সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
দেশপ্রেমের চশমা : রাজনীতির নতুন প্রবচন হেলমেট বাহিনী

মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার  : বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণজাগরণ সবসময় ঘটে না। এমন ঘটনা হঠাৎ করে মাঝেমধ্যে সংঘটিত হয়। কয়েক বছর আগে গণজাগরণ মঞ্চ নাম দিয়ে রাজধানীর শাহবাগে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির দাবিদার নাগরিকদের একটি আন্দোলন গড়ে উঠে। প্রথমে ছাত্র ও যুবকরা জড়িত থাকলেও পরে এ আন্দোলনে নাগরিক সমাজও অংশগ্রহণ করে। তবে নানা কারণে আন্দোলনটি পরবর্তীকালে স্তিমিত হয়ে পড়ে।

বর্তমান সরকারের আগের মেয়াদে আরেকটি বড় ঘটনা ঘটেছিল ২০১৩ সালে। কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ওই সময় রাজধানীর শাপলা চত্বরে বিশাল সমাবেশ ঘটিয়ে ১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অবস্থান নিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলেছিল। সরকার পরে গভীর রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ব্যবহার করে তাদের সেখান থেকে হটিয়ে দেয়।

এ সমাবেশ পণ্ড করার সময় কতজন আহত বা নিহত হয়েছে, তা নিয়ে সমাজে একটি ধূম্রজাল জিইয়ে আছে। ওই সময় অনেক হেফাজত নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। অনেকের বিরুদ্ধে রুজু করা হয় মামলা। তাছাড়া হেফাজত নেতাকর্মীদের ওপর বায়তুল মোকাররমে কোরআন শরিফ পোড়ানোর এবং গাছ কাটার অভিযোগ আনা হয়। সরকারের তরফ থেকে বলা হয়, ভিডিও ফুটেজ দেখে পরবর্তীকালে এদের বিচার করা হবে। কিন্তু পরবর্তী রাজনীতির সমীকরণে সরকার সে বিচারের উদ্যাগ নেয়নি।

পরবর্তীকালে দৃশ্যপট পাল্টে যায়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হেফাজত নেতারা বঙ্গভবনে দাওয়াত পান। তাদের কওমি মাদ্রাসার ডিগ্রি সরকারি স্বীকৃতি পায়। পাঠ্যপুস্তকে তারা যেসব পরিবর্তন চেয়েছিলেন তার প্রায় সবই সরকার মেনে নেয়। ফলে হেফাজতের নেতারা এখন ২০১৩ সালে রাজধানীর শাপলা চত্বর সমাবেশের ক্ষয়ক্ষতি বা জীবনহানি নিয়ে আর উচ্চবাচ্য করছেন না।

তবে শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে দাবি-দাওয়া আদায় করে নিলেও ভোট এলে যে হেফাজত নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সবাই সরকারি দলে ভোট দেবেন, এমন নিশ্চয়তা দেয়া যায় না। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও তার নমুনা দেখা গেছে। তবে সরকারি গ্রেফতার, নির্যাতন ও অনেকের বিরুদ্ধে মামলা থাকার কারণে হেফাজত নেতাদের অনেকে এখনও সরকারের ওপর বিরূপ হয়ে আছেন।

সরকারি নেতা ও মন্ত্রীরা মাওলানা শফীর সঙ্গে একাধিকবার দেখা-সাক্ষাৎ করেছেন। কাজেই বাহ্যিকভাবে মনে হচ্ছে, সরকারের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সম্পর্ক সম্প্রতি বেশ ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে আরও দুটি আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। যুবক ও তরুণ শিক্ষার্থীদের এ দুটি আন্দোলনের একটি হল কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং আরেকটি নিরাপদ সড়ক আন্দোলন। দুটি আন্দোলনই ছিল অরাজনৈতিক।

উল্লেখ্য, প্রথম আন্দোলনটি করে মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আর দ্বিতীয় আন্দোলনটি করে স্কুল-কলেজের কোমলমতি তরুণ-তরুণী ছাত্রসমাজ। পরে তাতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা সমর্থন দিয়ে জড়িত হয়। প্রথম আন্দোলনটির মূল উদ্দেশ্য ছিল সরকারি প্রশাসনে মেধার প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করা। এজন্য আন্দোলনকারীরা বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে সরকরি চাকরিতে প্রদত্ত শতকরা ৫৬ ভাগ কোটা কমিয়ে এক্ষেত্রে যৌক্তিক সংস্কার দাবি করে।

২০১৩ সালে তারা এ দাবি নিয়ে মাঠে নেমে সুবিধা করতে পারেনি। সরকারি রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তারা ওই সময় আন্দোলনটিকে এগিয়ে নিতে পারেনি। তবে ২০১৮ সালের এপ্রিলে আবার তারা ১০ দফা দাবি নিয়ে এ আন্দোলনে রাস্তায় নামে। এবারও তাদের ওপর নেমে আসে নির্যাতন।

