বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৭:০১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
„যশোর বিমানবন্দরে সমস্যা আর সমস্যা: চেয়ারম্যানের উন্নয়নের ফিরিস্তি, প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন : ঝুঁকি নিয়েই নামছে বিমান, কাজের এস্টিমেট হবে, পছন্দের ঠিকাদাররা নিয়ন্ত্রিত টেন্ডারে কাজ পাবে : ৫ শ’ কোটি টাকার কাজ করছে এক ঠিকাদার

একুশে বার্তা রিপোর্ট :যশোর বিমানবন্দরে সমস্যার আর সমস্যা। সিএএবির চেয়ারম্যান অবশ্য উন্নয়ন কাজের ফিরিস্তি দিলেন, বললেন প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন।

চেয়ারম্যানের নিকট আত্মীয়রাও নাকি সিএএবিতে ঠিকাদারি ব্যবসা করছে, কাওলার শিশু পার্কের কাজ পেয়ে তা আবার নিদিষ্ট পান্সেন্টেসে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানা যায়।

এর আলোকে উন্নয়ন কাজের এস্টিমেট বা প্রাক্কলন হবে , পছন্দের ঠিকাদাররা নিয়ন্ত্রিত টেন্ডারে কাজ পাবে। এক ঠিকাদারই তো সিভিল এবং ইএম মিলে ৫ শ’ কোটি টাকার কাজ পেয়েছে। প্রধান প্রকৌশলীও তার কাছে জিম্মি, কারণ তিনি নাকি দুদকের দোহাই দিয়ে চলেন।

যাত্রীসেবার ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধার বালাই নেই। বিমানবন্দরে চেকিং কাউন্টারও নেই পর্যাপ্ত। ৮ হাজার ৬০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে একটিমাত্র রানওয়ের স্থানে স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত পিচ। ফুরিয়েছে কার্পেটিংয়ের আয়ুষ্কালও। তাই ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন ৮-৯টি যাত্রীবাহী ও কার্গো উড়োজাহাজ ওঠানামা করে। তবে চাহিদা থাকলেও সক্ষমতায় ঘাটতির কারণে অভ্যন্তরীণ এ বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ পরিবহনের সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব নয় বলে সম্প্রতি সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। একটি জাতীয় দৈনিকে সমস্যার অনন্তযাত্রা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান গণ মাধ্যমকে জানান, ‘রানওয়ের উন্নয়নে ২৩৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া একটি নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে, যেটি আগামী ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যেই চালু হবে। আর এই টার্মিনালটি চালু হলে যাত্রীসেবার মানসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়বে।

’ যদিও বেবিচকের ছয় সদস্যের সরেজমিন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বিমানবন্দরের নবনির্মিত প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিংয়ে চেকিং কাউন্টারের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই। আছে আরও নানা সমস্যা।

সিভিল এভিয়েশনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরে ভিআইপি কার পার্কিংয়ের জন্য আলাদা গেট নির্মাণ জরুরি। সেই সঙ্গে টার্মিনাল ভবনের পূর্ব-পশ্চিমে স্ক্যানিং স্থাপন, দ্বিতীয় তলার ভিআইপি রুমের ইন্টেরিয়র ডিজাইন ও টয়লেটে হুইল চেয়ার ব্যবস্থা প্রয়োজন। এদিকে সংসদীয় কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে একটি বিশেষজ্ঞ দল যশোর বিমানবন্দরে রানওয়ের বর্তমান অবস্থা পরিদর্শন শেষে একটি প্রতিবেদন দেয়। যেখানে সপ্তাহে অতিরিক্ত দুটি

ফ্লাইটের অনুমোদন দেন বিশেষজ্ঞরা। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে যশোর বিমানবন্দরে রানওয়ের স্ট্রেংথ বা সক্ষমতা অনেক কমে গেছে। তাই রানওয়ের ধারণক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিমানবন্দরে সারফেসে ‘অ্যাসফল্ট কংক্রিট ওভারলে-করণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তাই রানওয়ের অবস্থা বিবেচনা করে এক্সপার্ট টিমের সুপারিশের আলোকে জানমালের সুরক্ষার সেফটি স্ট্যান্ডার্ড বজায় রেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, যশোর বিমানবন্দর অধিক পুরনো। ১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি নির্মিত হয়। এর রানওয়ের বিটুমিনাস কার্পেটিংয়ের আয়ু শেষ হয়ে গেছে। রানওয়ের সারফেস থেকে নুড়িপাথর উঠে যাওয়াসহ নানা প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি হচ্ছে। তা ছাড়া অভ্যন্তরীণ এই বিমানবন্দরগুলো অধিকসংখ্যক উড়োজাহাজের ক্রমাগত চাপ বহন উপযোগী করে নির্মিত নয়। দেশের একমাত্র বিমান প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও এটি।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।