামনে বসে একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান কোনো একজন সম্পাদক সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন। সেটি অন্য একটি নাম। আর আমি ব্যাংকের এমডিদের সঙ্গে সাধারণত কথা বলি না। আমাদের সেলস টিম আছে তারা কাজগুলো করে।
গত ৫ই নভেম্বর এক চিঠিতে খালিদীকে তলব করে দুদক। উপ পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, তৌফিক ইমরোজ খালিদীর নিজের এবং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হিসাবে ‘বিপুল পরিমাণ টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন’ এবং বিভিন্ন ‘অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে তার বক্তব্য জানা প্রয়োজন। ১১ই নভেম্বর খালিদীকে হাজির হতে বলা হয়। সে হিসাবে ওইদিন বিডিনিউজ প্রধান সম্পাদক দুদকে হাজির হন এবং অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দেন। এদিকে একই অভিযোগের তদন্তের অংশ হিসেবে গতকাল দ্বিতীয় দফা দুদক কার্যালয়ে যান তিনি।