স্টাফ রিপোর্টার : সিভিল এভিয়েশনে দীর্ঘদিন যাবত পিএস টু চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা সোহেল মো. কামরুজ্জামান ডবল স্ট্যান্ডার্ড, একদিকে চেয়রম্যানের পিস আবার অন্যদিকে পিআরও’র দায়িত্বও পালন করছেন। সাবেক চেয়ারম্যান নাইম হাসানের আমলে তাকে একবার বদলি করা হলেও কুমিল্লা ইজমে তা ঠেকিয়ে দেয়া হয়। তিনি এখন সিএএবিতে সর্বেসর্বা। তাকে ঠেকায় কে? বাংলাদেশের সব মিডিয়ার হাউজের সাথে সুসম্পর্ক। কোন মিডিয়ার প্রতিনিধির সাথে তার বিশেষ সখ্যতা। তার দপ্তরে ওই মিডিয়া কর্মীকে প্রায়ই ভুরিভোজে আমন্ত্রণ করা হয়। ওই মিডিয়া কর্মীর সাথে ফিফটি ফিফটি টার্মে ঠিকাদারি ব্যবসা করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই থার্ড টার্মিনালে ওই মিডিয়া কর্মীকে সামনে রেখে কয়েক কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ ভাগিয়ে নিয়েছেন। যেহেতু চেয়ারম্যান তাদের ফেভারে, তাই ওই কাজ পেতে বেগ পেতে হয়নি। প্রকৌশলীরাও সমীহ করে দ্রুত ফাইল ছেড়ে দিচ্ছেন। ফলে দ্রুততম সময়ে প্রশাসনিক অনুমোদন, টেন্ডার, মূল্যায়ন হয়ে কার্যাদেশ হয়েছে , কাজ চলছে।
এ দিকে চলতি অর্থবছরের ঠিকাদারি কাজের ওয়ার্কপ্লান পাস প্রক্রিয়া চলছে। স্ব স্ব বিভাগে ইএম এবং সিভিল মিলিয়ে এক্সইএন থেকে শুরু করে উপসহকারি প্রকৌশলীরা গোপন সমঝোতায় ঠিকদারদের কাছে ওয়ার্কপ্লান থেকে কাজ বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছেন। গত অর্থবছরে সিডি-১ থেকে এক ঠিকাদারকেই ৩শ কোটি টাকার কাজ বিতরন করার নজির সৃষ্টি করা হয়েছে। কাজ পেতে উচ্চ পর্যায়ে তদবিরও নাকি চলছে। মন্ত্রি, সচিব, চেয়ারম্যানের লোক পরিচয়ে তদবির করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোন এক্সইএন দরজা বন্ধ করে ঠিকাদারদের সাথে গোপন সমঝোতা করে থাকেন। একই কাজ তারা আবার ডবল বিতরণ করে থাকেন। কোন এক চলতি দায়িত্বে এক্সইএন ঠিকাদারদের থেকে ঘুষ নিয়ে কাজ না দেয়ার বিষয়টি ওপেন হয়ে যাওয়ায় তাকে মাঝখানে বদলি করা হয়েছে। সেখানে একজন সৎ এক্সইএ কে পদায়ন করা হয়েছে বলে জানা যায়।