শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১০:১৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
শাহজালালে হ্যাংগার ইজারা দিচ্ছে সিএএবি : বোর্ড সভায় চুলচেরা বিশ্লেষণ : ব্যবহারে মানতে একডজনের বেশি নির্দেশ

নিউজ ডেক্স : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন হ্যাঙ্গার নীতিমালা কার্যকর হবে ২০২৩ সালের ১ জুলাই। এবার হ্যাঙ্গার ইজারা নিতে মানতে হবে ১৪ নির্দেশনা। হেলিকপ্টার ও জেনারেল এভিয়েশন পাচ্ছে প্রাথমিক ইজারা। কোনো এয়ারলাইন্সকে সাবলেট দিলে গ্রহীতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ। হ্যাঙ্গারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার ও চুলা। হ্যাঙ্গারে বিমান-হেলিকপ্টার দুঘণ্টার বেশি পার্কিংয়ে রাখলে গুনতে হবে বাড়তি খরচ।

এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে সিভিল এভিয়েশন সদর দপ্তরে  ২৪ অক্টোবর  সোমবার এক বোর্ড সভায় চূলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়।

সূত্রে জানা যায়,, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নতুন হ্যাঙ্গার তৈরি করা হয়েছে। নবনির্মিত হ্যাঙ্গার পরিচালনার জন্য বেশ কিছু নীতিমালা তৈরি হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী হ্যাঙ্গার পরিচালিত হবে। হ্যাঙ্গার ভাড়া নিয়ে অনুমোদিত যে কোনো এয়ারলাইন্স সেখানে বিমান রাখতে এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবে।

জানা গেছে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে ‘কার্গো অ্যাপ্রোনের’ উত্তর-পশ্চিম দিকে নবনির্মিত ১০টি হ্যাঙ্গার অফিস এবং একটি মাল্টিপারপাস ভবনের বাণিজ্যিক ব্যবহারের নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, এক বা একাধিক সংস্থা যৌথভাবে একটিমাত্র চুক্তিপত্রের আওতায় হ্যাঙ্গার ইজারা নিতে পারবে। সেই চুক্তিপত্রে উভয় পক্ষই স্বাক্ষর করবে।

তবে একাধিক বিমান সংস্থা যৌথভাবে একটি হ্যাঙ্গার ইজারা নিতে চাইলে তাদের সমঝোতা চুক্তিপত্র (অর্থনৈতিক বিষয়াদি ছাড়া) বেবিচক কর্তৃক গ্রহণযোগ্য হতে হবে। একাধিক বিমান সংস্থা সম্মিলিতভাবে একটি হ্যাঙ্গার ইজারা গ্রহণের ক্ষেত্রে চুক্তি বলবৎ থাকা অবস্থায় কোনো সংস্থা অভ্যন্তরীণ সমঝোতার চুক্তি ভঙ্গ করলে বেবিচক দায়ভার বহন করবে না। চুক্তিবদ্ধ সব বিমান সংস্থাকেই বেবিচকের চুক্তি মোতাবেক ইজারামূল্য পরিশোধ করতে হবে।

একক সংস্থা কর্তৃক কোনো একটি হ্যাঙ্গারের কোনো অংশ ইজারা নিতে চাইলে সর্বনিম্ন অর্ধেক পরিমাণ হ্যাঙ্গার ইজারা নিতে হবে। কোনো ইজারা গ্রহীতা অন্য কোনো সংস্থাকে ইজারাকৃত স্থান (পূর্ণ অথবা আংশিক) সাবলেট দিতে পারবে না। কোনো প্রতিষ্ঠান নিজস্ব এয়ারক্রাফট ছাড়া অন্য কারও এয়ারক্রাফট মেরামত ও ওভারহোলিং করতে চাইলে বেবিচকের অনুমতি নিতে হবে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়, দুই ঘণ্টার বেশি এয়ারক্রাফট রাখা হলে ল্যান্ডিং চার্জের ২০ শতাংশ হিসেবে দিতে হবে। অফিসের যাবতীয় অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা, সরঞ্জামাদি স্থাপনে অনুমোদন নিতে হবে। হ্যাঙ্গারে এয়ারলাইডে কোনো গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা যাবে না। মাইক্রোওয়েভ ওভেন এবং বৈদ্যুতিক কেটলি ব্যবহার করা যাবে। তবে রান্নার কোনো ব্যবস্থা করা যাবে না।

বর্তমানে শুধু জেনারেল এভিয়েশন এবং হেলিকপ্টার সংস্থাগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হ্যাঙ্গার ইজারা দেওয়া হবে।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।