এ আন্দোলনের কয়েকদিনের মধ্যে যখন এটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে, এমন সময় ‘হেলমেট বাহিনী’র আবির্ভাব হয়। এ বাহিনী রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও শত শত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে মাথায় হেলমেট পরে ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের ভিসির বাসভবন তছনছ করে ওই বাসভবনের সিসিটিভি ক্যামেরা এবং তার রেকর্ড বাক্স পর্যন্ত নিয়ে যায়।

পরে এ ভাংচুরের দায় চাপানো হয় অরাজনৈতিক কোটা আন্দোলনে জড়িত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর। তাদের অনেককে গ্রেফতার করা হয়। অনেকের বিরুদ্ধে করা হয় মামলা। দু’চারজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।

আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রীর সংসদে দেয়া সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা তুলে দেয়ার ঘোষণার পর কিছুটা আশ্বস্ত হলেও তার বক্তব্যের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারছেন না। কারণ কেবিনেট সেক্রেটারিকে প্রধান করে এ লক্ষ্যে কমিটি দিয়ে কোটা ব্যবস্থায় সংস্কার করে একটি প্রজ্ঞাপন জারির জন্য তিন মাস সময় দেয়ায় আন্দোলনকারীরা সরকারকে সন্দেহের চোখে দেখছেন।

তাদের অনেকে বলছেন, একটি প্রজ্ঞাপন জারির জন্য তিন মাস সময় দেয়ার মধ্যে সরকারের কালক্ষেপণ করা বা এর মধ্যে অন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। কাজেই তিন মাস সময় দেয়া হলেও সরকার যত দ্রুত এ ব্যাপারটি নিষ্পত্তি করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারবে, তত দ্রুত এ আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটবে বলে ভাবা যায়।

আর হেলমেট পরে যারা ভিসির বাসভবনে হামলা চালায়, তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে গোয়েন্দা বাহিনী ব্যবহার করে যদি সরকার আইনের আওতায় এনে বিচার করতে পারে, তাহলে সরকারের ওপর সাধারণ শিক্ষার্থীদের আস্থা ফিরে আসবে। আর তা না করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যদি গ্রেফতার করে নির্যাতন করা হয় এবং প্রজ্ঞাপন জারিতে বেশি বিলম্ব করা হয়, তাহলে ছাত্ররা আবারও তাদের দাবি আদায়ে রাজপথে নামতে পারে। সরকারের উচিত হবে আন্দোলনকারীদের সে সুযোগ না দিয়ে নির্বাচনের বছরে নির্বাচন নিকটবর্তী হওয়ার আগেই এ সমস্যার সমাধান করে আন্দোলনকারীদের মন জয়ের চেষ্টা করা।

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনটিও ছিল কোমলমতি স্কুল শিক্ষার্থীদের একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন। এ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না। শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী বাসচাপায় নিহত হলে শিক্ষার্থীরা ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর রোডে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের দবি নিয়ে রাস্তায় নামে। তারা সপ্তাহব্যাপী রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় অবস্থান গ্রহণ করে নিজেরাই অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করে।

এ আন্দোলনটি ছিল নেতাবিহীন এক স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। সেজন্য আন্দোলনটি ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা রাস্তায় নেমে যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষা করা শুরু করে। তবে এসব কোমলমতি শিক্ষার্থী কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেনি। তারা মন্ত্রী, পুলিশ, র‌্যাব, কারোরই গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা না করে ছাড়েনি।

তারা দেখিয়ে দিয়েছে, অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তির গাড়ির ড্রাইভারেরও কাগজপত্র ঠিক নেই। শিক্ষার্থীরা ঘাতক বাসের চালকের ফাঁসি, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগসহ আরও কিছু দাবি নিয়ে প্রতিদিন রাস্তায় স্বেচ্ছায় দায়িত্ব পালন করতে থাকে।

এতে রাস্তায় যানবাহনের স্বল্পতা দেখা দেয়। বিশেষ করে যাদের গাড়ির কাগজপত্র ঠিক নেই, তারা আর রাস্তায় গাড়ি নামায়নি। ফলে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। তাছাড়া ঢাকা থেকে দূরপাল্লার বাস না ছাড়ায় রাজধানীতে কাজ করতে আসা অসংখ্য মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।

