বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১১:৫২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশ অমান্য : বদলির প্রায় একমাস পরও সিএএবিতে সদস্য ( প্রশাসন) বহাল!

বিশেষ সংবাদদাতা : মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সরকারের অতিরিক্ত সচিব, সিভিল এভিয়েশনে সদস্য (প্রশাসন) হিসেবে কর্মরত থাকাবস্থায় মো. হেমায়েত হোসেনকে গত ৪ অক্টোবর বিমান মন্ত্রণালয় থেকে বদলি করার প্রায় ১ মাস অতিক্রান্ত হতে চললেও তিনি সিএএবি ছেড়ে যাননি। উল্টো তিনি বহাল থাকার জন্য তদবির করছেন বলে কথা ওঠেছে। সিএএবির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার মতে চেয়ারম্যানও অন্য একজনকে মন্ত্রণালয় থেকে সিএএবিতে ওই পদে পোস্টিং না দেয়ায় বদলিকৃত সদস্য (প্রশাসন)কে ধরে রেখেছেন। যুক্তি হচ্ছে একজনকে বদলির পর আরেকজনকে পোস্টিং না দেয়া পর্যন্ত বদলিকৃত কর্মকর্তাকে দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে।
এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির আদেশ ভুলুন্ঠিত হচ্ছে, বিমান মন্ত্রণালয় ছড়ি ঘুরাচ্ছে।মন্ত্রণালয় এ বদলির নামে নাটক করছে কিনা- এ বিষয়টি সামনে আসছে। কারণ অতিরিক্ত সচিব মো. হেমায়েত হোসেনকে বদলির প্রায় একমাস পরও সিএএবিতে আরেকজন অতিরিক্ত সচিবকে সিএএবির সদস্য (প্রশাসন) পদে পোস্টিং না দেয়ায় একদিকে রাষ্ট্রপতির আদেশ অমান্য করছে অন্যদিকে বদলিকৃত অতিরিক্ত সচিবকে সিএএবিতে ধরে রাখার নাটক করছেন।
এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বিষয়টির দ্রুত সুরাহা হতে পারে।
এ দিকে বদলির প্রায় একমাস পরও সদস্য (প্রশাসন) সিএএবি ছেড়ে না যাওয়ার ভুক্তভোগি নিরীহ কর্মচারিরা ফুসে ওঠছেন, অনেকের পেনশন আটকে দেয়ায় সদস্য প্রশাসনের চলে যাওয়ার প্রহর গুণছেন। সদস্য প্রশাসন সিএএবি থেকে চলে গেলে কর্মচারীরা খুশিই হবেন বলে কর্মচারীদের আলোচনা-সমালোচনা চলছে। উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে কর্মচারি নিয়োগে গণমাধ্যম ও সিএএবির ওয়েবসাইটে বিঙ্ঘপ্তি প্রকাশ করা এবং হাসিনা নামের এক কর্মচারির রিট পিটিশন মামলায় সিএএবির সংশ্লিষ্টদের উচ্চ আদালতে হাজির হওয়া এবং আগামি ২৫ অক্টোবর আবার হাজির হওয়া সংক্রান্ত সদস্য প্রশাসনের কর্মকান্ডে সদস্য প্রশাসনের প্রতি কর্মচারিরা নাখোশ। কর্মকর্তারাও বিব্রত। কিন্ত ফরিদ নামের স্বঘোষিত নেতা ও তার কিছু সাংপাংগ সদস্য (প্রশাসন)কে রাখার পক্ষে চেয়ারম্যানের কাছে তদবির করছেন বলে কর্মচারিরা জানান। চেয়ারম্যান বিদেশ থেকে ‘আইকাও’ সনদ নিয়ে শাহজালালে অবতরণের পর চেয়ারম্যানকে ফরিদের নেতৃত্বে ফুল দিয়ে বরণ করে সদস্য (প্রশাসন)কে বহাল লাখার জন্য নাকি চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছেন। কারন হিসেবে কর্মচারিরা জানান এই সদস্য (প্রশাসন) বহাল থাকলে চোরা ফরিদের তদবির বাণিজ্য করতে পোয়াবারো।
এ দিকে স্বঘোষিত নেতা ফরিদ উদ্দিনÑ যার বিরুদ্ধে ১ হাজার ডলার চুরির অভিযোগ আমলে নিয়ে সিএএবির প্রশাসন কর্তৃক তাকে লঘুদন্ড দেয়া হয়েছে তার অপরাধের ফিরিস্তি তুলে ধরে সিএএবির ভাবমূতি রক্ষার জন্য তাকে শাহজালাল থেকে বাইরে বদলির জন্য চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই অভিযোগের অনুলিপি বিমানমন্ত্রী ও সচিবকেও দেয়া হয়েছে।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।