রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিএএবি : প্রকৌশলী শহিদুল আফরোজ কি ষড়যন্ত্রের শিকার?

বিশেষ সংবাদদাতা : সিভিল এভিয়েশন অথরীটিতে কক্সবাজার বিমানবন্দরে একটি জেনারেটর ক্রয় দুর্নীতি মামলায় তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহিদুল আফরোজের মামলায় অভিযুক্ততা, জেল, সাসপেন্ড কি আসলে ষড়যন্ত্রের শিকার না ক্ষমতার প্রভাব নাকি শত্রুতা সাধন করা- ইত্যাকার প্রশ্ন জনমনে। সিনিরিটি দাবি করে সিএএবির চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন, শেষ বিচারে জুনিয়র প্রকৌশলী সুধেন্দু বিকাশ গোস্বামিকেই প্রধান প্রকৌশলী চেয়ারে বসানো। তিনি কেন তার সিনিরিটি দাবি করে চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করলেন-এটাই কি তার অপরাধ, যেথান থেকে ষড়যান্ত্রের বীজ বপণ। সময়মতো শত্রুতা সাধন, ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকে সাইজ করা। অথচ তিনিও কিন্ত এই ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে পড়ে বেইজ্জতি হয়ে শেষ বিদায় নিয়েছেন, যাবার পর বেশ কিছুদিন নিজেকে আড়াল করেছেন- যাদে তিনি পাট্েেকলের আছড় না খান। এখন অবশ্য বালা কেটে গেছে। তবে সিএএবিতে তার বিরুদ্ধে মিছিল-সমাবেশ হয়েছে, যাবার পর ঠিকাদাররা মিষ্টিমুখ করেছে।
প্রকৌশলী শহিদুল আফরোজ, সহজ,সরল, বোকাটাইপের, ষড়যন্ত্র বুঝেন না, ষড়যন্ত্র করেন না, ক্ষমতা দেখান না- অথচ তিনিই কি ষড়যন্ত্রের শিকার হলেন- এ প্রশ্ন জনমনে! তাকে জেল খাটতে হলো, সাসন্ডে করা হলো, বেতন অর্ধেক কর্তন করা হলো, মামলার চার্জশীট হলো, শেষ বিচারে কি হয় সেটা আদালতের ব্যাপার। তিনি একটি অংশের চেকে সই করেছেন মাত্র, বাকিটায় করেননি।
যারা তাকে জুনিয়র করলেন সেই কর্তৃপক্ষ কি অপরাধ করেননি বা করেছেন তার কি কোন তদন্ত হলো? তদন্ত হবে? না ধামাচাপা পড়ে যাবে? যদি তাই হয় তাহলে একজন জুনিয়র প্রকৌশলী হলেও সুধেন্দু বিকাশকে কেন সিনিয়রটি দিয়ে প্রধান প্রকৌশলী করা হলো তার কি কোন তদন্ত হবে না?
প্রকৌশলী শহিদুল আফরোজ চেক সই অপরাধে মামলার আসামি হয়েছেন, জেল খেটেছেন, মামলার চার্জশীটও হয়েছে, মামলার রায়ে কি হয়- সেটা আদালতের বিষয়। ওভারঅল এ দায়দায়িত্ব তো সংস্থার প্রধান প্রকৌশলীর কাধে বর্তায়, কিন্ত প্রধান প্রকৌশলী তো পার পেয়ে গেছেন, যদিও দুদক তার দুর্নীতির ফিরিস্তি চেয়ে বার বার তলবি চিঠি দিয়েছে, কিন্ত তার বিরুদ্ধে মামলা করেনি, এখনও দুদক তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে বলে সচেতনমহল মনে করেন।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।