রাজনৈতিক উদ্দেশ্য না থাকায় নিরাপদ সড়ক আন্দোলনটি সরকারি দলসহ সব রাজনৈতিক দল, সুশীলসমাজ এবং দেশি-বিদেশি সবার সমর্থন পায়। কারণ যে তরুণরা ৯ দফা দাবি নিয়ে এ আন্দোলনে নামে, তাদের কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না। তবে কেবল এ কারণেই যে এত শিক্ষার্থী এ আন্দোলনে রাস্তায় নামে, বিষয়টি তেমন নয়। যুগ যুগ ধরে চলে আসা অনিয়ম এবং সরকারি অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের মনে যে ক্ষোভ জন্মেছিল, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তার বিস্ফোরণ ঘটে।

এ আন্দোলন দমনেও ৪ আগস্ট তরুণ শিক্ষার্থীদের ওপর নেমে আসে নির্যাতন। কোটা সংস্কার আন্দোলন পথচ্যুত করার ভঙ্গিমায় এদিনও ধানমণ্ডি ও সায়েন্স ল্যাব এলাকায় পুলিশের উপস্থিতিতে চলে আসে হেলমেট বাহিনী। মাথায় হেলমেট পরা এই যুবকরা লাঠি হাতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে মারধর করে।

ঝিগাতলায় বিজিবি গেটের সামনে এ বাহিনী তরুণ শিক্ষার্থীদের মারধর করে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিও করে। পরে আওয়ামী লীগ অফিসে কিছু আন্দোলনকারীকে আটকে রাখা হয়েছে- এমন গুজবের ভিত্তিতে আন্দোলনকারীরা সে দিকে যেতে চাইলে আবারও তাদের বাধা দেয় হেলমেট বাহিনী।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বাধা মানতে না চাইলে হেলমেট পরা একদল যুবক তাদের ধাওয়া দেয়। কাজেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘হেলমেট বাহিনী’ এখন একটি নতুন রাজনৈতিক প্রবচন হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছে। সরকারের মনে রাখা উচিত, কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে জড়িত সারা দেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থী এবং এদের সমর্থক, অভিভাবক, বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজন সবাই কিন্তু ভোটার।

আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে এরা ভোট দেবেন। হেলমেট বাহিনীকে আইনের আওতায় এনে বিচার না করলে এরা সরকারের ওপর বিরূপ মনোভাব পোষণ করতে পারেন। আবার নির্বাচনেও যদি হেলমেট বাহিনীর আবির্ভাব হয়, তা সরকারের জন্য বুমেরাং হতে পারে।

সরকার নিজেদের ‘ডিজিটাল সরকার’ দাবি করলেও ভিডিও ফুটেজ দেখে এই হেলমেট বাহিনীকে চিহ্নিত করার কোনো উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা যায়নি। হেফাজতের সমাবেশকালে ২০১৩ সালে যারা বায়তুল মোকাররমে পবিত্র কোরআন পুড়িয়েছিল, তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে বিচার করা হবে বলে ওয়াদা করেও সরকার সে প্রতিশ্রুতি রাখেনি।

আবার এখন পুলিশের সামনে হেলমেট বাহিনীর অপতৎপরতা ঘটলেও পুলিশ নির্বিকার থেকেছে। কিন্তু দেশের জনগণ এবং শিক্ষার্থীরা যা বোঝার, তারা যে তা বুঝতে পারছে না, এমন নয়। সরকারের উচিত হবে, হেলমেট বাহিনীকে প্রশ্রয় না দিয়ে, তাদের ওপর নির্ভর না করে, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং জনকল্যাণকামী কাজের মাধ্যমে জনগণের সমর্থন চাওয়া।

শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক দুটি আন্দোলনে যেভাবে হেলমেট বাহিনী বাধা দিয়েছে, যেভাবে আন্দোলনরত তরুণ শিক্ষার্থীদের মারধর করেছে, তাতে শিক্ষার্থীদের বুকে এ বাহিনীর ওপর ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দল যদি হেলমেট বাহিনী ব্যবহার করে ভোটে ইঞ্জিনিয়ারিং করার কোনো পরিকল্পনা করে, তাহলে দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার তরুণ শিক্ষার্থী সমাজ সে চেষ্টার বিরুদ্ধে ভূমিকা নিতে পারে।

উল্লেখ্য, এ অরাজনৈতিক দুটি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থী সমাজ তাদের দেশপ্রেম এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার সক্ষমতার প্রমাণ রেখে শান্তিবাদী গণতান্ত্রিক নাগরিক সমাজের মনে আশার সঞ্চার করেছে। একদিকে এ দুটি আন্দোলন যেমন শান্তিপ্রিয় নাগরিক সমাজকে আশাবাদী করেছে, অন্যদিকে এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবির্ভাব ঘটেছে অত্যাচারী হেলমেট বাহিনীর। সমাজবিজ্ঞানীদের উচিত হবে এ নতুন বাহিনীর গতি-প্রকৃতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখা।যুগান্তর

ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : অধ্যাপক, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।