রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০২:১১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিভিল এভিয়েশন : কর্মচারিরা জানতে চায়- কার মৌখিক নির্দেশে ক্যান্টিনভাতা থেকে কর্মচারিদের পেনশনের লাখ লাখ টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে ?

বিশেষ সংবাদদাতা : বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনের চলছে তুঘলগি কান্ড। বিষয়টি মানবাধিকারের লংঘন হলেও সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ তাই করছে। কর্মচারিদের চাকরির সারাজীবন ক্যান্টিনভাতা খাওয়ায়ে তা অনেকটা গলায় পারা দিয়ে বের নিচ্ছে বলে কর্মচারিরা মন্তব্য করেছেন। ফলে শত শত কর্মচারির ভাগ্যে নেমে এসেছে ‘অমাবষ্যার কালোরাত’। চাকরির নিয়মানুসারে কর্মচারিদের চাকরির সারাজীবন ক্যান্টিনভাতা দেয়া হয়েছে। কিন্ত কর্মচারিা যারা ইতিমধ্যেই পিআরএল-এ গেছেন পেনশনভাতা উঠানোর জন্য কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হচ্ছেন- ঠিক তখনই তাদের মাথায় যেন আকাশ ভেংগে পড়ছে। কোন দাপ্তরিক চিঠি বা কার নির্দেশে কর্মচারিদের থেকে জনপ্রতি ৩ লাখ থেকে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা করে নগদ সিএএবির হিসাবধারি রিলেটেড ব্যাংকে জমা দিয়ে জমার রশিদ দেখিয়ে পেনশনের ফাইল চালু করতে হচ্ছে, পেনশন নিতে হচ্ছে- তা কর্মচারিরা জানেন না।। আর যে কর্মচারিা নগদ ৩ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে জমার রশিদ দেখাতে পারছেন না তাদের পেনশন ফাইল আটকে দেয়া হচ্ছে। ফলে সিএএবিতে কান্নার রোল পড়ে গেছে। বয়োজেষ্ট কর্মচারি যারা পেনশনে গেছেন তারা তাদের চাকরির সারাজীবনের পেনশন আটকে দেয়ায় মূর্চা যাচ্ছেন। শাহজালালের এক উচ্চমান সহকারি প্রতিদিন পেনশনে যাওয়া কর্মচারিদের চরম খারাপ আচরণ করছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রশাসন শাখার পেনশনের ডিলিং করেন এমন এক কর্মচারি জানান, কর্মচারিরা যারা পিআরএল-এ গেছেন তাদের পেনশনের ফাইল চালু করতে সিএএবির কর্তৃৃপক্ষের মৌখিক নির্দেশে কর্মচারি জনপ্রতি ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকার সিএএবির হিসাবধারি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দিয়ে জমার রশিদ সিএএবির পেনশন শাখায় জমা দেয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্মচারির পেনশন ফাইল চালু হচ্ছে।
সিএএবির ড্রইং শাখার কর্মচারি এক মুক্তিযোদ্ধা জানান, ‘আমি পিআরএল-এ গেছি। সিএএবি কর্তৃপক্ষ আমার চাকরি জীবন ক্যান্টিনভাতা দিয়েছে, আমি তা উত্তোলন করে খেয়ে ফেলেছি। এখন পিআরএল-এ যাবার পর যখন পেনশনের টাকা উত্তোলনের ফাইল চালু করতে সিএএবির সদর দপ্তরে যোগাযোগ করছি তখন সংশ্লিষ্ট পেনশন শাখা থেকে আমাকে মৌখিকভাবে ব্যাংকে নগদ ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা জমা দিয়ে জমার স্লিপ পেনশন শাখায় জমা দিয়ে পেনশন ফাইল চালু করার নির্দেশ দিচ্ছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের কেনই বা ক্যান্টিনভাতা দেয়া হয়েছে আর কেনই বা তা পেনশন নেয়ার সময় কর্তন করে নেয়া হচ্ছে। তিনি জানান আমরা কর্মচারিরা জানতে চাই -কার নির্দেশে, কোন দাপ্তরিক চিঠি ছাড়া আমাদের থেকে পেনশন উঠানোর সময় ক্যান্টিভাতার লাখ লাখ টাকা কর্তন করে নেয়া হচ্ছে।
তবে সিএএবি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্বীকার করেননি।
উল্লেখ্য, সিএএবিতে কর্মচারিদের পাশাপাশি কর্মকর্তাদেরও ক্যান্টিনভাতা দেয়া হতো। গত জুন থেকে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে এক কর্মকর্তা জানান।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।